গণজাগরণ মঞ্চসহ কয়েকটি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় দিবসের কর্মসূচি জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে 'বিজয় দিবস ২০১৩' উদযাপন জাতীয় কমিটির ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রশসান ওই স্থানের অনুমতি না দেওয়ায় সোহরাওয়ার্দীতে সম্মিলিতভাবে বিজয় দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পূর্বের কর্মসূচিগুলো অপরিবর্তিত থাকবে।
তিনি জানান, বিজয় দিবসের দিন সকাল ১১টায় উদ্বোধনী বক্তৃতা রাখবেন বিজয় উদযাপন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার এবং আহ্বায়ক অধ্যাপক আবুল বারাকাত ও ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। সকাল ১১টা ১৫ মিনিট থেকে বিকাল ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত দেশ বরেণ্য সংগঠন এবং শিল্পীদের পরিবেশনা। বেলা ২টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হবে 'কনসার্ট ফর বাংলাদেশ'-এর আদলে 'কনসার্ট ফর ফ্রিডম'। বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিট থেকে ৪টা ১০ মিনিট পর্যন্ত সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ৪টা ১০ মিনিটে এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের বক্তব্য। এরপর বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে থাকবে ১৯৭১-এর পাক হানাদার বাহিনীর আত্দসমর্পণের ঐতিহাসিক ঘটনার ওপর প্রামাণ্য অভিনয় এবং ৪টা ৩১ মিনিটে দেশ ও বিশ্বব্যাপী লক্ষাধিক কণ্ঠে সমবেত জাতীয় সংগীত।
বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিটে শপথ পাঠ করাবেন মুক্তিযুদ্ধের উপ-অধিনায়ক এ কে খন্দকার বীরউত্তম এবং এর পরই ৪টা ৪০ মিনিটে নতুন প্রজন্মের মধ্যে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর করা হবে। এ ছাড়া রাত ১০টা পর্যন্ত আতশবাজি উৎসবসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার বীরউত্তম, নৌপরিবহন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী শাজাহান খান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ম. হামিদ, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল বারকাত প্রমুখ।