শিরোনাম
প্রকাশ: ১৭:০৯, সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১ আপডেট:

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে

জাহাঙ্গীর কবীর নানক
অনলাইন ভার্সন
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে

আগস্ট মাস বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে এক বিষের বীণায় রক্তস্নাত অশ্রুঝরা প্লাবনধারার মাস। এ মাসেই বাঙালির মহাকালের মহানায়ক ও মহান দার্শনিক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নারকীয়ভাবে হত্যা করেছিলো মানুষরূপী নরপিশাচরা। আগস্টের শোকাতুর আর্তনাদের স্মৃতিকথায় আমাদের হারানোর বেদনাকে আমরা গভীরভাবে অনুভব করি।

বাংলার আকাশে যতবারই বিজয়ের লাল সূর্যের লালিমা দৃশ্যমান হয়েছে, ততবারই আঁধারের ঘনঘটা এসে বাংলার আলোর আভাকে নিভিয়ে দেওয়ার প্রয়াস চালিয়েছে। ঠিক যেমন ১৯৭১ সালে হাজার বছরের শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতি তার লালিত স্বপ্ন সাধ স্বাধীনতাকে আলিঙ্গন করেছিল, ঠিক তার পরক্ষণেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে আবারও বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্যকে ঘাতকরা চিরতরে অস্তমিত করবার পাঁয়তারা করেছিল৷ কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্ব ততদিনে মিশে গিয়েছিলো বাংলার পর্বত, বায়ু, গিরি, জলে। বঙ্গবন্ধু নিজের আদর্শকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সমগ্র বাংলার পথে প্রান্তরে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেও তার আদর্শের টিকিটি পর্যন্ত টলাতে পারেনি সেই স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র। 

১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিলো ইতিহাসের কালো যুগে ঘটা সবচেয়ে জঘন্য রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। যুগে যুগে আমরা দেখেছি মহান দার্শনিক, মহান রাজনীতিকদের হত্যা করে তাদের কন্ঠরোধ করার অপতৎপরতা চলেছে সমগ্র বিশ্বে। কিন্তু এভাবে সপরিবারে শিশুপুত্রসহ হত্যা সকল রাজনৈতিক হত্যার বর্বরতার সীমারেখার পাত ভেঙে ফেলেছে। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড কোন সেনা বিদ্রোহ ছিল না। সুদীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের আচল বেঁধে এই আগস্ট ট্র্যাজেডিকে মঞ্চস্থ করা হয়েছিল দেশি-বিদেশি ও আন্তর্জাতিক মহলের প্রত্যক্ষ মদদে। আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এদেশীয় কিছু খুনীদের ভাড়া করে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের উপর।

সেই আইএসআই ও আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহলের সাথে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিলেন সে সময়ের তৎকালীন উপসেনা প্রধান খুনি জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যার ছক কষতে ১৯৭৪ থেকে হত্যার পূর্ব পর্যন্ত প্রায়ই মেজর জিয়ার সাথে ব্যক্তিগত বৈঠকে বসেছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর স্টেশন চিফ ফিলিপ চেরী। সাংবাদিক লরেঞ্জ লিফশুলজ ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'সিআইএর তত্ত্বাবধানে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে প্রধান ভূমিকা পালন করেন জিয়া। জিয়ার সহযোগিতা ছাড়া ওই হত্যাকাণ্ড ঘটতই না। জিয়া অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কর্নেল রশীদের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন এবং রশীদকে সব সময় আশ্বস্ত করেন যে, তিনি তাদের সঙ্গে আছেন।' কাজেই জেনারেল জিয়া যে পর্দার আড়াল থেকে এই নারকীয় ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যপ্রণেতা আজ তা দিবালোকের মতো সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। 

তারা হত্যা করেছিল বাংলার মহিয়সি নারী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে। হত্যা করে বিশিষ্ট ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক  মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, নববিবাহিতা স্ত্রী সুলতানা কামাল, লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও তার বিধবা স্ত্রী রোজী জামাল, ১০ বছরের শিশু পুত্র শেখ রাসেল, কর্নেল জামীলসহ অনেককে। তারা হত্যা করে কৃষক নেতা আব্দুর রব সেরনিয়াবাদসহ পরিবারের অনান্য সদস্যদের। তারা হত্যা করে ৭১ এ মুজিব বাহিনী প্রধান ও যুব লীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ মনি ও তার অন্তসত্তা স্ত্রী আরজু মনিকে ।

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর আমরা ঘুরে বেরিয়েছি উদ্ভ্রান্ত চাতক পাখির মতো। সেদিন যেন বাংলার আকাশের হাহাকার আর আর্তনাদের প্রতিধ্বনি মিলিয়ে গিয়েছিল মহাকাশের গ্রহ নক্ষত্র ভেদ করে। সেই আগস্ট ট্র্যাজেডির খলনায়কদের মুখোশ উন্মোচন হলেও অনেকেই এখনও পর্দার আড়ালেই রয়ে গেছে৷ আজ সময় এসেছে জাতির কাছে  আড়ালের সেই মানবরূপী দানবদের লেবাস উন্মোচনের। আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়া সেই প্রেতাত্মাদের মুখ ও মুখোশ উন্মোচন হয়নি বলেই ১/১১ এর অঘটনের সময়ে মাননীয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। আমরা ৭৫ এর আগস্টের ২১ তারিখ মিছিল করেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ।

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু মুজিব আসবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। নুতন সাজে সেজেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আনন্দে আত্মহারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। চোখে ঘুম নেই। এমন সময় শেষ রাতে মসজিদে আযানের ধ্বনি “আসসলাতু খাইরুন মিনান নাউম”। তখনই কামানের গোলা ও গুলির শব্দে ঢাকাবাসীর ঘুম ভাঙলো। কিছুক্ষণে রেডিও মারফত জানা গেল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। আমি, আমার বন্ধু কাসেম ও ছালাম শহীদ (কানাডা প্রবাসী) ছুটে গেলাম সেরনিয়াবাদ সাহেবের বাসায়। সেখানে যেতেই গেটে একজন পুলিশ বলল এখানে সব শেষ করে দিয়েছে।

আপনারা তাড়াতাড়ি চলে যান। আমরা ছুটে গেলাম আমু ভাইয়ের বাসায়। আলু বাজার তার খালার বাসায়। আমু ভাইকে নিয়ে আমরা বেরিয়ে গেলাম। ততক্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খুনিদের অনুগত কিছু সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়েছে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে।তাদের আশঙ্কা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ হতে পারে। আমু ভাইও পরে গ্রেফতার হয়ে যান।

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর যখন পুরো দেশে শোকের মাতম চলছিল তখন খুনি মোশতাক বঙ্গভবনে সংসদ সদস্যদের ডাকলেন৷ আমরা তখন এমপিদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চিঠি দিয়ে তাদের সতর্ক করেছি। এর পরিণাম ও পরিণতির কথা তাদেরকে বারবার স্মরণ করিয়েছি৷ আমরা বলেছিলাম, ‘বঙ্গভবনে মোশতাকের ওই সংসদীয় সভায় উপস্থিত হওয়া যাবেনা।’ কিন্তু তারপরেও অনেকেই সেই সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন৷ শুরু হলো দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করবার এক নোংরা খেলা।বিভ্রান্ত করা হয়েছিল বিশ্ববাসীকে৷ বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার দুই তৃতীয়াংশ মন্ত্রী সেদিন খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন৷ আমরা গুটিকতক মুজিব সৈনিক সেদিন প্রতিরোধ গড়েছিলাম কিন্তু নেতৃত্বের আত্মসমর্পণের কারনে সে প্রতিরোধ ধোপে টেকেনি। 

১৯৭৬ এ প্রথম শাহাদাৎবার্ষিকীতে বরিশালে হরতাল পালন করতে গিয়ে ১০ আগস্ট গ্রেফতার ও অমানবিক নির্যাতনের শিকার হই এবং ওই সময়ে বরিশালে ছাত্রলীগ নেতা  শহীদ খান (মৃত) শহীদ সেরনিয়াবাদ, সুভাষ  রায় (মৃত) হেমায়েত হাওলাদার, সামসুদ্দীন খাজা, শহীদ বিশ্বাস, গাওসে আলম লাল, হুমাউনসহ কতিয়  ছাত্রলীগ নেতা অদম্য সাহসের পরিচয় দিয়েছেন । 

আগস্ট মাস এলেই যেন হন্তারকদের রক্তে হায়েনাদের মতো হিংস্রতা কাজ করে৷ আগস্ট এলেই যেন শিতল মস্তিস্কের ষড়যন্ত্রের জলছাপ দেশজুড়ে দানা বাঁধে। ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর জন্য যেন স্বাধীনতা বিরোধীরা সবসময়ই আঁটসাঁট বেঁধে তৈরি থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর উদ্দেশ্যে ও আওয়ামী লীগকে ইতিহাসের পাতা থেকে চিরতরে মুছে ফেলতে সেদিন রাবণের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল দেশবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দেশীয় বিদেশি দোসর খালেদা-তারেক-নিজামীরা।

সেদিন আওয়ামী লীগের পূর্ব নির্ধারিত সন্ত্রাস, বোমাবাজি, জঙ্গী হামলার প্রতিবাদে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সমাবেশে ভয়ংকর গ্রেনেড হামলা হয়। যে আর্জেস গ্রেনেড দিয়ে সব কিছু ধ্বংস করতে চেয়েছিল সেই গ্রেনেড কারা ব্যবহার করে থাকে, এটা তারা কোথা থেকে পেলো এর তদন্ত করতে গিয়ে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। বিএনপির শাসনামলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে এমনই পৈশাচিক ও নারকীয় বর্বরতা ঘটেছে বহুবার। বানিয়ারচরে গির্জায়, খুলনায় কাদিয়ানিদের মসজিদে, সিলেটে হজরত শাহজালালের মাজারের মতো ধর্মীয় স্থানে ঘটেছিল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা।

২১ আগস্টের ভয়াল হামলায় অবিস্ফোরিত যে গ্রেনেডগুলো পাওয়া গিয়েছিল তার সবই ছিল ‘আর্জেস গ্রেনেড'। গ্রেনেডের গায়ে লেখা ছিলো পাকিস্তান অর্ডিনেন্স ফ্যাক্টরিজ। বুঝতে আর বাকি থাকেনা কাদের মদদ আর কোন  আঁতাতে এই নারকীয় কর্মযজ্ঞ সাধিত হয়েছে। সেদিনও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বুকের রক্ত ঝরেছে, অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন অনেক নেতাকর্মী।

মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষায় সেদিন আওয়ামী লীগের নেতারা মৃত্যুকেও পরোয়া করেনি। সেদিনের কথা স্মৃতিতে ভাসলে মনে আসে, হামলার পরে আমি ও মির্জা আজম  সুধাসদনে গিয়েছিলাম। ঢুকে দেখি নেত্রী সোফায় বসা আর সোফার হাতলে বসে নেত্রীর গলা জড়িয়ে ধরে কান্না করছেন ছোট আপা (শেখ রেহানা)। তার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছে। আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, ‘বাইচা আছো।’ এরই মধ্যে নেত্রীর নিরাপত্তায় পুরো সুধাসদন কর্ডন করে রেখেছে আমাদের নেতাকর্মীরা।

আমি আপাকে বললাম ওদের (বিএনপি-জামায়াত) আর ছাড়ব না। ক্ষমতায় থাকতে দেব না। অনির্দিষ্টকালের হরতাল দিয়ে সব কলাপস করে দিব। রক্তের বদলা নেবই। ওদের পতন না ঘটা পর্যন্ত হরতাল চলবে। যেখানে যার বাড়িঘর আছে, সমস্ত জ্বালিয়ে দেব। নেত্রী তখন বললেন, 'আমি রাজনীতি করি মানুষের জন্য। আগে আমার মানুষকে বাঁচাও। হরতাল হলে তারা মুভমেন্ট করতে পারবে না। রাজনীতি পরে।' তিনি কেঁদে কেঁদে বললেন, 'আমার জন্য আর কত মানুষ জীবন দিবে? ওদের বাঁচাও। আমার আর রেহানার সমস্ত গহনা বিক্রি করে হলেও ওদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করো।' নেত্রীর নির্দেশে আমাদের চিকিৎসকদের নিয়ে তিনটি চিকিৎসক টিম করে হাসপাতালে নামিয়ে দিতে বললেন। কারণ ড্যাবের ডাক্তাররা (বিএনপি পন্থি ডাক্তার সংগঠন) হাসপাতালগুলি থেকে সরে গেছে, আহতদের কোনো চিকিৎসা তারা দেবেন না। আমরা আমাদের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বললাম। তারা সবাই যার যার জায়গা থেকে আহতদের চিকিৎসায় নেমে পড়লেন। 

সেদিন রাতে আবার সুধাসদনে গেলাম। তখন রাত সাড়ে এগারোটা বাজে। নেত্রী বললেন, 'কালকে তোমরা দুইজনে ওই এলাকাটা (সমাবেশস্থল) একটু সংরক্ষণ করো।' পরের দিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখলাম, সেখানে পুলিশ রয়েছে। তারা আমাদেরকে আমাদের দলীয় অফিসে ঢুকতে দেবে না। আমরা চিৎকার করে বলতে লাগলাম, 'মরাকে আর মারার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। গুলি করেন বুকে। তারপরও ঢুকবো।'

এক সময় ওয়াকিটকিতে কার সঙ্গে যেন কথা বলল পুলিশ। আমরা ধাক্কা দেয়ার পর তারা সরে গেল। আমরা যখন ঢুকলাম, তখনও রক্ত শুকায় নাই। ছুপ ছুপ রক্ত পড়ে আছে। যুবলীগ অফিসে ঢুকে দেখি আঙ্গুল পরে আছে। পা ফেলতে পারছি না। হাতের আঙুল, নখ, কাঁচা গোশত, হাজার হাজার জুতা পড়ে আছে। লাল ব্যানার ছিঁড়ে লাঠিতে বেঁধে ট্রাকসহ পুরো এলাকা আমরা ঘিরে রাখলাম। গ্রেনেডের চিহ্নিত জায়গাগুলোয় লাল পতাকা টানিয়ে দিলাম।  ওইদিন রাতেই (২২ আগস্ট) সিটি করপোরেশনের গাড়ি সব আলামত ধুয়ে ফেলল। ট্রাকটা নিয়ে গেছে। কোনো আলামত তারা রাখেনি। সবকিছু নিশ্চিহ্ন করে রেখেছে। 

বঙ্গবন্ধু ছিলেন গ্রিক পুরাণের পৌরাণিক ফিনিক্স পাখির মনুষ্য রূপ৷ যিনি দগ্ধ ভস্ম ভেদ করে পুনরায় পরাজয়ের দোরগোড়া থেকে অদম্য ও অমর অক্ষয় রূপে বিজয়ীর বেশে প্রত্যাগমন করতে পারতেন৷ দীর্ঘ জেল জীবন কাটিয়ে বাঙালির মুক্তির নায়ক বনে যাওয়া ছিল তারই অনুপম নিদর্শন। মা, মাটি ও মানুষের ভালোবাসা ছিল যার যাপিত জীবনের একমাত্র অবলম্বন।মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেও তিনি অবিনশ্বর হয়ে জিইয়ে রয়েছেন। বাঙালির প্রতিটি সম্মুখ অগ্রযাত্রায়, পাখির কলাকাকলিতে, নদীর বহমান কলতানে আর বিজয়ের প্রতিটি উল্লসিত কন্ঠের মাঝেই বঙ্গবন্ধুর রক্ত ঋণ প্রবাহমান৷ বাংলার যে আকাশে আজ মুক্ত বিহঙ্গেরা ওড়ে সে আকাশের বিশালতা আর ব্যপ্তির পরিমাপ ফুটে উঠেছিলো বঙ্গবন্ধুর ওই কালো চশমার অন্তরে নিহিত আঁখি দুটির মাঝে।

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট আমাদের জন্য একটি শিক্ষা। এই শোকের মাতমকে আমাদের শক্তির আতুড়ঘর করে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে ২১ আগস্টের কুশীলবদের সম্পর্কে অবগত করতে হবে। আগস্ট ট্র্যাজেডির সকল আস্ফালন থেকে শিক্ষা নিয়েই আমাদের নতুন প্রজন্মকে পুনর্জাগরণের আলোয় উদ্ভাসিত করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারের বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নসাধের সোনার বাংলা আমাদের হাতড়িয়ে বেড়াবে।

বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনা সেই পথেরই দিশারি। পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো তিনি সমাপ্ত করতে হাল ধরেন দেশের। ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে তিনি নানাবিধ উন্নয়নের পরিকল্পনা করেন, কিন্তু ২০০১ একাত্তরের প্রেতাত্মা জামায়াত বিএনপি ক্ষমতায় এসে তার পরিকল্পনা ভেস্তে দেন। চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৮ ক্ষমতায় এসেই তিনি ভিশন ২০২১, ভিশন ২০৪১ এবং ডেল্টা প্লান করেন। সারাদেশে তিনি উন্নয়নের মহাযজ্ঞ শুরু করেন।

এনালগ বাংলাদেশ রূপান্তরিত হয় ডিজিটাল বাংলাদেশে। তিনি দশটি মেগা প্রকল্প হাতে নেন। বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পগুলো হলো পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প; রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন; রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট; মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট; ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (মেট্রোরেল); এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, মহেশখালী, কক্সবাজার; সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর; পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর; পদ্মা রেল সেতু সংযোগ প্রকল্প ও দোহাজারী থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ। যেসব প্রকল্পের অধিকাংশেরই ৭০ শতাংশেরও বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে ইতোমধ্যে। 

পিতা মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলা এগিয়ে যাচ্ছে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার ধমনীতে প্রবাহিত, যে রক্ত কোনদিন পরাভব মানে না। সেই রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনার হাতেই সফলতা অর্জিত হবে।  আল্লাহর রহমতে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

এই বিভাগের আরও খবর
স্পর্শকাতর পণ্যের সুরক্ষা উপেক্ষিত ছিল
স্পর্শকাতর পণ্যের সুরক্ষা উপেক্ষিত ছিল
নানা সূচকে ‘ইমেজ ক্রাইসিসে’ বাংলাদেশ
নানা সূচকে ‘ইমেজ ক্রাইসিসে’ বাংলাদেশ
রাজনৈতিক আকাশে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ
রাজনৈতিক আকাশে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ
এইচএসসির ফল দিয়ে নির্বাচনি ভাবনা
এইচএসসির ফল দিয়ে নির্বাচনি ভাবনা
সুষ্ঠু নির্বাচন : সেনাবাহিনীর আরো মানোন্নয়নের সুযোগ
সুষ্ঠু নির্বাচন : সেনাবাহিনীর আরো মানোন্নয়নের সুযোগ
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে
সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
সর্বশেষ খবর
কথাবার্তায় সংযম জরুরি
কথাবার্তায় সংযম জরুরি

এই মাত্র | ইসলামী জীবন

ব্যক্তিগত ও জাতীয় সংকটে মুমিনের ১০ কাজ
ব্যক্তিগত ও জাতীয় সংকটে মুমিনের ১০ কাজ

১২ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

গ্যালাক্সির রহস্যময় আলো, উৎস হতে পারে ‘ডার্ক ম্যাটার’
গ্যালাক্সির রহস্যময় আলো, উৎস হতে পারে ‘ডার্ক ম্যাটার’

১৬ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

পুরুষদের মস্তিষ্ক নারীদের তুলনায় দ্রুত সঙ্কুচিত হয় : গবেষণা
পুরুষদের মস্তিষ্ক নারীদের তুলনায় দ্রুত সঙ্কুচিত হয় : গবেষণা

৩৬ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ অক্টোবর)

৫৩ মিনিট আগে | জাতীয়

চীন-যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন ১৭ বিক্রির রেকর্ড
চীন-যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন ১৭ বিক্রির রেকর্ড

৫৮ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

দ্বিতীয়বারের মতো ‘মালাক্কা আন্তর্জাতিক হালাল ফেস্টিভালে’ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
দ্বিতীয়বারের মতো ‘মালাক্কা আন্তর্জাতিক হালাল ফেস্টিভালে’ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

পাহাড়ি জনপদে শিক্ষা বিস্তারে  স্কুলে শিক্ষা সামগ্রী দিল বিজিবি
পাহাড়ি জনপদে শিক্ষা বিস্তারে  স্কুলে শিক্ষা সামগ্রী দিল বিজিবি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ল উড়োজাহাজ, ১৬২ আরোহী অক্ষত
রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ল উড়োজাহাজ, ১৬২ আরোহী অক্ষত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!
২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে কাবুলকে যা করতে বললো পাকিস্তান
যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে কাবুলকে যা করতে বললো পাকিস্তান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন গলার কাঁটা
আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন গলার কাঁটা

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুদ্ধবিরতি ভাঙলে হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করবেন ট্রাম্প!
যুদ্ধবিরতি ভাঙলে হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করবেন ট্রাম্প!

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিল দক্ষিণ কোরিয়া
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিল দক্ষিণ কোরিয়া

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গবেষণায় অবদান রাখায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষককে প্রণোদনা
গবেষণায় অবদান রাখায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষককে প্রণোদনা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুঃসংবাদ পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
দুঃসংবাদ পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাড়ির ছাদে শুকানো হচ্ছিল গাঁজা, আটক ১
বাড়ির ছাদে শুকানো হচ্ছিল গাঁজা, আটক ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লঙ্কার কাছে হেরে টাইগ্রেসদের সেমির স্বপ্নভঙ্গ
লঙ্কার কাছে হেরে টাইগ্রেসদের সেমির স্বপ্নভঙ্গ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা, তা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ
এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা, তা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কিশোরগঞ্জে ভর সকালে বাড়ির গেট কেটে ১৩ ভরি স্বর্ণালংকারসহ টাকা চুরি
কিশোরগঞ্জে ভর সকালে বাড়ির গেট কেটে ১৩ ভরি স্বর্ণালংকারসহ টাকা চুরি

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিএসজি ভক্তদের জন্য জোড়া সুসংবাদ ও দুঃসংবাদ
পিএসজি ভক্তদের জন্য জোড়া সুসংবাদ ও দুঃসংবাদ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার
৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারা গেলেন 'শোলে'র জেলার গোবর্ধন আসরানি
মারা গেলেন 'শোলে'র জেলার গোবর্ধন আসরানি

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজায় একদিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু
গাজায় একদিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বুড়িমারী স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বুড়িমারী স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ওপর আবারও শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের
ভারতের ওপর আবারও শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অতিরিক্ত দুই জজের বাংলোতে দুঃসাহসিক চুরি, আটক ৪
অতিরিক্ত দুই জজের বাংলোতে দুঃসাহসিক চুরি, আটক ৪

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রাম বন্দরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
চট্টগ্রাম বন্দরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

১০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘আমাদের একটু বেশি ধারাবাহিকতা তৈরি করতে হবে’
‘আমাদের একটু বেশি ধারাবাহিকতা তৈরি করতে হবে’

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আরও ১-২ বছর থাকবে : ইকবাল করিম ভূঁইয়া
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আরও ১-২ বছর থাকবে : ইকবাল করিম ভূঁইয়া

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বলিউডে কার আয় কত? অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক তালিকা প্রকাশ
বলিউডে কার আয় কত? অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক তালিকা প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা, তা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ
এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা, তা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানি বাড়িয়ে পুনঃনির্ধারণ
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানি বাড়িয়ে পুনঃনির্ধারণ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপ শিরোপা জিতলো মরক্কো
আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপ শিরোপা জিতলো মরক্কো

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার
৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেলপথে নতুন উদ্যোগ সৌদির, চার ঘণ্টায় যাবে ১৫০০ কিমি
রেলপথে নতুন উদ্যোগ সৌদির, চার ঘণ্টায় যাবে ১৫০০ কিমি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পর্নোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি যুগল গ্রেফতার
পর্নোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি যুগল গ্রেফতার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বপ্ন দেখতেই থাকুন, পরমাণু স্থাপনা ধ্বংসের দাবি নিয়ে ট্রাম্পকে খোঁচা খামেনির
স্বপ্ন দেখতেই থাকুন, পরমাণু স্থাপনা ধ্বংসের দাবি নিয়ে ট্রাম্পকে খোঁচা খামেনির

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন ইরানের সেনাপ্রধান
যে কারণে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন ইরানের সেনাপ্রধান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রতিরক্ষা জোরদারে ৮৮৫০ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার
প্রতিরক্ষা জোরদারে ৮৮৫০ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নবাবদের বংশধররা আজও ব্রিটিশদের পেনশন পাচ্ছেন, কিন্তু কত?
নবাবদের বংশধররা আজও ব্রিটিশদের পেনশন পাচ্ছেন, কিন্তু কত?

১৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি
৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিও না: গোলাম পরওয়ার
জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিও না: গোলাম পরওয়ার

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুদ্ধবিরতির মধ্যে এবার গাজায় ইসরায়েলের দুই সেনা নিহত
যুদ্ধবিরতির মধ্যে এবার গাজায় ইসরায়েলের দুই সেনা নিহত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করে উচ্ছ্বাস জাতির স্নায়ুতন্ত্রে আঘাতের শামিল
সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করে উচ্ছ্বাস জাতির স্নায়ুতন্ত্রে আঘাতের শামিল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কানাডা থেকে রেকর্ডসংখ্যক ভারতীয় ফেরত পাঠানো হচ্ছে, নেপথ্যে যা...
কানাডা থেকে রেকর্ডসংখ্যক ভারতীয় ফেরত পাঠানো হচ্ছে, নেপথ্যে যা...

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইমিগ্রেশন কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেফতার বাংলাদেশি নারী
ইমিগ্রেশন কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেফতার বাংলাদেশি নারী

১৫ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নিয়োগবিধি পেল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট, সাব-রেজিস্ট্রাররা পদোন্নতি পাবেন শীর্ষপদ পর্যন্ত
নিয়োগবিধি পেল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট, সাব-রেজিস্ট্রাররা পদোন্নতি পাবেন শীর্ষপদ পর্যন্ত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বগুড়াকে সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বগুড়াকে সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিগারদের বাঁচা-মরার লড়াই আজ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিগারদের বাঁচা-মরার লড়াই আজ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!
২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জবি ছাত্রদল নেতা খুন : এখনো মামলা হয়নি, থানায় অপেক্ষায় স্বজনরা
জবি ছাত্রদল নেতা খুন : এখনো মামলা হয়নি, থানায় অপেক্ষায় স্বজনরা

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঋণ অবলোপন বিধিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা
ঋণ অবলোপন বিধিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ
সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের পূর্বাভাস
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের পূর্বাভাস

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সীমান্তে ‘ভূতের আওয়াজ’ বাজিয়ে ভয় দেখাচ্ছে থাইল্যান্ড, জাতিসংঘে কম্বোডিয়ার অভিযোগ
সীমান্তে ‘ভূতের আওয়াজ’ বাজিয়ে ভয় দেখাচ্ছে থাইল্যান্ড, জাতিসংঘে কম্বোডিয়ার অভিযোগ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেবরের ছেলের সাথে ‘ব্রেকআপ’, কবজি কাটলেন দুই সন্তানের মা
দেবরের ছেলের সাথে ‘ব্রেকআপ’, কবজি কাটলেন দুই সন্তানের মা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জানুয়ারিতে নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ
জানুয়ারিতে নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
গৃহিণী স্ত্রীকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী দেখিয়ে গড়েছেন অঢেল সম্পদ
গৃহিণী স্ত্রীকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী দেখিয়ে গড়েছেন অঢেল সম্পদ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে মরিয়া রুমিন ফারহানাসহ আটজন
বিএনপির প্রার্থী হতে মরিয়া রুমিন ফারহানাসহ আটজন

নগর জীবন

আদেশ জারির পর গণভোট
আদেশ জারির পর গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

আবারও ই-কমার্স প্রতারণা
আবারও ই-কমার্স প্রতারণা

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে এবার শিক্ষার্থীর রগ কাটা লাশ
চট্টগ্রামে এবার শিক্ষার্থীর রগ কাটা লাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া

সম্পাদকীয়

থাইল্যান্ডে ভালো করার প্রত্যাশা আফঈদাদের
থাইল্যান্ডে ভালো করার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

ভোগান্তির ১১৪ কিলোমিটার
ভোগান্তির ১১৪ কিলোমিটার

পেছনের পৃষ্ঠা

জামায়াত ক্ষমতায় এলে ফেরার আশঙ্কা আওয়ামী লীগের
জামায়াত ক্ষমতায় এলে ফেরার আশঙ্কা আওয়ামী লীগের

প্রথম পৃষ্ঠা

বাপের সঙ্গে পাল্লা দিতে যেয়ো না
বাপের সঙ্গে পাল্লা দিতে যেয়ো না

প্রথম পৃষ্ঠা

বিরোধী দল দমনই যার একমাত্র যোগ্যতা
বিরোধী দল দমনই যার একমাত্র যোগ্যতা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের মাঠে বিএনপি জামায়াত জাতীয় পার্টি
ভোটের মাঠে বিএনপি জামায়াত জাতীয় পার্টি

নগর জীবন

পর্নোগ্রাফিতে যুক্ত দম্পতি সিআইডির অভিযানে গ্রেপ্তার
পর্নোগ্রাফিতে যুক্ত দম্পতি সিআইডির অভিযানে গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নারী
যুক্তরাষ্ট্রে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নারী

পেছনের পৃষ্ঠা

আবারও আসতে পারে ১/১১
আবারও আসতে পারে ১/১১

নগর জীবন

বগুড়ায় এনসিপির সভায় ককটেল বিস্ফোরণ
বগুড়ায় এনসিপির সভায় ককটেল বিস্ফোরণ

দেশগ্রাম

বিপর্যয় কাটবে কীভাবে
বিপর্যয় কাটবে কীভাবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলিশ রক্ষায় মায়া নেই জেলেদের
ইলিশ রক্ষায় মায়া নেই জেলেদের

নগর জীবন

আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে চান মিরাজরা
আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে চান মিরাজরা

মাঠে ময়দানে

ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষ, আটক ২৪
ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষ, আটক ২৪

দেশগ্রাম

প্রেমিকার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে খুন করেন মাহির
প্রেমিকার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে খুন করেন মাহির

প্রথম পৃষ্ঠা

বিক্ষোভ মিছিল
বিক্ষোভ মিছিল

নগর জীবন

নীরব ঘাতক হাড়ক্ষয়
নীরব ঘাতক হাড়ক্ষয়

স্বাস্থ্য

রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলছেন
রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন

সম্পাদকীয়

আমরণ অনশন চলছে
আমরণ অনশন চলছে

পেছনের পৃষ্ঠা

আগাম শীতের সবজি চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক
আগাম শীতের সবজি চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন গলার কাঁটা
আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন গলার কাঁটা

পেছনের পৃষ্ঠা

ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন
ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন

পেছনের পৃষ্ঠা