শিরোনাম
প্রকাশ: ১৭:০৯, সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১ আপডেট:

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে

জাহাঙ্গীর কবীর নানক
অনলাইন ভার্সন
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে

আগস্ট মাস বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে এক বিষের বীণায় রক্তস্নাত অশ্রুঝরা প্লাবনধারার মাস। এ মাসেই বাঙালির মহাকালের মহানায়ক ও মহান দার্শনিক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নারকীয়ভাবে হত্যা করেছিলো মানুষরূপী নরপিশাচরা। আগস্টের শোকাতুর আর্তনাদের স্মৃতিকথায় আমাদের হারানোর বেদনাকে আমরা গভীরভাবে অনুভব করি।

বাংলার আকাশে যতবারই বিজয়ের লাল সূর্যের লালিমা দৃশ্যমান হয়েছে, ততবারই আঁধারের ঘনঘটা এসে বাংলার আলোর আভাকে নিভিয়ে দেওয়ার প্রয়াস চালিয়েছে। ঠিক যেমন ১৯৭১ সালে হাজার বছরের শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতি তার লালিত স্বপ্ন সাধ স্বাধীনতাকে আলিঙ্গন করেছিল, ঠিক তার পরক্ষণেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে আবারও বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্যকে ঘাতকরা চিরতরে অস্তমিত করবার পাঁয়তারা করেছিল৷ কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্ব ততদিনে মিশে গিয়েছিলো বাংলার পর্বত, বায়ু, গিরি, জলে। বঙ্গবন্ধু নিজের আদর্শকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সমগ্র বাংলার পথে প্রান্তরে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেও তার আদর্শের টিকিটি পর্যন্ত টলাতে পারেনি সেই স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র। 

১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিলো ইতিহাসের কালো যুগে ঘটা সবচেয়ে জঘন্য রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। যুগে যুগে আমরা দেখেছি মহান দার্শনিক, মহান রাজনীতিকদের হত্যা করে তাদের কন্ঠরোধ করার অপতৎপরতা চলেছে সমগ্র বিশ্বে। কিন্তু এভাবে সপরিবারে শিশুপুত্রসহ হত্যা সকল রাজনৈতিক হত্যার বর্বরতার সীমারেখার পাত ভেঙে ফেলেছে। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড কোন সেনা বিদ্রোহ ছিল না। সুদীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের আচল বেঁধে এই আগস্ট ট্র্যাজেডিকে মঞ্চস্থ করা হয়েছিল দেশি-বিদেশি ও আন্তর্জাতিক মহলের প্রত্যক্ষ মদদে। আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এদেশীয় কিছু খুনীদের ভাড়া করে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের উপর।

সেই আইএসআই ও আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহলের সাথে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিলেন সে সময়ের তৎকালীন উপসেনা প্রধান খুনি জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যার ছক কষতে ১৯৭৪ থেকে হত্যার পূর্ব পর্যন্ত প্রায়ই মেজর জিয়ার সাথে ব্যক্তিগত বৈঠকে বসেছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর স্টেশন চিফ ফিলিপ চেরী। সাংবাদিক লরেঞ্জ লিফশুলজ ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'সিআইএর তত্ত্বাবধানে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে প্রধান ভূমিকা পালন করেন জিয়া। জিয়ার সহযোগিতা ছাড়া ওই হত্যাকাণ্ড ঘটতই না। জিয়া অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কর্নেল রশীদের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন এবং রশীদকে সব সময় আশ্বস্ত করেন যে, তিনি তাদের সঙ্গে আছেন।' কাজেই জেনারেল জিয়া যে পর্দার আড়াল থেকে এই নারকীয় ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যপ্রণেতা আজ তা দিবালোকের মতো সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। 

তারা হত্যা করেছিল বাংলার মহিয়সি নারী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে। হত্যা করে বিশিষ্ট ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক  মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, নববিবাহিতা স্ত্রী সুলতানা কামাল, লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও তার বিধবা স্ত্রী রোজী জামাল, ১০ বছরের শিশু পুত্র শেখ রাসেল, কর্নেল জামীলসহ অনেককে। তারা হত্যা করে কৃষক নেতা আব্দুর রব সেরনিয়াবাদসহ পরিবারের অনান্য সদস্যদের। তারা হত্যা করে ৭১ এ মুজিব বাহিনী প্রধান ও যুব লীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ মনি ও তার অন্তসত্তা স্ত্রী আরজু মনিকে ।

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর আমরা ঘুরে বেরিয়েছি উদ্ভ্রান্ত চাতক পাখির মতো। সেদিন যেন বাংলার আকাশের হাহাকার আর আর্তনাদের প্রতিধ্বনি মিলিয়ে গিয়েছিল মহাকাশের গ্রহ নক্ষত্র ভেদ করে। সেই আগস্ট ট্র্যাজেডির খলনায়কদের মুখোশ উন্মোচন হলেও অনেকেই এখনও পর্দার আড়ালেই রয়ে গেছে৷ আজ সময় এসেছে জাতির কাছে  আড়ালের সেই মানবরূপী দানবদের লেবাস উন্মোচনের। আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়া সেই প্রেতাত্মাদের মুখ ও মুখোশ উন্মোচন হয়নি বলেই ১/১১ এর অঘটনের সময়ে মাননীয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। আমরা ৭৫ এর আগস্টের ২১ তারিখ মিছিল করেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ।

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু মুজিব আসবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। নুতন সাজে সেজেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আনন্দে আত্মহারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। চোখে ঘুম নেই। এমন সময় শেষ রাতে মসজিদে আযানের ধ্বনি “আসসলাতু খাইরুন মিনান নাউম”। তখনই কামানের গোলা ও গুলির শব্দে ঢাকাবাসীর ঘুম ভাঙলো। কিছুক্ষণে রেডিও মারফত জানা গেল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। আমি, আমার বন্ধু কাসেম ও ছালাম শহীদ (কানাডা প্রবাসী) ছুটে গেলাম সেরনিয়াবাদ সাহেবের বাসায়। সেখানে যেতেই গেটে একজন পুলিশ বলল এখানে সব শেষ করে দিয়েছে।

আপনারা তাড়াতাড়ি চলে যান। আমরা ছুটে গেলাম আমু ভাইয়ের বাসায়। আলু বাজার তার খালার বাসায়। আমু ভাইকে নিয়ে আমরা বেরিয়ে গেলাম। ততক্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খুনিদের অনুগত কিছু সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়েছে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে।তাদের আশঙ্কা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ হতে পারে। আমু ভাইও পরে গ্রেফতার হয়ে যান।

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর যখন পুরো দেশে শোকের মাতম চলছিল তখন খুনি মোশতাক বঙ্গভবনে সংসদ সদস্যদের ডাকলেন৷ আমরা তখন এমপিদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চিঠি দিয়ে তাদের সতর্ক করেছি। এর পরিণাম ও পরিণতির কথা তাদেরকে বারবার স্মরণ করিয়েছি৷ আমরা বলেছিলাম, ‘বঙ্গভবনে মোশতাকের ওই সংসদীয় সভায় উপস্থিত হওয়া যাবেনা।’ কিন্তু তারপরেও অনেকেই সেই সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন৷ শুরু হলো দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করবার এক নোংরা খেলা।বিভ্রান্ত করা হয়েছিল বিশ্ববাসীকে৷ বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার দুই তৃতীয়াংশ মন্ত্রী সেদিন খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন৷ আমরা গুটিকতক মুজিব সৈনিক সেদিন প্রতিরোধ গড়েছিলাম কিন্তু নেতৃত্বের আত্মসমর্পণের কারনে সে প্রতিরোধ ধোপে টেকেনি। 

১৯৭৬ এ প্রথম শাহাদাৎবার্ষিকীতে বরিশালে হরতাল পালন করতে গিয়ে ১০ আগস্ট গ্রেফতার ও অমানবিক নির্যাতনের শিকার হই এবং ওই সময়ে বরিশালে ছাত্রলীগ নেতা  শহীদ খান (মৃত) শহীদ সেরনিয়াবাদ, সুভাষ  রায় (মৃত) হেমায়েত হাওলাদার, সামসুদ্দীন খাজা, শহীদ বিশ্বাস, গাওসে আলম লাল, হুমাউনসহ কতিয়  ছাত্রলীগ নেতা অদম্য সাহসের পরিচয় দিয়েছেন । 

আগস্ট মাস এলেই যেন হন্তারকদের রক্তে হায়েনাদের মতো হিংস্রতা কাজ করে৷ আগস্ট এলেই যেন শিতল মস্তিস্কের ষড়যন্ত্রের জলছাপ দেশজুড়ে দানা বাঁধে। ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর জন্য যেন স্বাধীনতা বিরোধীরা সবসময়ই আঁটসাঁট বেঁধে তৈরি থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর উদ্দেশ্যে ও আওয়ামী লীগকে ইতিহাসের পাতা থেকে চিরতরে মুছে ফেলতে সেদিন রাবণের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল দেশবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দেশীয় বিদেশি দোসর খালেদা-তারেক-নিজামীরা।

সেদিন আওয়ামী লীগের পূর্ব নির্ধারিত সন্ত্রাস, বোমাবাজি, জঙ্গী হামলার প্রতিবাদে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সমাবেশে ভয়ংকর গ্রেনেড হামলা হয়। যে আর্জেস গ্রেনেড দিয়ে সব কিছু ধ্বংস করতে চেয়েছিল সেই গ্রেনেড কারা ব্যবহার করে থাকে, এটা তারা কোথা থেকে পেলো এর তদন্ত করতে গিয়ে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। বিএনপির শাসনামলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে এমনই পৈশাচিক ও নারকীয় বর্বরতা ঘটেছে বহুবার। বানিয়ারচরে গির্জায়, খুলনায় কাদিয়ানিদের মসজিদে, সিলেটে হজরত শাহজালালের মাজারের মতো ধর্মীয় স্থানে ঘটেছিল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা।

২১ আগস্টের ভয়াল হামলায় অবিস্ফোরিত যে গ্রেনেডগুলো পাওয়া গিয়েছিল তার সবই ছিল ‘আর্জেস গ্রেনেড'। গ্রেনেডের গায়ে লেখা ছিলো পাকিস্তান অর্ডিনেন্স ফ্যাক্টরিজ। বুঝতে আর বাকি থাকেনা কাদের মদদ আর কোন  আঁতাতে এই নারকীয় কর্মযজ্ঞ সাধিত হয়েছে। সেদিনও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বুকের রক্ত ঝরেছে, অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন অনেক নেতাকর্মী।

মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষায় সেদিন আওয়ামী লীগের নেতারা মৃত্যুকেও পরোয়া করেনি। সেদিনের কথা স্মৃতিতে ভাসলে মনে আসে, হামলার পরে আমি ও মির্জা আজম  সুধাসদনে গিয়েছিলাম। ঢুকে দেখি নেত্রী সোফায় বসা আর সোফার হাতলে বসে নেত্রীর গলা জড়িয়ে ধরে কান্না করছেন ছোট আপা (শেখ রেহানা)। তার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছে। আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, ‘বাইচা আছো।’ এরই মধ্যে নেত্রীর নিরাপত্তায় পুরো সুধাসদন কর্ডন করে রেখেছে আমাদের নেতাকর্মীরা।

আমি আপাকে বললাম ওদের (বিএনপি-জামায়াত) আর ছাড়ব না। ক্ষমতায় থাকতে দেব না। অনির্দিষ্টকালের হরতাল দিয়ে সব কলাপস করে দিব। রক্তের বদলা নেবই। ওদের পতন না ঘটা পর্যন্ত হরতাল চলবে। যেখানে যার বাড়িঘর আছে, সমস্ত জ্বালিয়ে দেব। নেত্রী তখন বললেন, 'আমি রাজনীতি করি মানুষের জন্য। আগে আমার মানুষকে বাঁচাও। হরতাল হলে তারা মুভমেন্ট করতে পারবে না। রাজনীতি পরে।' তিনি কেঁদে কেঁদে বললেন, 'আমার জন্য আর কত মানুষ জীবন দিবে? ওদের বাঁচাও। আমার আর রেহানার সমস্ত গহনা বিক্রি করে হলেও ওদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করো।' নেত্রীর নির্দেশে আমাদের চিকিৎসকদের নিয়ে তিনটি চিকিৎসক টিম করে হাসপাতালে নামিয়ে দিতে বললেন। কারণ ড্যাবের ডাক্তাররা (বিএনপি পন্থি ডাক্তার সংগঠন) হাসপাতালগুলি থেকে সরে গেছে, আহতদের কোনো চিকিৎসা তারা দেবেন না। আমরা আমাদের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বললাম। তারা সবাই যার যার জায়গা থেকে আহতদের চিকিৎসায় নেমে পড়লেন। 

সেদিন রাতে আবার সুধাসদনে গেলাম। তখন রাত সাড়ে এগারোটা বাজে। নেত্রী বললেন, 'কালকে তোমরা দুইজনে ওই এলাকাটা (সমাবেশস্থল) একটু সংরক্ষণ করো।' পরের দিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখলাম, সেখানে পুলিশ রয়েছে। তারা আমাদেরকে আমাদের দলীয় অফিসে ঢুকতে দেবে না। আমরা চিৎকার করে বলতে লাগলাম, 'মরাকে আর মারার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। গুলি করেন বুকে। তারপরও ঢুকবো।'

এক সময় ওয়াকিটকিতে কার সঙ্গে যেন কথা বলল পুলিশ। আমরা ধাক্কা দেয়ার পর তারা সরে গেল। আমরা যখন ঢুকলাম, তখনও রক্ত শুকায় নাই। ছুপ ছুপ রক্ত পড়ে আছে। যুবলীগ অফিসে ঢুকে দেখি আঙ্গুল পরে আছে। পা ফেলতে পারছি না। হাতের আঙুল, নখ, কাঁচা গোশত, হাজার হাজার জুতা পড়ে আছে। লাল ব্যানার ছিঁড়ে লাঠিতে বেঁধে ট্রাকসহ পুরো এলাকা আমরা ঘিরে রাখলাম। গ্রেনেডের চিহ্নিত জায়গাগুলোয় লাল পতাকা টানিয়ে দিলাম।  ওইদিন রাতেই (২২ আগস্ট) সিটি করপোরেশনের গাড়ি সব আলামত ধুয়ে ফেলল। ট্রাকটা নিয়ে গেছে। কোনো আলামত তারা রাখেনি। সবকিছু নিশ্চিহ্ন করে রেখেছে। 

বঙ্গবন্ধু ছিলেন গ্রিক পুরাণের পৌরাণিক ফিনিক্স পাখির মনুষ্য রূপ৷ যিনি দগ্ধ ভস্ম ভেদ করে পুনরায় পরাজয়ের দোরগোড়া থেকে অদম্য ও অমর অক্ষয় রূপে বিজয়ীর বেশে প্রত্যাগমন করতে পারতেন৷ দীর্ঘ জেল জীবন কাটিয়ে বাঙালির মুক্তির নায়ক বনে যাওয়া ছিল তারই অনুপম নিদর্শন। মা, মাটি ও মানুষের ভালোবাসা ছিল যার যাপিত জীবনের একমাত্র অবলম্বন।মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেও তিনি অবিনশ্বর হয়ে জিইয়ে রয়েছেন। বাঙালির প্রতিটি সম্মুখ অগ্রযাত্রায়, পাখির কলাকাকলিতে, নদীর বহমান কলতানে আর বিজয়ের প্রতিটি উল্লসিত কন্ঠের মাঝেই বঙ্গবন্ধুর রক্ত ঋণ প্রবাহমান৷ বাংলার যে আকাশে আজ মুক্ত বিহঙ্গেরা ওড়ে সে আকাশের বিশালতা আর ব্যপ্তির পরিমাপ ফুটে উঠেছিলো বঙ্গবন্ধুর ওই কালো চশমার অন্তরে নিহিত আঁখি দুটির মাঝে।

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট আমাদের জন্য একটি শিক্ষা। এই শোকের মাতমকে আমাদের শক্তির আতুড়ঘর করে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে ২১ আগস্টের কুশীলবদের সম্পর্কে অবগত করতে হবে। আগস্ট ট্র্যাজেডির সকল আস্ফালন থেকে শিক্ষা নিয়েই আমাদের নতুন প্রজন্মকে পুনর্জাগরণের আলোয় উদ্ভাসিত করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারের বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নসাধের সোনার বাংলা আমাদের হাতড়িয়ে বেড়াবে।

বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনা সেই পথেরই দিশারি। পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো তিনি সমাপ্ত করতে হাল ধরেন দেশের। ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে তিনি নানাবিধ উন্নয়নের পরিকল্পনা করেন, কিন্তু ২০০১ একাত্তরের প্রেতাত্মা জামায়াত বিএনপি ক্ষমতায় এসে তার পরিকল্পনা ভেস্তে দেন। চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৮ ক্ষমতায় এসেই তিনি ভিশন ২০২১, ভিশন ২০৪১ এবং ডেল্টা প্লান করেন। সারাদেশে তিনি উন্নয়নের মহাযজ্ঞ শুরু করেন।

এনালগ বাংলাদেশ রূপান্তরিত হয় ডিজিটাল বাংলাদেশে। তিনি দশটি মেগা প্রকল্প হাতে নেন। বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পগুলো হলো পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প; রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন; রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট; মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট; ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (মেট্রোরেল); এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, মহেশখালী, কক্সবাজার; সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর; পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর; পদ্মা রেল সেতু সংযোগ প্রকল্প ও দোহাজারী থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ। যেসব প্রকল্পের অধিকাংশেরই ৭০ শতাংশেরও বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে ইতোমধ্যে। 

পিতা মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলা এগিয়ে যাচ্ছে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার ধমনীতে প্রবাহিত, যে রক্ত কোনদিন পরাভব মানে না। সেই রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনার হাতেই সফলতা অর্জিত হবে।  আল্লাহর রহমতে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

এই বিভাগের আরও খবর
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এ কোন তামাশা
ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এ কোন তামাশা
মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে সদিচ্ছার অভাব
মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে সদিচ্ছার অভাব
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা
খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা
গণঅভ্যুত্থান : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
গণঅভ্যুত্থান : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা
মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা
সর্বশেষ খবর
মিশরে দুই যাত্রীবাহী মিনিবাসের সংঘর্ষে নিহত ৯, আহত ১১
মিশরে দুই যাত্রীবাহী মিনিবাসের সংঘর্ষে নিহত ৯, আহত ১১

এই মাত্র | পূর্ব-পশ্চিম

তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি
তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি

২০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান
নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান

৪২ মিনিট আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ
শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ

৪৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

৫৫ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল
দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম
নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লঙ্কানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা
লঙ্কানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ
বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্লেনে বাজল ভুয়া ফায়ার অ্যালার্ম, আতঙ্কে ঝাপ দিয়ে আহত ১৮
প্লেনে বাজল ভুয়া ফায়ার অ্যালার্ম, আতঙ্কে ঝাপ দিয়ে আহত ১৮

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলাপাড়ায় উল্টো রথযাত্রা
কলাপাড়ায় উল্টো রথযাত্রা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১
যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা
উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর
বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুবকের লাশ উদ্ধার
যুবকের লাশ উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‌পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ হবে : জামায়াত আমির
‌পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ হবে : জামায়াত আমির

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রূপগঞ্জে কুপিয়ে আহত ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু
রূপগঞ্জে কুপিয়ে আহত ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কুড়িগ্রামে কঠোর নিরাপত্তায় উল্টো রথ যাত্রা উদযাপন
কুড়িগ্রামে কঠোর নিরাপত্তায় উল্টো রথ যাত্রা উদযাপন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট
উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স
আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা
লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!
শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ
হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!
আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ
৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!
বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাজিত বাংলাদেশ
অপরাজিত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে
৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে
নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে

পেছনের পৃষ্ঠা

লাকসামের এরশাদ শিকদার
লাকসামের এরশাদ শিকদার

প্রথম পৃষ্ঠা

যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা
অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

দেখা হবে এশিয়ান কাপে
দেখা হবে এশিয়ান কাপে

মাঠে ময়দানে

আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা
আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা

নগর জীবন

ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব
ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব

মাঠে ময়দানে

রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়
রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়

পেছনের পৃষ্ঠা

ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে
ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে

নগর জীবন

হাজার রানের ক্লাবের সদস্য হৃদয়
হাজার রানের ক্লাবের সদস্য হৃদয়

মাঠে ময়দানে

আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ

মাঠে ময়দানে

ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

এখনো মর্গে নামপরিচয়হীন ছয় শহীদ
এখনো মর্গে নামপরিচয়হীন ছয় শহীদ

প্রথম পৃষ্ঠা

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

সম্পাদকীয়

মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়
মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা
বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

দেড় বছরে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে
দেড় বছরে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের
নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের

নগর জীবন

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য
নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য

শোবিজ

আজকের প্রশ্ন
আজকের প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে