শিরোনাম
প্রকাশ: ১৬:১০, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫

কালের কণ্ঠের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রকাশিত

জনপ্রত্যাশা পূরণে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে

একান্ত সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ
অনলাইন ভার্সন
জনপ্রত্যাশা পূরণে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রথম যে নামটি উচ্চারিত হয়, তিনি অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ। বর্তমানে তিনি স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির পরিচালনা পর্ষদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য তিনি। কালের কণ্ঠকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান-পরবর্তী জন-আকাঙ্ক্ষা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা, এর নির্বাচন কেমন হওয়া প্রয়োজন, গ্রাম আদালত- এসব নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কালের কণ্ঠের নগর সম্পাদক কাজী হাফিজ।

জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান-পরবর্তী জন-আকাঙ্ক্ষাকে কিভাবে দেখছেন? আগের পরিস্থিতির কতটা পরিবর্তন হয়েছে?

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ নিয়ে এখন দেশের মানুষের আকাশচুম্বী প্রত্যাশা। এত দিন যা পায়নি—গণতান্ত্রিক অধিকারহীনতা, বৈষম্য ও বঞ্চনার সমাজ, জোরজুলুম—এসবের অবসান চায়। আপাতত জোরজুলুমের কিছুটা অবসান হয়েছে। ঢাকার উত্তরা এলাকায় রাস্তায় হকার বসেছে শীতের কাপড় নিয়ে।

কয়েক দিন আগে তাদের জিজ্ঞেস করলাম, চাঁদাবাজি হচ্ছে কি না। জবাব পেলাম—না, এখন এটা বন্ধ হয়েছে। এই সরকার (অন্তর্বর্তী সরকার) আসার পর আর চাঁদা দিতে হচ্ছে না। তার মানে, চাঁদাবাজি থেকে তাদের সাময়িক নিষ্কৃতি মিলেছে।
তবে প্রশাসনের কাছ থেকে মানুষ সঠিক সেবা পাচ্ছে না। প্রশাসনের সবখানেই গড়িমসি। থানায় সহজে জিডি নেওয়া হচ্ছে না। নানা অজুহাত দেখানো হচ্ছে।

কোনো সংস্থায় হয়তো বড় কোনো প্রজেক্ট পাস হয়ে আছে। মন্ত্রণালয় থেকে সেই প্রজেক্টের ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না। এর একটি চেইন ইফেক্ট আছে। এটি যদি একটি বিদেশি সাহায্যপুষ্ট প্রজেক্ট হয়, তাহলে বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যেও ওই প্রজেক্টের জন্য বরাদ্দ বৈদেশিক মুদ্রা আমরা ব্যবহার করতে পারছি না। কর্মসংস্থান হচ্ছে না।

এ ছাড়া প্রজেক্ট বাস্তবায়নে বিলম্বের কারণে এই কাজের ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে। সময় নষ্ট হচ্ছে। এ ধরনের অনেক প্রজেক্ট দু-তিন বছরও আটকে আছে। বর্তমান সরকারের সময়েও এর পরিবর্তন নেই।

গণতন্ত্র একটা আকাঙ্ক্ষা। এর কোনো পরিমাপ নেই। এটি একটি ধারণাগত বিষয়, দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়। এ ক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থে নানা ধরনের চাপে আগের চর্চা এখনো অব্যাহত। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যদি দেখি, পার্লামেন্ট নেই। পার্লামেন্ট থাকলেও গণতন্ত্র থাকবে, এটা কেউ বলতে পারে না। এখন স্থানীয় সরকারে জনপ্রতিনিধি নেই। কিন্তু একটি সরকারি বিভাগের কাজ করার কতগুলো নিয়ম-নীতি তো আছে। সেইসব নিয়ম-নীতি প্রতিপালিত হচ্ছে না। যেমন ধরেন, একটা রাস্তা করা হবে, তার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদার সাইনবোর্ড স্থাপন করে জানিয়ে দেবে, কাজটা কত টাকার, কাজের ধরন, রাস্তাটির প্রস্থ ও দৈর্ঘ্য এবং কাজের সময়সীমা—এসব বিস্তারিত তথ্য। কাজ শুরুর আগে এলাকার লোকজনকে নিয়ে মিটিং করতে হবে। স্টেকহোল্ডার মিটিং। এগুলো প্রজেক্টের শর্ত। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। আমার বাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তা হবে। আমি রাস্তার জায়গার একটি অংশ দখল করে রেখে দিয়েছি। সেটি ছেড়ে দিচ্ছি না। আমি প্রভাবশালী হওয়ায় ঠিকাদার, প্রকৌশলী ভয়ে আমাকে কিছু বলছে না। ফলে যে রাস্তা দশ ফুট চওড়া হওয়ার কথা, সেটি সাত ফুট চওড়া হয়ে যাচ্ছে। সমস্যা ওপরের দিকে যেমন আছে, নিচের দিকেও আছে। কেউ কোনো দায়িত্ব নিচ্ছে না। এই সমস্যা সমাধানে কারো দিকে আঙুল তুলে লাভ হবে না। সবার দায়িত্ব রয়েছে। সমাজ এখনো সেভাবে প্রস্তুত নয়।

সমাজকে প্রস্তুত করার জন্য আপনার পরামর্শ কী?

 জনগণের প্রত্যাশা পূরণে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। জনসচেতনতার দায়িত্বও ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর। রাস্তা করার দায়িত্ব যে ডিপার্টমেন্টের, তাকে জনগণকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে, এখানে এই কাজ হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের জবাবদিহি ও উপযুক্ত পর্যবেক্ষণ থাকতে হবে।

বিদ্যমান স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার প্রধান ত্রুটিগুলো কী?

জনপ্রত্যাশা পূরণে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবেদেশে প্রকৃত অর্থে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা নেই; আছে কতগুলো প্রতিষ্ঠানের সমষ্টি। একক কোনো কাঠামো ও পদ্ধতির মধ্যে নেই। এখানেই সমস্যা। ধরেন, সরকার ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা বা জেলা পরিষদকে কিছু টাকা থোক বরাদ্দ দিল। সামান্য টাকা, কিন্তু সেই টাকাও শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে সঠিক কোনো পরিকল্পনা নিয়ে ব্যয় হচ্ছে না। নিয়ম হচ্ছে, থোক বরাদ্দের ওই টাকা পরিষদে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিকল্পনামাফিক ব্যয় করতে হবে। কিন্তু তা করা হয় না। ওই বরাদ্দের টাকা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। হয়তো ওই টাকা খরচের জন্য একটা পরিকল্পনা লিখে দেওয়া হয়, কিন্তু সেই পরিকল্পনা নিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি হয় না। কারিগরি মূল্যায়ন হয় না। বরাদ্দের টাকা যদি নির্দিষ্ট সিলিংয়ের ওপরে হয়, সে ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঠিকাদার নিয়োগ দিতে হবে। এগুলো করা হয় না। সিস্টেমের বাইরের এসব কাজ স্থানীয় সরকারগুলোর বড় সমস্যা। কিন্তু এসব সমস্যা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। আলোচনা হচ্ছে শুধু নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচনে প্রার্থীরা টাকা খরচ করছে সিস্টেমের বাইরে গিয়ে টাকা আয়ের সুযোগ পাওয়া যায় বলে। আর স্থানীয় সরকার নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ কম এই কারণে যে তারা দেখছে, এই প্রতিষ্ঠান থেকে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ হচ্ছে না। দৃশ্যমান কোনো কাজ নেই।

বলা হচ্ছে, স্থানীয় সরকারে এখন জনপ্রতিনিধি নেই বলে সার্টিফিকেট (জন্ম-মৃত্যু এবং মৃত ব্যক্তির পোষ্যসংক্রান্ত উত্তরাধিকার, জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদ) পাওয়া যাচ্ছে না। এটা কি বড় কোনো সমস্যা? না। সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজটি গুরুত্বপূর্ণ। এটি অনেক যাচাই-বাছাই করে দেওয়া উচিত। আমরা দেখেছি, রোহিঙ্গাদেরও এ দেশের নাগরিক সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন হয় বলেই বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজটি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবও করতে পারেন। তবে এই পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনতে হবে। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে, স্থানীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সরকার ওপর থেকে প্রজেক্ট চাপিয়ে দেয়। ওইসব প্রজেক্টের সুফল কী স্থানীয়রা তা জানে না। এলজিইডি (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) ও ডিপিএইচই (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর)—এ দুই ডিপার্টমেন্ট কেন রাখা হয়েছে, কাজ কী, তার মূল্যায়ন দরকার। এই দুটি ডিপার্টমেন্ট হচ্ছে একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুটি আলাদা সাম্রাজ্য। ডিপিএইচই হচ্ছে ব্রিটিশ আমলের, আর এলজিইডি হচ্ছে নতুন এবং এই ডিপার্টমেন্টটির কাজ উপজেলা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এখন এলজিইডি আর ডিপিএইচই কি আলাদা করেই রাখব, না একীভূত করে ফেলব, এটা চিন্তা করতে হবে। ডিপিএইচই হচ্ছে ক্যাডার সার্ভিস। এলজিইডি ক্যাডার সার্ভিস না। এ অবস্থায় দুই ডিপার্টমেন্টকে এক করে সবাইকে ক্যাডার সার্ভিসের আওতায় শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। এর নাম হতে পারে ‘লোকাল গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাডার’। এলজিইডিতে অনেক লোক। রাজনৈতিক বিবেচনায় কেউ প্রমোশন পাচ্ছে, কাউকে বসিয়ে রাখা হচ্ছে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে বদলি করে মন্ত্রণালয়, এটা কেন করা হবে? এটা তো এলজিইডির করার কথা। পদোন্নতি, পদায়ন নিয়ে সমস্যা প্রকট। এ কারণে ফরেন কারেন্সির প্রকল্পের ফাইল আটকে আছে। এই ফাইল কত দিন এলজিইডির চিফ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে আটকে থাকবে, কত দিন মন্ত্রণালয়ে পড়ে থাকবে, তার কোনো সময়সীমা নেই। এ নিয়ে বিশ্বব্যাংক, এডিবি বিরক্ত। স্থানীয় সরকারগুলোর আন্ত প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ, সহযোগিতা তেমন নেই। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ—এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যোগাযোগ, সমন্বয় নেই বললেই চলে। অন্য যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে—কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, হেলথ কমপ্লেক্স—এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সেবা উপজেলার মাধ্যমে আসেনি। এসব প্রতিষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের চিন্তা করা হয়নি। স্থানীয় সরকারের কাজ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণায়ও সমস্যা আছে। আমাদের সংস্কার কমিশন থেকে এ বিষয়গুলো চিন্তা করা হচ্ছে। এ ধরনের নানা সমস্যা রয়েছে এবং এই সমস্যা রাষ্ট্রের। এসব সমস্যা জাতিকে আড়ষ্ট করে ফেলছে। স্থানীয় সরকারকে কার্যকর করতে স্থায়ীভাবে স্থানীয় সরকার কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হলে, সেই সিদ্ধান্ত আসতে হবে ওই কমিশন থেকে। এ ক্ষেত্রে কমিশনকে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে। অর্থ বরাদ্দের বিষয়েও কমিশনের মতামত দিতে হবে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন ব্যবস্থায় কী ধরনের পরিবর্তন চান?

এ নিয়ে আমি আগে অনেকবার বলেছি। বর্তমানে জাতীয় সরকার পার্লামেন্টারি বা সংসদীয়। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রেসিডেনশিয়াল বা রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারের মতো। স্থানীয় সরকার হচ্ছে এক ব্যক্তি সর্বস্ব, মেয়র বা চেয়ারম্যান নির্ভর। কাউন্সিলর বা সদস্যদের তেমন কোনো ভূমিকা নেই। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার নির্বাচনও সংসদীয় পদ্ধতিতে হওয়া দরকার। মেয়র বা চেয়ারম্যান পদে সরাসরি ভোট হবে না; ভোট হবে কাউন্সিলর বা সদস্য পদে। নির্বাচিত কাউন্সিলর বা সদস্যরা তাদের মধ্য থেকে একজনকে মেয়র বা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে। তবে যেহেতু আমি স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, সেহেতু এখন এ বিষয়ে আমার নিজস্ব প্রস্তাবের বাইরে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা এবং তাঁদের সুপারিশের ভিত্তিতেই সুপারিশ রাখা হবে। তবে এরই মধ্যে যে প্রস্তুাব পেয়েছি, তাতে স্থানীয় সরকারের সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ওয়ার্ডগুলোর সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নারীদের জন্য ওয়ার্ড নির্ধারণ করা দরকার। ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ডের সংখ্যাও জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্ধারণ হওয়া প্রয়োজন। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদগুলোর ওয়ার্ডসংখ্যা ৯। ভোটারসংখ্যার ভিত্তিতে বড় ইউনিয়ন পরিষদগুলোর ওয়ার্ডসংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। বর্তমান আইন অনুসারে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ফুল টাইম চাকরি করেন এমন কেউ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। আমি মনে করি, এই আইন বাতিল করা দরকার। ইউরোপের দেশগুলোর মতো নির্বাচনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরতদেরও অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকা দরকার। স্থানীয় সরকারের সদস্য বা কাউন্সিলরদের কাজ ফুল টাইম না। ফুল টাইম কাজ হচ্ছে মেয়র বা চেয়ারম্যানদের। মেয়র বা চেয়ারম্যানরা তাদের কাজে সহায়তার জন্য দু-তিনজন কাউন্সিলর বা সদস্য নিয়ে নির্বাহী কাউন্সিল গঠন করতে পারে। এই নির্বাহী কাউন্সিলের সদস্যদের কাজ হবে সার্বক্ষণিক এবং তারা মাসিক ভাতা পাবে। অন্যরা পাবে মিটিংয়ে যোগ দেওয়ার জন্য বিশেষ ভাতা। আর নির্বাচন ছাড়াও স্থানীয় কাঠামোগত সমস্যাও রয়েছে। ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ নির্বাচন এক রকম না। ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্বাচন এক রকম না। উপজেলায় তিনটি পদে একই ধরনের নির্বাচন হয়। জেলা পরিষদে সে অর্থে নির্বাচনই হয় না। এই তিন প্রতিষ্ঠানের কাঠামো ও নির্বাচন একই রকম হওয়া দরকার।

গ্রাম আদালত সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী? স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এর সম্পর্কটি কিভাবে দেখেন?

পৃথিবীর কোথাও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আদালতকে যুক্ত করা হয় না। আদালত একটি স্বতন্ত্র ব্যবস্থা। ভারতে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক বিচারব্যবস্থা সংযুক্ত নয়। তবে কমিউনিটি পর্যায়ে সালিস প্রথা থাকতে পারে। ব্রিটিশ আমল থেকেই সালিস প্রথা চলে আসছিল। ১৯৭৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে আগের সেই সালিসি ব্যবস্থাকে আদালতে রূপান্তর করা হয়। রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান পদাধিকারবলে এই আদালতের প্রধান বিচারক। সর্বশেষ সংশোধিত আইন অনুসারে, গ্রাম আদালতের অন্য চারজন সদস্যের মধ্যে দুজনকে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হতে হবে। তারাও নির্বাচিত ব্যক্তি। নির্বাচিত ব্যক্তিরা যে কাজের জন্য নির্বাচিত, তারা সেই কাজটি ভালোভাবে করুক। তারা আদালত বসিয়ে বিচারও করবে, দেশের সংবিধান সেই দায়দায়িত্ব কোনো নির্বাচিত সংস্থাকে দেয়নি। আদালতের নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কোনো সংস্থার কোনো কাজের নামের সঙ্গে ‘আদালত’ শব্দটি লেখা যায় কি না, সেটাও ভেবে দেখতে হবে।

পরিস্থিতি এমনটাই দাঁড়িয়েছে যে ইউপি চেয়ারম্যানরা ওই আদালত পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা চাচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেট হতে গেলে এ বিষয়ে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহি প্রয়োজন। জনপ্রতিনিধিদের কাজ হচ্ছে এলাকার উন্নয়ন। তাদের সেটিই করা দরকার। আমার মনে হয়, সালিস প্রথা থাকা উচিত আগের নিয়মে গ্রাম-ওয়ার্ড পর্যায়ে। সালিসকার হবে এলাকার মুরুব্বিরা, যারা এগুলো বোঝে। ইউনিয়ন পরিষদে কোনো সালিস আবেদন জমা হলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড বা গ্রামের সালিসকারদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। চেয়ারম্যানকে সেই সালিস বৈঠকে ডাকলে যেতে পারে। বর্তমানে ‘গ্রাম আদালত’ নামে যে ব্যবস্থা কার্যকর ও শক্তিশালী করার জন্য বিদেশি সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়, এই প্রকল্প শেষ হয় না। প্রকল্পের মেয়াদ ফুরিয়ে এলে সরকারের কাছে আবার নতুন কিছু সুপারিশ করে মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। প্রচার করা হয় গ্রাম আদালতের সুফলের কথা। কিন্তু এর অপব্যবহারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয় না। প্রশ্ন জাগে, গ্রাম আদালতের স্বার্থে প্রকল্প, না প্রকল্পের স্বার্থে আদালত? পুলিশ, ইউএনও—এরাও সালিসের দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছে।

আমি মনে করি, গ্রামাঞ্চলে প্রথাগত সালিস ব্যবস্থাকে নতুন আঙ্গিকে পুনর্গঠিত করতে হবে। বিদ‌্যমান আইনে গ্রাম আদালতের যে এখতিয়ার, তাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই আদালতে বেশির ভাগ মামলার নিষ্পত্তি সম্ভব হয় না। এগুলো তথাকথিত আদালতের বাইরে মীমাংসা হয়। অনেক সময় এসব মীমাংসায় প্রভাবশালী পক্ষ দুর্বল পক্ষের ওপর তাদের মতামত জোর করে চাপিয়ে দেয়। এই অবিচারের অবসান হওয়া দরকার। প্রচলিত গ্রাম আদালত থেকে সুবিচার প্রত্যাশা করা সুদূরপরাহত। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে উপজেলা পর্যায়ে নিম্ন আদালতের সম্প্রসারণ করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর
গণঅভ্যুত্থান : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
গণঅভ্যুত্থান : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা
মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা
'আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায়'
'আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায়'
দেশজুড়ে অশান্তি সান্ত্বনা শুধু ‘বিবৃতি’
দেশজুড়ে অশান্তি সান্ত্বনা শুধু ‘বিবৃতি’
তারেক রহমান এক অনন্য উচ্চতায়
তারেক রহমান এক অনন্য উচ্চতায়
বিনিয়োগ কমছে আর বাড়ছে বেকারত্ব
বিনিয়োগ কমছে আর বাড়ছে বেকারত্ব
ইরান আক্রমণ নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প
ইরান আক্রমণ নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প
ব্যবসায়ীরা বহুমুখী সংকটে, উৎকণ্ঠায় প্রবাসীরা
ব্যবসায়ীরা বহুমুখী সংকটে, উৎকণ্ঠায় প্রবাসীরা
সর্বশেষ খবর
নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাঙামাটিতে ফ্ল্যাট থেকে বিচারকের স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রাঙামাটিতে ফ্ল্যাট থেকে বিচারকের স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘পিআর ইস্যু নিয়ে রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবেন না’
‘পিআর ইস্যু নিয়ে রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবেন না’

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফি দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীকে থাপ্পড় দিয়ে খাতা কেড়ে নিলো মাদরাসা সুপার
ফি দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীকে থাপ্পড় দিয়ে খাতা কেড়ে নিলো মাদরাসা সুপার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি ও জেলা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ
কক্সবাজারের সাবেক ডিসি ও জেলা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এনবিআরের আরো পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
এনবিআরের আরো পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে শ্রীলঙ্কা
মুস্তাফিজকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে শ্রীলঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অভিনয়ের শখ ছেলের, বাধা হয়ে দাঁড়ান উত্তম কুমার!
অভিনয়ের শখ ছেলের, বাধা হয়ে দাঁড়ান উত্তম কুমার!

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইনসাফভিত্তিক মানবিক দেশ প্রতিষ্ঠার এখনই সময়: তারেক রহমান
ইনসাফভিত্তিক মানবিক দেশ প্রতিষ্ঠার এখনই সময়: তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অপুষ্টিতে ভুগছে গাজার শিশুরা
অপুষ্টিতে ভুগছে গাজার শিশুরা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘাটাইলে গজারি বনে অবৈধ দুই সীসা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
ঘাটাইলে গজারি বনে অবৈধ দুই সীসা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালনে বাউবির কর্মসূচি
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালনে বাউবির কর্মসূচি

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লস অ্যাঞ্জেলেস মাতালেন জেমস
লস অ্যাঞ্জেলেস মাতালেন জেমস

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শাবিপ্রবিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৩টি দ্বিতল বাস
শাবিপ্রবিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৩টি দ্বিতল বাস

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে কাঁঠালের বাজার রমরমা, সপ্তাহে বিক্রি অর্ধ কোটি
টাঙ্গাইলে কাঁঠালের বাজার রমরমা, সপ্তাহে বিক্রি অর্ধ কোটি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি পরিবর্তন চায় : মির্জা ফখরুল
নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি পরিবর্তন চায় : মির্জা ফখরুল

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রেকর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহে রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৬৮ বিলিয়ন ডলার
রেকর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহে রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৬৮ বিলিয়ন ডলার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পেল পাকিস্তান
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পেল পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আশুগঞ্জে টিকিট কালোবাজারিতে ‘বলদা রমজান’ গ্রেফতার
আশুগঞ্জে টিকিট কালোবাজারিতে ‘বলদা রমজান’ গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
ইবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৪৮ বছরের রেকর্ড ভাঙল চট্টগ্রাম বন্দর
কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৪৮ বছরের রেকর্ড ভাঙল চট্টগ্রাম বন্দর

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাজীপুরে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও দুইজন গ্রেফতার
গাজীপুরে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও দুইজন গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে পাথর শ্রমিকদের বিক্ষোভে গাড়ি ভাঙচুর
সিলেটে পাথর শ্রমিকদের বিক্ষোভে গাড়ি ভাঙচুর

২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বাবাকে জড়িয়ে ধরতে সন্তানের আকুতি শুনে কাঁদলেন তারেক রহমান
বাবাকে জড়িয়ে ধরতে সন্তানের আকুতি শুনে কাঁদলেন তারেক রহমান

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

'সিটির বিপক্ষে জয় অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্টে ওঠার মতো'
'সিটির বিপক্ষে জয় অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্টে ওঠার মতো'

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টাইগারদের সামনে দশম থেকে নবম স্থানে ওঠার সুযোগ
টাইগারদের সামনে দশম থেকে নবম স্থানে ওঠার সুযোগ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আবারও ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের দাবি খণ্ডন করলেন জয়শঙ্কর
আবারও ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের দাবি খণ্ডন করলেন জয়শঙ্কর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পর্তুগাল-স্পেনে ৪৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা, জনজীবনে অস্বস্তি
পর্তুগাল-স্পেনে ৪৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা, জনজীবনে অস্বস্তি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই শহীদের তালিকায় আরও ১০ শহীদের নাম
জুলাই শহীদের তালিকায় আরও ১০ শহীদের নাম

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
উড়িয়ে দেওয়া হলো খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাদের আশ্রয় নেওয়া বাড়ি
উড়িয়ে দেওয়া হলো খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাদের আশ্রয় নেওয়া বাড়ি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রায় ৫ লাখ নতুন ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করবে ইতালি
প্রায় ৫ লাখ নতুন ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করবে ইতালি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?
সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে শীর্ষে থাকা ভারত এখন ৬ষ্ঠ
বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে শীর্ষে থাকা ভারত এখন ৬ষ্ঠ

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সাবেক ৭ মন্ত্রীসহ ২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ তলব
সাবেক ৭ মন্ত্রীসহ ২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ তলব

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা
মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা

১২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া
জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা
স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ
ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত
ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার
কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার

১২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার
আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি
ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর
যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু
শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ‘নিস্তেজ’ পর্যটন
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ‘নিস্তেজ’ পর্যটন

১৫ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের
যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩
যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এখনই: ইলন মাস্ক
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এখনই: ইলন মাস্ক

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ জুলাই)

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির
আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের সম্ভাবনা নেই পাকিস্তানের
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের সম্ভাবনা নেই পাকিস্তানের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪ তম বিসিএস পুলিশে প্রথম শাবিপ্রবির শরিফ
৪৪ তম বিসিএস পুলিশে প্রথম শাবিপ্রবির শরিফ

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত ইউরোপ, জারি হলো রেড অ্যালার্ট
তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত ইউরোপ, জারি হলো রেড অ্যালার্ট

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
থমথমে নির্বাচন কমিশন
থমথমে নির্বাচন কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ

শিল্প বাণিজ্য

কেমন আছে সেন্ট মার্টিন
কেমন আছে সেন্ট মার্টিন

পেছনের পৃষ্ঠা

গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই জুলাই শুরু আজ
সেই জুলাই শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন
সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন

প্রথম পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা
শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে
ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন
ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা
বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ
রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ

নগর জীবন

ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে রেকর্ড ঋণ
ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে রেকর্ড ঋণ

শিল্প বাণিজ্য

এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ
এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ

মাঠে ময়দানে

তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়
পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি
বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি

নগর জীবন

ঢাকার সব ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপনের নির্দেশ
ঢাকার সব ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপনের নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পী ফরিদা পারভীন গুরুতর অসুস্থ, রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা কামনা
শিল্পী ফরিদা পারভীন গুরুতর অসুস্থ, রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা কামনা

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকট জুলাই সনদ নিয়ে
সংকট জুলাই সনদ নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

কনজুমার খাত ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে
কনজুমার খাত ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে

শিল্প বাণিজ্য

সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন নাহিদ
সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন নাহিদ

প্রথম পৃষ্ঠা

আগের গভর্নররা এজেন্টের কাজ করেছেন
আগের গভর্নররা এজেন্টের কাজ করেছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী
আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

ফুল চাষে ভাগ্য বদল
ফুল চাষে ভাগ্য বদল

পেছনের পৃষ্ঠা

মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই
মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই

নগর জীবন

আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা