২৬ জুন, ২০২০ ১৭:৫৬

শহীদ জননী ও স্মৃতিতে শাহবাগ

এফ এম শাহীন

শহীদ জননী ও স্মৃতিতে শাহবাগ

এফ এম শাহীন

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ১৯২৯ সালের ৩ মে তিনি অবিভক্ত বাংলার পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সুন্দরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তিনি পুত্র রুমী ও স্বামী শরিফ ইমামকে হারান। মুক্তিযোদ্ধার গর্বিত মা, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সংগঠক এই মহীয়সী নারীর নেতৃত্বেই গত শতকের নব্বইয়ের দশকে গড়ে ওঠে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন।

পাকিস্তানের শাসন-শোষণ থেকে মুক্ত সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশ যখন নতুন মানচিত্র, একটি নতুন পতাকা নিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায়, ঠিক সেই সময় বাঙালির জাগরণের মহাজাদুকর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানি দোসরদের মদদে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ঘটনা সেই নিকষ কালো অধ্যায়গুলোর একটি। তারপর থেকে বাংলাদেশ উল্টোপথে, উল্টো রথে। হত্যা করা হয় বাঙালির মুক্তির স্বপ্ন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। স্বাধীনতা বিরোধীরা চলে আসে ক্ষমতার কেন্দ্রে। জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীন বাংলাদেশকে করা হয় ক্ষত-বিক্ষত। জিয়াউর রহমান ক্ষমতাসীন হবার পর ১৯৮১ সালে জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আজম পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। এরপর তার নানা ধরনের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। শেষ পর্যন্ত খোলস ছাড়িয়ে ১৯৯১ সালে গোলাম আজমকে জামায়াতে ইসলামীর আমীর নির্বাচন করা হয়। তার আগেই জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র বিশ বছরের মাথায় ১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর গোলাম আজমকে জামায়াতে ইসলামী দলের আমীর ঘোষণা করলে দেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষেরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, বিক্ষোভের অংশ হিসেবে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শফী ইমাম রুমীর মা জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্যের একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয়। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সমর্থনে এই আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। শহীদ জননীকে আহবায়ক করে গণআদালতের অন্য সদস্যরা ছিলেন-অ্যাডভোকেট গাজীউল হক, ড. আহমদ শরীফ, স্থপতি মাজহারুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, সুফিয়া কামাল, কবীর চৌধুরী, কলিম শরাফী, শওকত ওসমান, সেক্টর কমান্ডার কাজী নুরুজ্জামান, আবু ওসমান চৌধুরী ও ব্যারিস্টার শওকত আলী খান প্রমুখ। কমিটি ১৯৯২ সালে ২৬ মার্চ ‘গণআদালত’ গঠন করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাত্তরের ‘নরঘাতক’ গোলাম আজমসহ কাদের মোল্লার প্রতীকী বিচার শুরু করে।

গণআদালতে গোলাম আজমের বিরুদ্ধে ১০টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপিত হয়। ১২ জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত গণআদালতের চেয়ারম্যান জাহানারা ইমাম গোলাম আজমের ১০টি অপরাধই মৃত্যুদণ্ড যোগ্য বলে ঘোষণা করেন। ওই সময় জাহানারা ইমাম গণআদালতের রায় কার্যকর করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

গণআদালতের এই বিচার পরিচালনা করায় তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকার জাহানারা ইমাম ও সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করে। রাষ্ট্রের আইন আদালত যখন কর্তব্য পালনে ব্যর্থ, ঠিক তখন এগিয়ে আসে জনগণ। শহীদ জননীও এগিয়ে এসেছিলেন রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে কিন্তু বিএনপি সরকার তাকে দাঁড় করিয়েছিল আদালতের কাঠগড়ায়। ক্যান্সার নিয়েও আন্দোলন চালিয়ে পরিণত হন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্দোলনের প্রতীকে।

একজন সুসাহিত্যিক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন জাহানারা ইমাম। তার লেখা ‘একাত্তরের দিনগুলি‘ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম দলিল। তার লিখিত অন্য গ্রন্থগুলো হচ্ছে-অন্য জীবন, বীরশ্রেষ্ঠ, জীবন মৃত্যু, চিরায়ত সাহিত্য, বুকের ভেতরে আগুন, নাটকের অবসান, দুই মেরু, নিঃসঙ্গ পাইন, নয় এ মধুর খেলা, ক্যান্সারের সঙ্গে বসবাস ও প্রবাসের দিনলিপি।

স্মৃতিতে শাহবাগ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শাহবাগের হাত ধরে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন রায় ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসে বংলার তারুণ্য।’৭১-এর কুখ্যাত খুনি কসাই কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় ব্যতীত অন্য রায় কেউ মেনে নিতে পারেনি! স্লোগানে স্লোগানে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশ ‘কসাই কাদেরের যাবজ্জীবন সাজা মানি না’, ‘আর কোনো রায় নাই, কাদের মোল্লার ফাঁসি চাই’, ‘রাজাকারদের সঙ্গে বসবাস করতে চাই না’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’, তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা। একে অপরের হাতে-হাত, কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে গানে-কবিতায়-স্লোগানে শাহবাগ হল বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ হল শাহবাগ। যে তরুণ প্রজন্মের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, সেই প্রজন্ম এগিয়ে এলো মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তঋণ শোধ করতে। জন্মযুদ্ধের পর দ্বিতীয়বারের মত আশ্চর্য এক সূর্য হয়ে ফেটে পড়লো বাংলাদেশ তথা সমগ্র বাঙালি জাতি। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল প্রকম্পিত হল মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনিতে জয় বাংলায়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় ও শ্রেণিভেদ ভুলে আবার এক হয়ে দাঁড়াই আমরা। 

অনেকের মতে, রাজনীতিবিমুখ এই তরুণরা এক হয়েছিল শুধু ’৭১-এর ঘাতক-দালালদের ফাঁসির দাবিতে। তাদের সাথে গর্জে উঠেছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, কবি, ছাত্র, শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, ইমাম, শ্রমিক গৃহবধূ; শিশু থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা নির্বিশেষ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বাঙালির গণজাগরণের কিছু স্মৃতি আজও অমলিন। মনে পড়ে ৯ ফেব্রিয়ারি ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ, শনিবার গণজাগরণের পঞ্চম দিনে চলছে চারদিনের বিরামহীন বিক্ষোভ, শাহবাগ মোড় উদ্বেলিত ও মুখরিত চারুকলার সামনে টাঙানো হয়েছে প্রায় ১০০ মিটারের মতো লম্বা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। পাশেই চলছে গণজাগরণ সাংস্কৃতিক মঞ্চের অনুষ্ঠান। নাটক আর গানে গানে প্রতিবাদ।

যে যুবক কোনোদিন রাজপথে নামেনি তার মুখে স্বদেশের মানচিত্র আঁকা। হাত মুষ্ঠিবদ্ধ। ঊচু স্বরে গাইছে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি ‘জয় বাংলা’, আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম, ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা। তোমার আমার ঠিকানা, শাহবাগের মোহনা। যে কিশোর এখনো মায়ের হাতে ভাত খায়, সে শাহবাগে এল মোমবাতি হাতে, ৪২ বছরে যে অন্ধকার দূর করা যায়নি, সে অন্ধকারের নিমজ্জিত ইতিহাসকে মুছে দিতে, একাত্তরের শহীদদের স্মরণে লক্ষ জনতার সাথে মোমবাতি জ্বালাতে। এমন এক বাংলাদেশ গড়তে যেখানে থাকবে না কোন খুনি রাজাকার। থাকবে না স্বাধীনতা বিরোধী কোন দালাল। লক্ষ জনতার হাতে মোমবাতি জ্বলছে যতদূর চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের প্রতিকৃতি যেন খুব বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠে শাহবাগের আলোয়। এই আলো তো তারই দেয়া। গোলাম আজমের প্রতীকী বিচারের মাধ্যমে বাঙালিকে তিনিই প্রথম জাগিয়েছিল ১৯৯২ সালে। তারই দেওয়া আলো নিয়ে আজ শাহবাগ আলোকিত এক গণজাগরণ।

বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও শাহবাগের সাথে সংহতি জানিয়ে জাতীয় সংসদের সামনে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন। আগামী প্রজন্মের হাতে তুলে দেন তার হাতে জ্বালানো প্রদীপ শিখা। তার আবেগঘন বক্তব্য সমগ্র বাঙালি জাতিকে শাহবাগের মোহনায় কেন্দ্রীভূত করে, আমার মন পড়ে আছে শাহবাগ; বাঙালির জন্মযুদ্ধের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মঞ্চ হয়ে ওঠে শাহবাগ। মাননীয় সংসদ সদস্যগণ দক্ষিণ প্লাজায় মোমবাতি প্রজ্বলনে অংশ নেন। সরকারি বেসরকারি শত শত প্রতিষ্ঠানের এই কর্মসূচি পালন করে।

একদিকে শাহবাগ গণজাগরণমঞ্চ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলো জ্বালাচ্ছে, অন্যদিকে আমার দেশ পত্রিকাসহ জামায়াতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গভীর ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। জামায়াতের সাথে বিএনপিও শাহবাগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। ‘শাহবাগে সব নষ্ট ছেলেরা অবস্থান নিয়েছে’ এমন বক্তব্য প্রদান করে খালেদা জিয়া। যেটি প্রমাণ করে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতের অন্যতম দোসর বিএনপিও গণজাগরণ মঞ্চকে বিতর্কিত করতে চায়। গণজাগরণকে থামাতে মিথ্যা তথ্য ও বিকৃত খবর প্রকাশ করে সাম্প্রদায়িক উগ্র গোষ্ঠীকে মাঠে নামাতে ব্যস্ত আমার দেশ পত্রিকা। বিচার বন্ধ করে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে জামাত-শিবির-বিএনপির তাণ্ডব দেখেছে বাংলাদেশ। এবার মহাতাণ্ডব চালাতে চায়। মুসলমানদের পবিত্র স্থান কাবা শরিফের ছবি দিয়ে মিথ্যা খবর ছাপায় আমার দেশ। মিথ্যা খবর দিয়ে বিতর্কিত করতে চায় গণজাগরণকে। শাহবাগ এবার মিথ্যা খবর ছাপানোর দায়ে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহামুদুর রহমানকে গ্রেফতারের দাবি জানায় এবং প্রতিবাদ হিসেবে আমার দেশ পত্রিকা শাহবাগে পোড়ানো হয়।

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ, বুধবার গণজাগরণের নবম দিনে বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে বসন্তের প্রথম দিন। এদিন বাসন্তী রঙের পোশাক পরে তরুণ তরুণীরা বসন্তকে বরণ করে নেয়। পহেলা ফাল্গুনে শাহবাগে অন্য বসন্ত। হলুদ আর বাসন্তী রঙে সেজে আসে প্রজন্ম। গান-স্লোগান-কবিতায় দেশপ্রেমের অন্যরূপ। ঋতুরাজ বসন্ত প্রতিবাদের নতুন আগুন জ্বালিয়ে দিল তরুণদের। ফাগুনের আগুনে পুড়িয়ে দিতে চায় সকল স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক রাজাকারদের। সন্ধ্যা সাতটা, শাহবাগ মোড়ে মৎস্য ভবনমুখী রাস্তায় শহীদ জননী জাহানারা ইমাম-এর ৩৫ ফুটের বিশাল একটি প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়। এই সময় যুদ্ধাপরাধী বিচার-আন্দোলনের অগ্রদূতের প্রতি দাঁড়িয়ে এক মিনিট সম্মান প্রদর্শন করা হয়। এইদিনে ফেসবুকে একটি পোস্ট খুব আলোচনার কেন্দ্রে আসে, শেয়ার হয় লাখ লাখ ‘৪২ বছরের পুরোনো রাষ্ট্রের সংস্কার কাজ চলছে। সাময়িকভাবে শাহবাগের রাস্তা বন্ধ থাকায় আমরা দুঃখিত।’

এই সময় আমরা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামায়াত পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলো বর্জন করার আহ্বান জানাই। দেশবাসীও সেই আহ্বানে বিপুল সাড়াও দেয়। ইসলামী ব্যাংক থেকে বিভিন্ন জেলায় টাকা তোলার হিড়িক পড়ে যায়। বেশ কয়েকটি জেলায় ইসলামী ব্যাংকের বুথ গুড়িয়ে দেয়া হয়। আমরা প্রাথমিকভাবে জামায়াতের ৪৯টি প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করি।

এইদিকে শাহবাগের সাথে সংহতি জানিয়ে ওপার বাংলা থেকে কবীর সুমন গেয়ে ওঠেন-
শাহবাগে রাতভোর
স্মৃতিতে একাত্তর
নব ইতিহাসে সাক্ষী রইল প্রজন্ম চত্বর।
স্লোগানে স্লোগানে কাঁপে লাখো নবীনের বুক
ছেলেমেয়েদের মুখেই আমার বাংলাদেশের মুখ।
হাত ধরে ছেলেমেয়ে মুক্তির গান গেয়ে
জেগে আছে আজ প্রহরীর মতো আসল বিচার চেয়ে।
শহীদ জননী দেখছেন জাগরণ-প্রস্তুতি
সুফিয়া কামাল কাছেই আছেন
বিদ্রোহী নাতিপুতি।

শহিদ জননীর অসমাপ্ত কাজটিকে শেষ করতে তারুণ্যের হাত ধরে জেগে ওঠে বাংলাদেশ। দেশ-বিদেশের নানা ষড়যন্ত্রের পরেও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধের বিচারে আপোষহীন থেকে এক লৌহমানবীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। বিশ্বমোড়লদের রক্তচক্ষুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ৭১ এর ঘাতক রাজাকারদের ফাঁসি বাস্তবায়ন করতে আদালতকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন। এমিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইট ওয়াচ, জন কেরি, হিলারী ক্লিনটন, কিংবা জেমস ক্যামেরুনদের অনুরোধ উপেক্ষা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রায় কার্যকর করা একমাত্র শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব।

মুক্তিযুদ্ধে ছেলে রুমীর আত্মত্যাগ এবং নিজের অবদানের কারণে সবার কাছে আখ্যায়িত হন শহীদ জননী হিসেবে। ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারের কাছে পরাজিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেটের ডেট্রয়েট শহরের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। আজ শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ।

লেখক: সাধারণ সম্পাদক, গৌরব '৭১, সংগঠক, গণজাগরণ মঞ্চ। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

সর্বশেষ খবর