শিরোনাম
প্রকাশ: ১৬:১০, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫

কালের কণ্ঠের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রকাশিত

জনপ্রত্যাশা পূরণে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে

একান্ত সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ
অনলাইন ভার্সন
জনপ্রত্যাশা পূরণে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রথম যে নামটি উচ্চারিত হয়, তিনি অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ। বর্তমানে তিনি স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির পরিচালনা পর্ষদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য তিনি। কালের কণ্ঠকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান-পরবর্তী জন-আকাঙ্ক্ষা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা, এর নির্বাচন কেমন হওয়া প্রয়োজন, গ্রাম আদালত- এসব নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কালের কণ্ঠের নগর সম্পাদক কাজী হাফিজ।

জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান-পরবর্তী জন-আকাঙ্ক্ষাকে কিভাবে দেখছেন? আগের পরিস্থিতির কতটা পরিবর্তন হয়েছে?

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ নিয়ে এখন দেশের মানুষের আকাশচুম্বী প্রত্যাশা। এত দিন যা পায়নি—গণতান্ত্রিক অধিকারহীনতা, বৈষম্য ও বঞ্চনার সমাজ, জোরজুলুম—এসবের অবসান চায়। আপাতত জোরজুলুমের কিছুটা অবসান হয়েছে। ঢাকার উত্তরা এলাকায় রাস্তায় হকার বসেছে শীতের কাপড় নিয়ে।

কয়েক দিন আগে তাদের জিজ্ঞেস করলাম, চাঁদাবাজি হচ্ছে কি না। জবাব পেলাম—না, এখন এটা বন্ধ হয়েছে। এই সরকার (অন্তর্বর্তী সরকার) আসার পর আর চাঁদা দিতে হচ্ছে না। তার মানে, চাঁদাবাজি থেকে তাদের সাময়িক নিষ্কৃতি মিলেছে।
তবে প্রশাসনের কাছ থেকে মানুষ সঠিক সেবা পাচ্ছে না। প্রশাসনের সবখানেই গড়িমসি। থানায় সহজে জিডি নেওয়া হচ্ছে না। নানা অজুহাত দেখানো হচ্ছে।

কোনো সংস্থায় হয়তো বড় কোনো প্রজেক্ট পাস হয়ে আছে। মন্ত্রণালয় থেকে সেই প্রজেক্টের ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না। এর একটি চেইন ইফেক্ট আছে। এটি যদি একটি বিদেশি সাহায্যপুষ্ট প্রজেক্ট হয়, তাহলে বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যেও ওই প্রজেক্টের জন্য বরাদ্দ বৈদেশিক মুদ্রা আমরা ব্যবহার করতে পারছি না। কর্মসংস্থান হচ্ছে না।

এ ছাড়া প্রজেক্ট বাস্তবায়নে বিলম্বের কারণে এই কাজের ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে। সময় নষ্ট হচ্ছে। এ ধরনের অনেক প্রজেক্ট দু-তিন বছরও আটকে আছে। বর্তমান সরকারের সময়েও এর পরিবর্তন নেই।

গণতন্ত্র একটা আকাঙ্ক্ষা। এর কোনো পরিমাপ নেই। এটি একটি ধারণাগত বিষয়, দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়। এ ক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থে নানা ধরনের চাপে আগের চর্চা এখনো অব্যাহত। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যদি দেখি, পার্লামেন্ট নেই। পার্লামেন্ট থাকলেও গণতন্ত্র থাকবে, এটা কেউ বলতে পারে না। এখন স্থানীয় সরকারে জনপ্রতিনিধি নেই। কিন্তু একটি সরকারি বিভাগের কাজ করার কতগুলো নিয়ম-নীতি তো আছে। সেইসব নিয়ম-নীতি প্রতিপালিত হচ্ছে না। যেমন ধরেন, একটা রাস্তা করা হবে, তার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদার সাইনবোর্ড স্থাপন করে জানিয়ে দেবে, কাজটা কত টাকার, কাজের ধরন, রাস্তাটির প্রস্থ ও দৈর্ঘ্য এবং কাজের সময়সীমা—এসব বিস্তারিত তথ্য। কাজ শুরুর আগে এলাকার লোকজনকে নিয়ে মিটিং করতে হবে। স্টেকহোল্ডার মিটিং। এগুলো প্রজেক্টের শর্ত। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। আমার বাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তা হবে। আমি রাস্তার জায়গার একটি অংশ দখল করে রেখে দিয়েছি। সেটি ছেড়ে দিচ্ছি না। আমি প্রভাবশালী হওয়ায় ঠিকাদার, প্রকৌশলী ভয়ে আমাকে কিছু বলছে না। ফলে যে রাস্তা দশ ফুট চওড়া হওয়ার কথা, সেটি সাত ফুট চওড়া হয়ে যাচ্ছে। সমস্যা ওপরের দিকে যেমন আছে, নিচের দিকেও আছে। কেউ কোনো দায়িত্ব নিচ্ছে না। এই সমস্যা সমাধানে কারো দিকে আঙুল তুলে লাভ হবে না। সবার দায়িত্ব রয়েছে। সমাজ এখনো সেভাবে প্রস্তুত নয়।

সমাজকে প্রস্তুত করার জন্য আপনার পরামর্শ কী?

 জনগণের প্রত্যাশা পূরণে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। জনসচেতনতার দায়িত্বও ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর। রাস্তা করার দায়িত্ব যে ডিপার্টমেন্টের, তাকে জনগণকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে, এখানে এই কাজ হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের জবাবদিহি ও উপযুক্ত পর্যবেক্ষণ থাকতে হবে।

বিদ্যমান স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার প্রধান ত্রুটিগুলো কী?

জনপ্রত্যাশা পূরণে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবেদেশে প্রকৃত অর্থে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা নেই; আছে কতগুলো প্রতিষ্ঠানের সমষ্টি। একক কোনো কাঠামো ও পদ্ধতির মধ্যে নেই। এখানেই সমস্যা। ধরেন, সরকার ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা বা জেলা পরিষদকে কিছু টাকা থোক বরাদ্দ দিল। সামান্য টাকা, কিন্তু সেই টাকাও শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে সঠিক কোনো পরিকল্পনা নিয়ে ব্যয় হচ্ছে না। নিয়ম হচ্ছে, থোক বরাদ্দের ওই টাকা পরিষদে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিকল্পনামাফিক ব্যয় করতে হবে। কিন্তু তা করা হয় না। ওই বরাদ্দের টাকা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। হয়তো ওই টাকা খরচের জন্য একটা পরিকল্পনা লিখে দেওয়া হয়, কিন্তু সেই পরিকল্পনা নিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি হয় না। কারিগরি মূল্যায়ন হয় না। বরাদ্দের টাকা যদি নির্দিষ্ট সিলিংয়ের ওপরে হয়, সে ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঠিকাদার নিয়োগ দিতে হবে। এগুলো করা হয় না। সিস্টেমের বাইরের এসব কাজ স্থানীয় সরকারগুলোর বড় সমস্যা। কিন্তু এসব সমস্যা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। আলোচনা হচ্ছে শুধু নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচনে প্রার্থীরা টাকা খরচ করছে সিস্টেমের বাইরে গিয়ে টাকা আয়ের সুযোগ পাওয়া যায় বলে। আর স্থানীয় সরকার নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ কম এই কারণে যে তারা দেখছে, এই প্রতিষ্ঠান থেকে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ হচ্ছে না। দৃশ্যমান কোনো কাজ নেই।

বলা হচ্ছে, স্থানীয় সরকারে এখন জনপ্রতিনিধি নেই বলে সার্টিফিকেট (জন্ম-মৃত্যু এবং মৃত ব্যক্তির পোষ্যসংক্রান্ত উত্তরাধিকার, জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদ) পাওয়া যাচ্ছে না। এটা কি বড় কোনো সমস্যা? না। সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজটি গুরুত্বপূর্ণ। এটি অনেক যাচাই-বাছাই করে দেওয়া উচিত। আমরা দেখেছি, রোহিঙ্গাদেরও এ দেশের নাগরিক সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন হয় বলেই বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজটি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবও করতে পারেন। তবে এই পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনতে হবে। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে, স্থানীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সরকার ওপর থেকে প্রজেক্ট চাপিয়ে দেয়। ওইসব প্রজেক্টের সুফল কী স্থানীয়রা তা জানে না। এলজিইডি (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) ও ডিপিএইচই (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর)—এ দুই ডিপার্টমেন্ট কেন রাখা হয়েছে, কাজ কী, তার মূল্যায়ন দরকার। এই দুটি ডিপার্টমেন্ট হচ্ছে একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুটি আলাদা সাম্রাজ্য। ডিপিএইচই হচ্ছে ব্রিটিশ আমলের, আর এলজিইডি হচ্ছে নতুন এবং এই ডিপার্টমেন্টটির কাজ উপজেলা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এখন এলজিইডি আর ডিপিএইচই কি আলাদা করেই রাখব, না একীভূত করে ফেলব, এটা চিন্তা করতে হবে। ডিপিএইচই হচ্ছে ক্যাডার সার্ভিস। এলজিইডি ক্যাডার সার্ভিস না। এ অবস্থায় দুই ডিপার্টমেন্টকে এক করে সবাইকে ক্যাডার সার্ভিসের আওতায় শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। এর নাম হতে পারে ‘লোকাল গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাডার’। এলজিইডিতে অনেক লোক। রাজনৈতিক বিবেচনায় কেউ প্রমোশন পাচ্ছে, কাউকে বসিয়ে রাখা হচ্ছে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে বদলি করে মন্ত্রণালয়, এটা কেন করা হবে? এটা তো এলজিইডির করার কথা। পদোন্নতি, পদায়ন নিয়ে সমস্যা প্রকট। এ কারণে ফরেন কারেন্সির প্রকল্পের ফাইল আটকে আছে। এই ফাইল কত দিন এলজিইডির চিফ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে আটকে থাকবে, কত দিন মন্ত্রণালয়ে পড়ে থাকবে, তার কোনো সময়সীমা নেই। এ নিয়ে বিশ্বব্যাংক, এডিবি বিরক্ত। স্থানীয় সরকারগুলোর আন্ত প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ, সহযোগিতা তেমন নেই। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ—এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যোগাযোগ, সমন্বয় নেই বললেই চলে। অন্য যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে—কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, হেলথ কমপ্লেক্স—এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সেবা উপজেলার মাধ্যমে আসেনি। এসব প্রতিষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের চিন্তা করা হয়নি। স্থানীয় সরকারের কাজ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণায়ও সমস্যা আছে। আমাদের সংস্কার কমিশন থেকে এ বিষয়গুলো চিন্তা করা হচ্ছে। এ ধরনের নানা সমস্যা রয়েছে এবং এই সমস্যা রাষ্ট্রের। এসব সমস্যা জাতিকে আড়ষ্ট করে ফেলছে। স্থানীয় সরকারকে কার্যকর করতে স্থায়ীভাবে স্থানীয় সরকার কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হলে, সেই সিদ্ধান্ত আসতে হবে ওই কমিশন থেকে। এ ক্ষেত্রে কমিশনকে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে। অর্থ বরাদ্দের বিষয়েও কমিশনের মতামত দিতে হবে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন ব্যবস্থায় কী ধরনের পরিবর্তন চান?

এ নিয়ে আমি আগে অনেকবার বলেছি। বর্তমানে জাতীয় সরকার পার্লামেন্টারি বা সংসদীয়। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রেসিডেনশিয়াল বা রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারের মতো। স্থানীয় সরকার হচ্ছে এক ব্যক্তি সর্বস্ব, মেয়র বা চেয়ারম্যান নির্ভর। কাউন্সিলর বা সদস্যদের তেমন কোনো ভূমিকা নেই। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার নির্বাচনও সংসদীয় পদ্ধতিতে হওয়া দরকার। মেয়র বা চেয়ারম্যান পদে সরাসরি ভোট হবে না; ভোট হবে কাউন্সিলর বা সদস্য পদে। নির্বাচিত কাউন্সিলর বা সদস্যরা তাদের মধ্য থেকে একজনকে মেয়র বা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে। তবে যেহেতু আমি স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, সেহেতু এখন এ বিষয়ে আমার নিজস্ব প্রস্তাবের বাইরে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা এবং তাঁদের সুপারিশের ভিত্তিতেই সুপারিশ রাখা হবে। তবে এরই মধ্যে যে প্রস্তুাব পেয়েছি, তাতে স্থানীয় সরকারের সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ওয়ার্ডগুলোর সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নারীদের জন্য ওয়ার্ড নির্ধারণ করা দরকার। ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ডের সংখ্যাও জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্ধারণ হওয়া প্রয়োজন। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদগুলোর ওয়ার্ডসংখ্যা ৯। ভোটারসংখ্যার ভিত্তিতে বড় ইউনিয়ন পরিষদগুলোর ওয়ার্ডসংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। বর্তমান আইন অনুসারে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ফুল টাইম চাকরি করেন এমন কেউ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। আমি মনে করি, এই আইন বাতিল করা দরকার। ইউরোপের দেশগুলোর মতো নির্বাচনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরতদেরও অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকা দরকার। স্থানীয় সরকারের সদস্য বা কাউন্সিলরদের কাজ ফুল টাইম না। ফুল টাইম কাজ হচ্ছে মেয়র বা চেয়ারম্যানদের। মেয়র বা চেয়ারম্যানরা তাদের কাজে সহায়তার জন্য দু-তিনজন কাউন্সিলর বা সদস্য নিয়ে নির্বাহী কাউন্সিল গঠন করতে পারে। এই নির্বাহী কাউন্সিলের সদস্যদের কাজ হবে সার্বক্ষণিক এবং তারা মাসিক ভাতা পাবে। অন্যরা পাবে মিটিংয়ে যোগ দেওয়ার জন্য বিশেষ ভাতা। আর নির্বাচন ছাড়াও স্থানীয় কাঠামোগত সমস্যাও রয়েছে। ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ নির্বাচন এক রকম না। ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্বাচন এক রকম না। উপজেলায় তিনটি পদে একই ধরনের নির্বাচন হয়। জেলা পরিষদে সে অর্থে নির্বাচনই হয় না। এই তিন প্রতিষ্ঠানের কাঠামো ও নির্বাচন একই রকম হওয়া দরকার।

গ্রাম আদালত সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী? স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এর সম্পর্কটি কিভাবে দেখেন?

পৃথিবীর কোথাও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আদালতকে যুক্ত করা হয় না। আদালত একটি স্বতন্ত্র ব্যবস্থা। ভারতে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক বিচারব্যবস্থা সংযুক্ত নয়। তবে কমিউনিটি পর্যায়ে সালিস প্রথা থাকতে পারে। ব্রিটিশ আমল থেকেই সালিস প্রথা চলে আসছিল। ১৯৭৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে আগের সেই সালিসি ব্যবস্থাকে আদালতে রূপান্তর করা হয়। রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান পদাধিকারবলে এই আদালতের প্রধান বিচারক। সর্বশেষ সংশোধিত আইন অনুসারে, গ্রাম আদালতের অন্য চারজন সদস্যের মধ্যে দুজনকে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হতে হবে। তারাও নির্বাচিত ব্যক্তি। নির্বাচিত ব্যক্তিরা যে কাজের জন্য নির্বাচিত, তারা সেই কাজটি ভালোভাবে করুক। তারা আদালত বসিয়ে বিচারও করবে, দেশের সংবিধান সেই দায়দায়িত্ব কোনো নির্বাচিত সংস্থাকে দেয়নি। আদালতের নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কোনো সংস্থার কোনো কাজের নামের সঙ্গে ‘আদালত’ শব্দটি লেখা যায় কি না, সেটাও ভেবে দেখতে হবে।

পরিস্থিতি এমনটাই দাঁড়িয়েছে যে ইউপি চেয়ারম্যানরা ওই আদালত পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা চাচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেট হতে গেলে এ বিষয়ে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহি প্রয়োজন। জনপ্রতিনিধিদের কাজ হচ্ছে এলাকার উন্নয়ন। তাদের সেটিই করা দরকার। আমার মনে হয়, সালিস প্রথা থাকা উচিত আগের নিয়মে গ্রাম-ওয়ার্ড পর্যায়ে। সালিসকার হবে এলাকার মুরুব্বিরা, যারা এগুলো বোঝে। ইউনিয়ন পরিষদে কোনো সালিস আবেদন জমা হলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড বা গ্রামের সালিসকারদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। চেয়ারম্যানকে সেই সালিস বৈঠকে ডাকলে যেতে পারে। বর্তমানে ‘গ্রাম আদালত’ নামে যে ব্যবস্থা কার্যকর ও শক্তিশালী করার জন্য বিদেশি সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়, এই প্রকল্প শেষ হয় না। প্রকল্পের মেয়াদ ফুরিয়ে এলে সরকারের কাছে আবার নতুন কিছু সুপারিশ করে মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। প্রচার করা হয় গ্রাম আদালতের সুফলের কথা। কিন্তু এর অপব্যবহারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয় না। প্রশ্ন জাগে, গ্রাম আদালতের স্বার্থে প্রকল্প, না প্রকল্পের স্বার্থে আদালত? পুলিশ, ইউএনও—এরাও সালিসের দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছে।

আমি মনে করি, গ্রামাঞ্চলে প্রথাগত সালিস ব্যবস্থাকে নতুন আঙ্গিকে পুনর্গঠিত করতে হবে। বিদ‌্যমান আইনে গ্রাম আদালতের যে এখতিয়ার, তাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই আদালতে বেশির ভাগ মামলার নিষ্পত্তি সম্ভব হয় না। এগুলো তথাকথিত আদালতের বাইরে মীমাংসা হয়। অনেক সময় এসব মীমাংসায় প্রভাবশালী পক্ষ দুর্বল পক্ষের ওপর তাদের মতামত জোর করে চাপিয়ে দেয়। এই অবিচারের অবসান হওয়া দরকার। প্রচলিত গ্রাম আদালত থেকে সুবিচার প্রত্যাশা করা সুদূরপরাহত। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে উপজেলা পর্যায়ে নিম্ন আদালতের সম্প্রসারণ করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
শেরপুর সুধীজনদের সাথে জেলার উন্নয়নে দাবি নিয়ে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা
শেরপুর সুধীজনদের সাথে জেলার উন্নয়নে দাবি নিয়ে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

‘পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষি করব, তাদের চটাব না’
‘পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষি করব, তাদের চটাব না’

৩ মিনিট আগে | বাণিজ্য

বগুড়ায় হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসি
বগুড়ায় হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসি

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘লিভিং ইন এ হেলদি স্পেস’ প্রতিযোগিতায় প্রথম ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ
‘লিভিং ইন এ হেলদি স্পেস’ প্রতিযোগিতায় প্রথম ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ

১২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে
অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার
বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

অভিবাসন সাংবাদিকতার উন্নয়নে ‘মার্সেই সনদ’ সই
অভিবাসন সাংবাদিকতার উন্নয়নে ‘মার্সেই সনদ’ সই

১৪ মিনিট আগে | পরবাস

ঢাবির বাসে হামলার ঘটনায় ৫ জন গ্রেফতার
ঢাবির বাসে হামলার ঘটনায় ৫ জন গ্রেফতার

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

নরসিংদী কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
নরসিংদী কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইটভাটার কালো ধোয়ায় কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে ছাঁই
ইটভাটার কালো ধোয়ায় কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে ছাঁই

৩৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

লক্ষ্মীপুরে দখল-দূষণে বিপন্ন খাল ও নদী উদ্ধারে অভিযান
লক্ষ্মীপুরে দখল-দূষণে বিপন্ন খাল ও নদী উদ্ধারে অভিযান

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অভাবগ্রস্ত শিখা দাশের পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ
অভাবগ্রস্ত শিখা দাশের পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

৪৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

‘শ্রমিক-মালিকের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে’
‘শ্রমিক-মালিকের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে’

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

৫০ বছরের মধ্যে কঠিন সময়ে মার্কিন শেয়ারবাজার
৫০ বছরের মধ্যে কঠিন সময়ে মার্কিন শেয়ারবাজার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজবাড়ীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
রাজবাড়ীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আতিকুল-মামুনসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
আতিকুল-মামুনসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারীখালি নদীতে ভাসছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ
মারীখালি নদীতে ভাসছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নাটোরে পিকআপের চাপায় বৃদ্ধ নিহত
নাটোরে পিকআপের চাপায় বৃদ্ধ নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরগুনায় স্বাস্থ্য জনবল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বরগুনায় স্বাস্থ্য জনবল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টুঙ্গিপাড়ায় তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন
টুঙ্গিপাড়ায় তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমারখালীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
কুমারখালীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নখের সাজে নকশা
নখের সাজে নকশা

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভ্যাঙ্কুভারে বাঙালির মিলনমেলা, সংগীতে মাতোয়ারা প্রবাসীরা
ভ্যাঙ্কুভারে বাঙালির মিলনমেলা, সংগীতে মাতোয়ারা প্রবাসীরা

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

যে কোনও আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ
যে কোনও আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

মাদকাসক্ত ছেলেকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ বাবার
মাদকাসক্ত ছেলেকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ বাবার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে: মির্জা ফখরুল
অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে: মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, আবারও আমেরিকা থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ করল চীন
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, আবারও আমেরিকা থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ করল চীন

২৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

পাকিস্তানে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে ভারতের দাবি অস্বীকার করল তুরস্ক
পাকিস্তানে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে ভারতের দাবি অস্বীকার করল তুরস্ক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ঢাকার প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না’
‘ঢাকার প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না’

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে গুজরাটে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম
‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে গুজরাটে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খোঁজ নেই টাঙ্গাইলের সেই নাজিরের, চিন্তায়-অস্থিরতায় দিন কাটছে পরিবারের
খোঁজ নেই টাঙ্গাইলের সেই নাজিরের, চিন্তায়-অস্থিরতায় দিন কাটছে পরিবারের

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিয়া বীজ নিয়ে মার্কিন চিকিৎসকের সতর্কতা
চিয়া বীজ নিয়ে মার্কিন চিকিৎসকের সতর্কতা

২০ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস
ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোদির বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক
মোদির বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ এখন আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশ এখন আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’
‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব
‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে