ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দুই ওয়ার্ড মাস্টারসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ উদ্দিন ও নতুন ভবনের ওয়ার্ড মাস্টার জিল্লুর রহমানের রুমে অভিযান চালান। এ সময় দুজন ওয়ার্ড মাস্টারসহ পাঁচজনকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের আনসার সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অভিযান চালিয়ে তারা ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজের রুম থেকে মদের বোতল, পুলিশ কেসের সিল, ধারালো অস্ত্র, বেসরকারি হাসপাতালের ভিজিটিং কার্ড, আবাসিক হোটেলের ভিজিটিং কার্ড ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তালিকা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া ওয়ার্ড মাস্টার জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে- তিনি বিভিন্নজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে হাসপাতালে কাজ করার সুযোগ দিতেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা খবর পাচ্ছিলাম জরুরি বিভাগে যারা চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন তারা বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। সেসবের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে আমরা জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ উদ্দিনের রুমে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানের সময় তার রুম থেকে মদের বোতল, ধারালো অস্ত্র, পুলিশ কেসের সিল, বিভিন্ন অবৈধ আইডি কার্ড ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন নামের তালিকাসহ কাগজপত্র পাওয়া যায়। এ সময় তিনি স্বীকার করেন বিভিন্ন আইসিইউতে পাঠিয়ে প্রত্যেক রোগী থেকে ১ হাজার টাকা করে নেন। এ সময় তার অন্যতম দুই সহযোগীকে আটক করা হয়। নতুন ভবনের ওয়ার্ড মাস্টার জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। তার রুমে অভিযান চালিয়ে সেসবের সত্যতা মিলেছে। তাকেসহ তার এক সহযোগীকেও আটক করা হয়েছে। পরে তাদের পাঁচজনকে পরিচালকের রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পরিচালকের নির্দেশনায় তাদের আনসার সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আমাদের দাবি, এই দুই ওয়ার্ড মাস্টারকে আমরা ঢামেক হাসপাতালে দেখতে চাই না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা পরিচালকের কাছে দাবি জানিয়েছি।