শিরোনাম
প্রকাশ: ১৭:৪৩, শনিবার, ২১ আগস্ট, ২০২১

বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার ষড়যন্ত্র

ড. কাজী এরতেজা হাসান
অনলাইন ভার্সন
বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার ষড়যন্ত্র

স্বাধীন বাংলাদেশের সুর্বণ জয়ন্তীর বছরে দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধুহীন বাংলাদেশে তাকে হারানোর বেদনা আমাদের শোকাহত করে। তার সারাজীবনের ত্যাগ, তিতিক্ষায় পাওয়া স্বাধীনতা এবং একজন গর্বিত বাংলাদেশি হিসেবে বেঁচে আছি সেই শোককে ধারণ করেই। তবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে, তার সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি নিরলসভাবে। আজ সেই কলঙ্কিত ২১ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে পুরো আওয়ামী লীগ পরিবারকে হত্যা করতে চেয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে বরাবরের মতোই আমাদের নেত্রী, বাংলাদেশের মানুষের ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই আজকের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পাচ্ছি।  

বঙ্গবন্ধুহীন বাংলাদেশে জন্মেছি, মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করেছি। আর বাবার কাছে যখন নিষ্ঠুর ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে নিস্পাপ রাসেলসহ স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার কথাগুলো শুনতাম, তখন ভয়ঙ্কর নৃশংস কোন গল্পের মতো মনে হতো। বুকভাঙ্গা কষ্ট থেকে ঘাতকদের প্রতি জন্মাতো প্রচণ্ড ঘৃণা। যখন বেড়ে উঠলাম তখন জানলাম-বুঝলাম, সে গল্প ছিল বাঙালি জাতির স্বপ্নভঙ্গের, জাতিকে পেছনে টেনে নেয়ার, জয় বাংলা স্লোগানকে রুদ্ধ করার, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করার আর বাংলাদেশ নামের মানচিত্র, লাল সবুজের পতাকার জন্মদাতা-জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারানোর বিয়োগান্তক ইতিহাস।পরবর্তীতে পেলাম কেবল বিকৃত ইতিহাস। পেলাম ইনডেমনিটি নামের এক জঘন্য কালো আইন-ঘাতকেরা খুন করবে আর তাদের বিচার করা যাবে না, খুনিদের পুরস্কৃত করতে বিদেশি দূতাবাসের চাকরি দেয়া-এ কেমন বিচারহীনতার সংস্কৃতি? পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্থান করে দিয়ে জঙ্গিবাদের বীজ বপন করে দিলেন জেনারেল জিয়া।

বাংলাদেশের ইতিহাসে রাজনৈতিক কর্মসূচি কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাসমূহের মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা অন্যতম। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশ শেষ হওয়ার মুহূর্তে চালানো পৈশাচিক গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ নিহত হন ২৪ জন। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তবে আহত হয়েছিলেন শতাধিক। অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। তাদের কেউ কেউ আর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাননি। সেদিন বিকেলে ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী হরকাতুল জিহাদের গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের মূল নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে দেশের জন্য তা এক ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনত।

হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নান ও গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এটা পরিষ্কার যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূল লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের হত্যা করা। কিন্তু আমরা দেখেছি, ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পক্ষ থেকে এমন অবিশ্বাস্য কথাও প্রচার করা হয়েছিল যে আওয়ামী লীগ নিজেরাই জনগণের সহানুভূতি ও সমর্থন পেতে ওই গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, গ্রেনেড হামলা এমনভাবে করা হয়েছে যেন শেখ হাসিনা বেঁচে যান এবং জোট সরকারকে একটি বিব্রতকর অবস্থায় ফেলা যায়।

২০০৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদেও জোট সরকারের সাংসদেরা ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যেতে ব্যর্থ হয়ে এখন নৈরাজ্যের মাধ্যমে তারা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় যেতে চায়। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ঘটানো হয়েছে। তখন বিএনপি ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রতিও অঙ্গুলি নির্দেশ করেছিল।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দেশবাসীকে এটা বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করেছিল যে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। কলকাতায় পলাতক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনায় ১৪ জনের একটি দল এই গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। চারদলীয় জোট সরকার ও গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে ওই সব মিথ্যা তথ্য জোট সরকারের সমর্থক পত্রপত্রিকায় প্রচারও করা হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সমর্থক লেখক ও বুদ্ধিজীবীরা সভা-সেমিনারে একই সুরে বক্তব্য দিয়ে, পত্রিকায় কলাম লিখে সেই মিথ্যা প্রচারে সহায়তাও করেছিলেন। কিন্তু ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সত্য প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতৃত্ব চুপ রয়েছে। এ বিষয়ে তারা আর কিছু বলে না। আমাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা রয়েছে যে জোট সরকারের আমলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার তখনকার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ ধরনের মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছিলেন, প্রচার করেছিলেন।

চারদলীয় জোট সরকারের গঠিত এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশনের প্রধান বিচারপতি জয়নুল আবেদীন তার প্রতিবেদনে প্রায় একই কথা বলেছিলেন। মোট ৪০ দিনের অনুসন্ধানে(?) প্রস্তুত তথাকথিত তদন্ত প্রতিবেদনে সেসব মনগড়া তথ্য-ব্যাখ্যাই দেওয়া হয়েছিল, যা জোট সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা বলেছিলেন। আর তদন্ত কমিশনের কাছে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সাবেক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহীম যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তা তো সেই একই কথা, যা বলেছিলেন চারদলীয় নেতা-মন্ত্রীরা।
সিআইডি ও পুলিশের ‘জজ মিয়া’ আখ্যান নিয়ে আমরা তখনই সন্দেহ করেছিলাম। জজ মিয়ার কাহিনিকে ‘আষাঢ়ে গল্প’ বলে উল্লেখ করেছিলাম। এর পরপরই এক সামাজিক অনুষ্ঠানে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আষাঢ়ে গল্প বলছেন, আমরা সত্য প্রকাশ করে প্রমাণ করে দেব, কীভাবে সীমান্তের ওপার থেকে পরিকল্পনা হয়েছে, কীভাবে সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও তার সঙ্গীরা এই গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে।’ একই কথা তিনি আরও অনেকবারই বলেছিলেন। চারদলীয় জোট সরকার আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে সত্য আর প্রকাশ করতে পারেনি! তত দিনে সবাই সত্য ঘটনা জেনে গেছে। যে সত্যকে তাঁরা লুকিয়ে রেখেছিলেন।

মনে পড়ে, ২১ আগস্টের ঘটনার পরপর তৎকালীন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত সে সময়ই হুবহু একই রকম কথা বলেছিলেন। তিনিও বলেছিলেন, এটা আওয়ামী লীগেরই কাজ। এ ঘটনায় তারাই তো লাভবান হবে। তারা সহানুভূতি পাবে। এমনকি ঘটনার আগের মুহূর্তে শেখ হাসিনা আইভি রহমানকে মঞ্চে ডেকে নিতে চেয়েছিলেন। সে কথাও তিনি বলেছিলেন। শেখ হাসিনার জ্ঞাতসারেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে ওই পাকিস্তানি কূটনীতিক বলেছিলেন।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর পুরো পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর, সশস্ত্র বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের দেড় বছরে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনার নেপথ্যের অনেক তথ্যই বেরিয়ে এসেছিল। এখন এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হচ্ছে যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার জেনেশুনে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটনা এবং উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী ও প্রকৃত আসামিদের আড়াল করার চেষ্টা করেছিল।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা পরে বলার চেষ্টা করেছেন যে পুলিশ ও সিআইডি তাদের ভুল বুঝিয়েছিল। উদ্দেশ্যপূর্ণ তথ্য দিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করেছিল। পরে যখন সত্য জানতে পারেন, তখন আর তাদের কিছু করার ছিল না। কিন্তু তাদের এসব বক্তব্য মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকারের মন্ত্রী-নেতারা পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে ২১ আগস্টের ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ ও ভারতকেই দায়ী করছিলেন। এ কথা তারা প্রচার করেছেন সুপরিকল্পিতভাবে।

২১ আগস্টের ঘটনার পরপরই দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বেগম জিয়াও সেসব কথাই বলেছিলেন নানাভাবে। সর্বশেষ যেসব তথ্য প্রকাশ পেয়েছে, তাতে আমাদের সন্দেহই সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। তৎকালীন জোট সরকারের উচ্চপর্যায়ের পরামর্শেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা, সিআইডি ও পুলিশের তখনকার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিলেন। তারা পেশাদার খুনি চক্র, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব এবং ভারতের ওপর এই হামলার দায়দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করে প্রকৃত অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলার আলামত নষ্ট করা হয়েছিল। তৎকালীন সরকারের আহ্বানে বিদেশ থেকে আসা ইন্টারপোল ও এফবিআইয়ের বিশেষজ্ঞদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। অবশ্য বিদেশি বিশেষজ্ঞদের আনাটা ছিল লোক দেখানো একটি কৌশলমাত্র।

বিগত সময়কালে অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, জোট সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরকে সে সময়ে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা সম্পর্কে কোনো তদন্ত করতে নিষেধ করেছিলেন। তৎকালীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার পছন্দের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের দিয়ে ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্যমূলক তদন্ত করতে বলেছিলেন। সে তদন্ত প্রতিবেদন আর কোনো দিন প্রকাশ করা হয়নি। এখন কোথাও তা পাওয়া যায় না।

এসব তথ্যের পটভূমিতে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক, তা হলে কি ২১ আগস্ট হামলার সঙ্গে জোট সরকারের উচ্চপর্যায়ের কোনো যোগসাজশ ছিল? সে সময়ে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরে কর্মরত কোনো কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মনেও এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল তখনই। এখনো তারা সে রকমই ভাবেন। ওই হামলার পরপর বিভিন্ন ঘটনা থেকে এমন ধারণাই হয়েছিল তাদের। বর্তমান তদন্তে জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তার সরকারি বাসভবনে এই হামলা নিয়ে বৈঠকও হয়েছিল। তদন্ত কর্মকর্তারা পিন্টু পর্যন্ত গিয়ে থেমে গেছেন। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের আরও কেউ সম্পৃক্ত ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখাটা জরুরি ছিল। এই প্রশ্ন ওঠা খুবই প্রাসঙ্গিক, কারণ জোট সরকার এই ঘটনার তদন্ত সম্পূর্ণ উল্টোপথে চালিত করেছিল। আর এই কাজে সরকারের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের মনোভাবও ছিল একই রকম।

বিগত সময়কালে যখন শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে হত্যা করতে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মতো অবিশ্বাস্য ভয়াবহ ঘটনাবলির প্রায় সব তথ্য বের হয়ে এসেছে, তখন এটা সত্যি বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পড়ে যে একটি নির্বাচিত সরকার ও নেতৃত্ব কীভাবে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিকে ধ্বংস করতে কী নির্লজ্জভাবে সত্যকে উল্টোপথে পরিচালিত করতে পারে!

২১ আগস্টের মতো ভয়ংকর ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের এই ভূমিকাকে দেশের মানুষ কীভাবে গ্রহণ করবে? এ ঘটনা বিএনপির বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য একটি কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবেই বিবেচিত হবে। এই কলঙ্ক মুছে ফেলা বিএনপির জন্য এক কথায় অসম্ভব।

এ মামলায় ২০১৮ সালে ঘটনার দীর্ঘ ১৪ বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়। রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন উক্ত ২১ আগস্ট চালানো গ্রেনেড হামলার ঘটনায় আনা পৃথক দুই মামলার রায় ঘোষণা করেছেন ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, ডিজিএফআইর তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআই তৎকালীন মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিমসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, সাবেক সাংসদ কায়কোবাদসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১০ বছর বিচারিক কার্যক্রম শেষে এ রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে নৃশংস এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিচারিক আদালতের কার্যক্রম শেষ হলো।

ঘটনার পরের দিন, অর্থাৎ ২২ আগস্ট, ২০০৪ মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নম্বর ছিল ৯৭। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তী সময়ে মামলাটি যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)। তৎকালীন সরকার ঘটনা তদন্তে ২০০৪ সালের ২২ আগস্ট বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে চেয়ারম্যান করে এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে। এক মাস ১০ দিনের মাথায় ১৬২ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন দাখিল করে ওই কমিশন, যেখানে এ হামলার পেছনে একটি শক্তিশালী বিদেশি শক্তি জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়। তবে কোনো বিদেশি শক্তির নাম কমিশন প্রদত্ত প্রতিবেদনে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। তৎকালীন সরকার যুক্তরাজ্যের তদন্ত সংস্থা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকেও তদন্তের জন্য আমন্ত্রণ জানায়; কিন্তু ওই তদন্তও সম্পন্ন হয়নি ।

ঘটনার ১০ মাসের মাথায় ২০০৫ সালের ৯ জুন জজ মিয়া নামের এক যুবককে সিআইডি আটক করে। ১৭ দিন রিমান্ডে রেখে জজ মিয়ার কাছ থেকে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়। কিন্তু জজ মিয়ার সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে শুরু থেকেই জল্পনা-কল্পনা চলতে থাকে এবং একে সাজানো নাটক বলে বিভিন্ন মহল, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ থেকে দাবি করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত জজ মিয়ার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি মর্মে পরবর্তী তদন্তে উল্লেখ করা হয় ।

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে মামলাটির তদন্ত পুনরায় শুরু হয় এবং ওই সময়ের তদন্তে গ্রেনেড হামলা বিষয়ে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং গোপন জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) সরাসরি অংশগ্রহণের বিষয় তদন্তে সামনে আসতে থাকে।

ঘটনার তিন বছর নয় মাস ২১ দিন পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডির সিনিয়র এএসপি ফজলুল কবির সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। ওই বছরই মামলা দুটির কার্যক্রম দ্রুত বিচার আদালত-১-এ স্থানান্তর করা হয়। বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে এ মামলার বিচার শুরু হয়।

২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ২০০৯ সালের ৯ জুন পর্যন্ত ৬১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল। পরে ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনক্রমে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। এবার মামলাটি অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ, যিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই প্রথম অভিযোগপত্রের ২২ জন ছাড়াও তারেক রহমানসহ আরো ৩০ জনের (মোট আসামি ৫২ জন) বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১৮ মার্চ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সম্পূরক চার্জশিটের ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ফের বিচার শুরু হয়।

মূলত ২০১২ সালের ১৮ মার্চ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এবং বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম উল্লেখ করে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের পর থেকেই এই মামলার কার্যক্রমকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে আসছে বিএনপি।

মামলার বিচারে রাষ্ট্রপক্ষের ৪৯১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আসামিপক্ষে ২০ জন সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলায় ১৪৪টি আলামত ও ৫৫টি ডেট প্রদর্শন করা হয়েছে। গত বছরের ২৩ অক্টোবর এ মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়। শুনানি শেষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর আদালত রায়ের দিন ঘোষণা করে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় এ রায়ের নানাবিধ প্রভাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্যে তারেক রহমানের নাম ও সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ না হওয়ার পরও শুধু মুফতি হান্নানের একটি জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে তাকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে, তারেক রহমানের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত না হওয়ায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী হতাশা দেখিয়েছেন।

এ রকম একটি চাঞ্চল্যকর মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে বিচারহীনতার সংস্কৃতি লাঘব হওয়ার পথ অনেকটা সুগম হবে। তবে উচ্চ আদালতে মামলার আপিল কার্যক্রম সম্পন্ন করে চূড়ান্ত অপরাধীর তালিকা নিশ্চিত হতে হয়তো আরো বেশ কিছু সময় লেগে যাবে। সত্যিকারের অপরাধী কিংবা অপরাধীদের চূড়ান্ত বিচারে শাস্তি নিশ্চিত হোক, এটাই আমাদের সকলের প্রত্যাশা। কারণ তারা সেদিন বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্যই এই ঘৃণ্যতম গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে। জাতি এ কলঙ্কিত অধ্যায়ের সাথে যারাই জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেখে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এমন কোনো হামলা আর কখনোই বাংলাদেশে ঘটবে না এটাই প্রত্যাশা করি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক ভোরের পাতা ও দ্য পিপলস টাইম
পরিচালক, এফবিসিসিআই।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর
প্রাণের স্পন্দনে জেগে উঠুক দেশের ফুটবল
প্রাণের স্পন্দনে জেগে উঠুক দেশের ফুটবল
খাদ্য মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য ও বৈষম্য
খাদ্য মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য ও বৈষম্য
নেপাল পারলে কেন পারবে না বাংলাদেশ?
নেপাল পারলে কেন পারবে না বাংলাদেশ?
নেপাল-শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের মিল-অমিলের পোস্টমর্টেম
নেপাল-শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের মিল-অমিলের পোস্টমর্টেম
খাদ্যসংকটের এদিক-ওদিক
খাদ্যসংকটের এদিক-ওদিক
শিক্ষা ও সংস্কৃতিচর্চা শত্রু নয়
শিক্ষা ও সংস্কৃতিচর্চা শত্রু নয়
ডাকসু : কেন এমন হলো
ডাকসু : কেন এমন হলো
বাংলাদেশ অর্থনীতি: উন্নয়নের যাত্রায় টেকসই সমৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ অর্থনীতি: উন্নয়নের যাত্রায় টেকসই সমৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ
আত্মহত্যা প্রতিরোধে নিতে হবে মনের যত্ন
আত্মহত্যা প্রতিরোধে নিতে হবে মনের যত্ন
মব ও গুজব রোধে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা সেনাবাহিনীর
মব ও গুজব রোধে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা সেনাবাহিনীর
প্রধান উপদেষ্টার একটি বড় অর্জন
প্রধান উপদেষ্টার একটি বড় অর্জন
হাসিনাকে পুশইন করুক দিল্লি
হাসিনাকে পুশইন করুক দিল্লি
সর্বশেষ খবর
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

এই মাত্র | রাজনীতি

মোংলায় ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক
মোংলায় ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে বদলাবে গ্রুপ চ্যাটের ধরণ
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে বদলাবে গ্রুপ চ্যাটের ধরণ

৯ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গেল গ্রাম, নিখোঁজ অন্তত ১০
উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গেল গ্রাম, নিখোঁজ অন্তত ১০

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেফতার ১১
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেফতার ১১

১৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশি সমর্থকরা শীলঙ্কার জয়ের অপেক্ষায় রয়েছে : শানাকা
বাংলাদেশি সমর্থকরা শীলঙ্কার জয়ের অপেক্ষায় রয়েছে : শানাকা

২২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা, নিহত ছাড়াল ৬৫ হাজার
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা, নিহত ছাড়াল ৬৫ হাজার

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের অন্যতম সহযোগী গ্রেফতার
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের অন্যতম সহযোগী গ্রেফতার

৩৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বয়স্কদের সুষম খাদ্য
বয়স্কদের সুষম খাদ্য

৩৬ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার জেরে আত্মহত্যা, ৯০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ
কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার জেরে আত্মহত্যা, ৯০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

তিন দফা দাবি মানল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা
তিন দফা দাবি মানল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কঙ্গোতে ইবোলার নতুন প্রাদুর্ভাব, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
কঙ্গোতে ইবোলার নতুন প্রাদুর্ভাব, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুঁজিবাজার: সূচকের ওঠানামায় চলছে লেনদেন
পুঁজিবাজার: সূচকের ওঠানামায় চলছে লেনদেন

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এয়ার ইন্ডিয়ায় দুর্ঘটনা, বোয়িং-হানিওয়েলের বিরুদ্ধে মামলা
এয়ার ইন্ডিয়ায় দুর্ঘটনা, বোয়িং-হানিওয়েলের বিরুদ্ধে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্র্যাপিস্ট-ওয়ানই গ্রহ নিয়ে নতুন আশা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের
ট্র্যাপিস্ট-ওয়ানই গ্রহ নিয়ে নতুন আশা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

২০ কোটি বছরের পুরনো কোয়েলাক্যন্থ জীবাশ্ম শনাক্ত
২০ কোটি বছরের পুরনো কোয়েলাক্যন্থ জীবাশ্ম শনাক্ত

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় ইংল্যান্ডের
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় ইংল্যান্ডের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর চরাঞ্চলে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত
নরসিংদীর চরাঞ্চলে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওষুধের আগ্রাসী বিপণনে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন
ওষুধের আগ্রাসী বিপণনে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রোনালদোকে ছাড়াই আল-নাসরের গোল উৎসব
রোনালদোকে ছাড়াই আল-নাসরের গোল উৎসব

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চাঁদপুর কবরস্থানে নবজাতক রেখে যাওয়ার ঘটনায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ
চাঁদপুর কবরস্থানে নবজাতক রেখে যাওয়ার ঘটনায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নেই স্যান্টনার, দায়িত্বে ব্রেসওয়েল
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নেই স্যান্টনার, দায়িত্বে ব্রেসওয়েল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চার দফা দাবিতে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
চার দফা দাবিতে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ
হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাই
ছয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাই

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

১০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল
রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল

১৮ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন
একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ
বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস
কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি
বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস
উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস

মাঠে ময়দানে

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন