শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:৪০, শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ আপডেট: ১৬:৫৬, শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫

কালের কণ্ঠের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রকাশিত

রাষ্ট্র না বদলালে সমাজ বদলাবে না

একান্ত সাক্ষাৎকারে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
অনলাইন ভার্সন
রাষ্ট্র না বদলালে সমাজ বদলাবে না

আদর্শভিত্তিক রাজনীতি, সুশাসন ও দেশের উন্নয়ন হাত ধরাধরি করে চলে। আদর্শচ্যুত রাজনীতির কাছ থেকে সমাজ ও দেশ কিছু আশা করতে পারে না। তাতে বরং গণতান্ত্রিক চর্চা বিঘ্নিত হয়। স্বাধীনতার সাড়ে পাঁচ দশক পেরিয়ে আসার পরও দেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। রাজনীতিতে আদর্শ, জনকল্যাণ, আত্মত্যাগ ও নৈতিকতা ক্রমে দুর্বল হয়েছে। এক পর্যায়ে রাজনীতি হয়ে ওঠে বিত্ত-বৈভব অর্জনের হাতিয়ার। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের বর্তমান বাস্তবতা, রাজনীতির ভবিষ্যৎ—নানা বিষয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।  

বাংলাদেশে তরুণরা, বিশেষ করে ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। এটাকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

ঘটনাটি ঘটিয়েছে তরুণরাই। অতীতে বড় বড় ঘটনা ঘটেছে ছাত্র-জনতার ঐক্যের ভিত্তিতেই; যেমন—রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ, এরশাদবিরোধী নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান। শেখ হাসিনার পতনও তরুণদের শুরু করা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ঘটল।

কিন্তু আসলে ঘটেছেটা কী, সেটার বিবেচনাও জরুরি। কেউ বলছেন দ্বিতীয় স্বাধীনতা, কারো ধারণা আরো অগ্রসর, বলছেন বিপ্লবই ঘটে গেছে। বাস্তবে কিন্তু দুটির কোনোটি ঘটেনি। যেটা ঘটেছে তা হলো, নৃশংস একটি সরকারের পতন।

আর এই পতন অনিবার্য করে তুলেছে সরকার নিজেই। বিগত সরকার ছিল চরম ফ্যাসিবাদী এবং শেষের দিনগুলোতে তার আচরণ ছিল অবিশ্বাস্য রকমের নৃশংস। সরকারের নৃশংসতা ও মনুষ্যত্বের অপমান সরকারের পতন নিশ্চিত করেছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সরকারবিরোধী আন্দোলনের ভূমিকাও কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না।

বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে তারা সরকারের জনবিচ্ছিন্নতাকে স্পষ্ট করে তুলেছিল। সরকারের পতন অবশ্যই ঘটত। সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে সরকার যদি সরে যেত, তাহলে এত মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটত না; সরকারকেও দেশ ছেড়ে পালাতে হতো না। তারা বিরোধী দল হিসেবে থাকতে পারত। চরমপন্থার চরম ফল ঘটেছে।

 

জনগণের রাজনীতি কি দেশে দেখতে পাচ্ছেন?

না, সে অর্থে দেখা যাচ্ছে না। বুর্জোয়ারা বৈষম্যবিরোধী নয়, তারা বৈষম্য সৃষ্টি ও লালন-পালনের পক্ষে; আন্দোলন করতে হবে প্রকৃত বৈষম্যবিরোধীদের, অর্থাৎ সমাজতন্ত্রীদের। সমাজতন্ত্রী, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষরা যদি একটি সুনির্দিষ্ট ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কর্মসূচি নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে, তাহলে মানুষের সাড়া পাওয়ার পাশাপাশি তারা অসম্ভবকে সম্ভব করার দিকে অগ্রসর হতে পারবে। এই যুক্তফ্রন্ট ১৯৫৪ সালের মতো পাঁচমিশালি হবে না; তবে সেক্যুলার গণতান্ত্রিক ও সমাজতন্ত্রীদের সমন্বয়ে হতে হবে। বুর্জোয়ারা নয়, জনগণের রাজনীতি করবে সমাজে যারা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চায়, সেই বাম গণতান্ত্রিক শক্তি।

 

দেশে রাজনীতির ভবিষ্যৎ কী দেখতে পাচ্ছেন? পরমতসহিষ্ণুতার দিন কি ফিরবে? 

পরমতসহিষ্ণুতা বাড়বে না, বরং কমবে। নির্বাচন হলে যারা ক্ষমতায় আসবে, তারাও বুর্জোয়াই। বুর্জোয়ারা তো রাজনীতি করে ক্ষমতার জন্য। ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তারাও অসহিষ্ণু হবে বলে আশঙ্কা। সম্পদ পাচারে তারা যদি আগের সরকারের মতো তৎপর না হয় তো ভালো। কিন্তু মুনাফালিপ্সা তাদের অব্যাহতি দেবে না। ব্যবসায়ী ও আমলারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকবে, আগে যেমন ছিল। উন্নতির পুঁজিবাদী ধারাও অব্যাহত থাকবে বলেই ধারণা করি। ফলে বৈষম্য, বিচ্ছিন্নতা এবং দেশপ্রেমের নিম্নগামিতা অব্যাহত থাকবে। রাজনীতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সমাজ পরিবর্তনকারীদের রাজনৈতিক ভূমিকার ওপর।


গত ১৫ বছর দেশে যে শাসনকাঠামো চলেছে, সেটাকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?

গত ১৫ বছরের আওয়ামী শাসনামলে স্বাধীন বাংলাদেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। সেই পুলিশকেই জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে লেলিয়ে দেওয়া হয়। দলীয় ক্যাডারদেরও কাজে লাগানো হয় আন্দোলনকারীদের নির্যাতন করতে। সরকারের সবচেয়ে ওপরে থাকা প্রধানমন্ত্রী—তাঁর দম্ভ বাড়তে বাড়তে হয়ে উঠেছিল আকাশচুম্বী। তাঁর একক স্বেচ্ছাচারী কর্তৃত্বে যেটা সবচেয়ে বেশি জাজ্বল্যমান হয়েছে সেটা হচ্ছে প্রতিশোধস্পৃহা। তাঁর প্রতিশোধপরায়ণতায় দেশে নৈরাজ্য, লুণ্ঠন, অগণতান্ত্রিকতা ফ্যাসিবাদে পরিণত হয়েছিল। দলবাজি, চাঁদাবাজি চরম আকার ধারণ করেছিল।


দেশের মানুষ তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আরো এগিয়ে যেতে চায়। কিন্তু রাষ্ট্র কি সেই সুযোগ করে দিতে পারছে?

আগেই বলেছি, বুর্জোয়া শাসকরা বৈষম্যবিরোধী নয়। মানুষের এগিয়ে যাওয়ার প্রধান অন্তরায় হচ্ছে বৈষম্য। এই বৈষম্য নিরসন না হলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। এর জন্য উন্নতির ধারায় পরিবর্তন আনা চাই। উন্নতি পাহাড়ের মতো ভারী হয়ে জনগণের কাঁধে চড়ে বসবে না; উন্নতি হওয়া চাই নদীর মতো সৃষ্টিশীল, সর্বত্রগামী এবং উপকারী। এর জন্য রাষ্ট্রের পুঁজিবাদী-আমলাতান্ত্রিক চরিত্রে মৌলিক পরিবর্তন অত্যাবশ্যক। রাষ্ট্রের মালিকানা হবে জনগণের। সেখানে মানুষের সঙ্গে মানুষের অধিকার ও সুযোগের সাম্য থাকবে; ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ঘটবে। এবং সর্বত্র জবাবদিহিমূলক জনপ্রতিনিধিত্বের শাসন থাকা চাই। এটা এমনি এমনি ঘটবে না; এর জন্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দরকার হবে।

 
পাকিস্তান আমলের জাতীয়তাবাদী শক্তি আর এখনকার জাতীয়তাবাদী শক্তিতে পার্থক্য রয়েছে। রাষ্ট্রের চরিত্র কি কিছু পরিবর্তিত হয়েছে?

জাতীয়তাবাদীদের একটা সীমা আছে। তাদের পরিসরটা একটা গণ্ডিতে আবদ্ধ। ক্ষমতাপ্রাপ্তিই তাদের অভীষ্ট লক্ষ্য। সেটা পেলে তারা ওখানেই থেমে পড়ে। আর অগ্রসর হয় না। পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদ ছিল ধর্মাশ্রয়ী। সেটা প্রত্যাখ্যান করেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান। দুটির মধ্যে মিল ও অমিল নিশ্চয়ই রয়েছে। কিন্তু জাতীয়তাবাদ যে ধরনেরই হোক, সে শ্রেণি মানে না। বলে সবাই সমান। ভাই ভাই। সুবিধাভোগী ধনীরা মেহনতিদের শোষণ করে, অথচ উন্নতি যা ঘটে তা মেহনতিদের শ্রমের কারণেই। জাতীয়তাবাদ তার এই চরিত্রটা বদলাতে পারে না। আর রাষ্ট্রের চরিত্র? সেটা তো আগের মতোই পুঁজিবাদী-আমলাতান্ত্রিকই রয়ে গেছে। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে পেছনে ঠেলে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ ক্রমেই চাঙ্গা হচ্ছে।

 
রাষ্ট্রব্যবস্থায় যে পরিবর্তনটি ঘটেছে, তা কি সমাজ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে? আপনার কী মনে হয়?

রাষ্ট্রের মৌলিক ব্যবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। গত ৫৩ বছরে ক্ষমতার হাতবদল হয়েছে মাত্র। ঘটেছে শাসকদের নাম ও পোশাক পরিবর্তন। রাষ্ট্রের চরিত্রে যে পরিবর্তন, সেটা শতকরা ২০ জনের সুবিধা বৃদ্ধি করেছে, ৮০ জনকে বঞ্চিত করে। রাষ্ট্রীয় শাসক আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় ক্রমাগত নিষ্ঠুর হয়েছে। বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সমাজের মৌলিক পরিবর্তনে মোটেই সাহায্য করবে না, বরং তার বিরোধিতা করবে। কারণ রাষ্ট্র তো একটি ব্যবস্থা বৈকি, যা তার মালিকের সেবা করে। রাষ্ট্রের বুর্জোয়া মালিকরা নিশ্চয়ই বৈষম্য দূর করতে চাইবে না। তারা তাদের মুনাফা ও ক্ষমতা বাড়ানোতে তৎপর থাকবে। ফলে সমাজের অবস্থা আরো খারাপ হওয়ার কথা। আশার জায়গাটা হবে (যদি হয়) সমাজ পরিবর্তনকামীদের রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ। বর্তমান মুহূর্তে সুযোগ এসেছে সমাজ পরিবর্তনকামী রাজনৈতিক দলগুলোর একটি যুক্তফ্রন্ট গঠনের। এই যুক্তফ্রন্ট হবে আন্দোলনের, তবে যুক্তফ্রন্ট আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনেও অংশ নেবে। মানুষ হতাশায় ভুগছে, যুক্তফ্রন্ট মানুষকে আশাবাদী ও ঐক্যবদ্ধ করতে পারবে।


আমরা শিক্ষা নিয়ে কথা বলি। শিক্ষাকে চিন্তার বিকাশের সহায়ক করে গড়ে তোলা কিভাবে সম্ভব?

শিক্ষাকে সর্বজনীন করার প্রাথমিক শর্ত হচ্ছে মাতৃভাষার মাধ্যমে একমুখী শিক্ষা। শিক্ষার ত্রিধারা ব্যবস্থা শ্রেণিবৈষম্যের প্রতীক। সেক্যুলার, গণমুখী, সুলভ, সুষম, সর্বজনীন, সুপরিকল্পিত ও মানসম্পন্ন শিক্ষাদানে সক্ষম শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার ভিত্তি স্থাপন ও রণকৌশল গ্রহণ করা দরকার। শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের মেরুদণ্ডসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। এবং শিক্ষা আদর্শনিরপেক্ষ হবে না। আদর্শটা হবে মনুষ্যত্বের বিকাশ। সে জন্য শিক্ষা যেমন জ্ঞান দেবে, তেমনি শিক্ষার্থীদের সামাজিকও করে তুলবে। শুধু বুদ্ধির বিকাশ নয়, চাই হৃদয়েরও শিক্ষা। শিক্ষার্থী যাতে আত্মকেন্দ্রিক ও মুনাফালিপ্সু না হয়ে পড়ে সেটা দেখতে হবে। ঘরের শিক্ষা কিন্তু শিক্ষার্থীদের অসামাজিক ও আত্মকেন্দ্রিক করছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষা হবে সামাজিকতার। আত্মকেন্দ্রিকতা যাতে প্রশ্রয় না পায় সেটা দেখা চাই। সংস্কৃতির চর্চা ও খেলাধুলা হবে শিক্ষার অংশ।

 
সমাজ ভাঙার যে লড়াই, সেটা তো দীর্ঘমেয়াদি। এই লড়াইয়ের জন্য যে মানসিকতা, সেটা কি আমাদের আছে?

সমাজ বদলের অঙ্গীকারবদ্ধ মানুষের সংখ্যা কমেছে, কিন্তু নিঃশেষ হয়নি। এই লড়াই বিভিন্ন পন্থায় অব্যাহত রয়েছে। সমাজের বেশির ভাগই ভালো মানুষ। কিন্তু তারা সংগঠিত নয়। তাদের দল নেই। দল গঠনের সাংস্কৃতিক প্রস্তুতি নেই। মানুষ তো মানুষই থাকবে না, যদি তার মনুষ্যত্ব হারায়। এবং মানুষ নিশ্চয়ই মনুষ্যত্ব হারাতে রাজি হবে না। প্রয়োজন বিবেকবান ও বুদ্ধিমান মানুষদের এগিয়ে আসা।

ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ সব সময় এক ধরনের চাপের মুখে থাকছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান কেমন? ভবিষ্যতে কেমন হওয়া উচিত?

আমাদের ভূখণ্ডটি নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর কাছে এলাকাটি গুরুত্বপূর্ণ বলেই বিষয়টি বারবার সংবাদে এসেছে। চাপ বাড়ছে শাসকশ্রেণির দুর্বলতার কারণে, যারা নিজেদের স্বার্থ দেখে, দেশের স্বার্থ না দেখে। দেশের স্বার্থ হওয়া চাই পররাষ্ট্রনীতির প্রথম শর্ত। সেটা থাকলে কূটনৈতিক দক্ষতা বাড়ে এবং নতজানু না হওয়ার মনোভাব তৈরি হয়। কতিপয়ের স্বার্থে পররাষ্ট্রনীতির নির্ধারণ দেশদ্রোহের শামিল। সাম্রাজ্যবাদের কাছে আত্মসমর্পণ ও আনুগত্যের কারণে এবং বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়ার ফলে তাদের কর্তৃত্বের জন্য সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের সম্পদ যারা বিদেশে পাচার করে তারা তো দেশের স্বার্থ দেখবে না, দেখছেও না।


আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক ধরনের পরিবর্তন আসছে। সেখানে নতুন কোনো পরিস্থিতি কি আপনার কাছে দৃশ্যমান হচ্ছে?

আন্তর্জাতিকভাবে পুঁজিবাদী বিশ্বের বিকল্প এখন আর নেই। পুঁজিবাদী রাষ্ট্র মুনাফার জন্য যুদ্ধ বাধায়। অস্ত্র বিক্রি করে মুনাফার লোভে। ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালায়। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে। দুই পুঁজিবাদী রাষ্ট্র আমেরিকা ও রাশিয়া এখন পৃথিবীকে ভাগ করে তাদের বলয়ের বাইরে কোনো রাষ্ট্রকে রাখার পক্ষপাতী নয়। পুঁজিবাদী চীনও বসে নেই। তারাও মুনাফার জন্য বাণিজ্যিক বিস্তার ঘটিয়ে চলছে। আমাদের মতো ছোট ও দুর্বল দেশকে তারা কবজার মধ্যে রাখতে চায়। আন্তর্জাতিক পরিবর্তন কোনো ইতিবাচক বার্তা আনছে না, নেতিবাচক খবরই দিচ্ছে শুধু। বিশ্ব এগোচ্ছে ফ্যাসিবাদের দিকে। এর জন্য প্রতিটি দেশের মানুষের কর্তব্য রুখে দাঁড়ানো।

রাষ্ট্র ও সমাজ নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ ভাবনা কী?

রাষ্ট্র ও সমাজ বদলানো ছাড়া আমাদের ভবিষ্যৎ বদলাবে না। রাষ্ট্র সমাজের চেয়ে শক্তিশালী, তাই রাষ্ট্র না বদলালে সমাজ বদলাবে না। আমাদের এই রাষ্ট্র ঔপনিবেশিক প্রয়োজনে গঠিত। তাই রাষ্ট্রের আমূল পরিবর্তন শুধু আবশ্যিকই নয়, অপরিহার্যও বটে।

জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও মুক্তির প্রত্যাশা নিয়ে বরাবর আপনি কথা বলেছেন এবং এখনো সেই চরিত্রই বহনকারী জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও মুক্তি নিয়ে আপনার বক্তব্য কী?

জনগণের মুক্তির প্রধান অন্তরায় পুঁজিবাদসৃষ্ট বৈষম্য। বৈষম্যের অবসান এবং ব্যক্তিমালিকানার জায়গায় সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও মুক্তি নিশ্চিত হবে। সংস্কারে কুলাবে না। সেটা ভেঙে পড়বে। সংকটের স্থায়ী নিরসনে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।

বিকল্প রাজনীতি ছাড়া সমাজের মুক্তি সম্ভব নয়—এ কথাও বলেছেন আপনি। এই বিকল্প রাজনীতি কেমন হতে পারে?

বিকল্প রাজনীতি হতে হবে ব্যক্তিমালিকানাধীন ও মুনাফাভিত্তিক পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে বিদায় করে সামাজিক মালিকানার বিশ্ব গড়ে তোলার রাজনীতি। সে জন্য শুধু রাষ্ট্রীয় সংস্কার নয়, সামাজিক বিপ্লবের প্রয়োজন হবে। রাজা ও প্রজার সম্পর্ক ছিন্ন করে, বৈষম্য ঘুচিয়ে ফেলে, প্রতিষ্ঠা করা চাই প্রকৃত সাম্য ও মৈত্রী। তার জন্য সামাজিক বিপ্লব ভিন্ন অন্য কোনো পথ নেই।

রাষ্ট্রব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা কি খুব সহজ হবে?

না, সহজ হবে না। কাজটি কঠিন, কিন্তু অসাধ্য নয়। এর জন্য দেশপ্রেমিক মানুষদের ঐক্যের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক প্রস্তুতিরও প্রয়োজন। এই দুটি জিনিস এখন অনেকটা অনুপস্থিত। তবে এটিও বলা যাবে যে শেখ হাসিনার সরকারের পতনটা এভাবে যে ঘটবে সেটা কেউ চিন্তাও করেনি। কিন্তু সেটা ঘটেছে। রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তনও যে ঘটানো যাবে না, সেটা ভাবি কী করে? নিজেদের বাঁচার জন্যই রাষ্ট্রের চরিত্রে পরিবর্তন আনতে হবে। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের ঐক্যেই সেটা সম্ভব হবে বলে আশা রাখি। মানুষের অসাধ্য বলে তো কিছু নেই।

এটা তো খুবই বড় চ্যালেঞ্জ?

অবশ্যই। তবে আমরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে বিদায় করেছি। বিদায় করেছি পাকিস্তানিদেরও। স্বাধীনতার আগে ও পরে আমাদের অর্জনগুলো আমলে নিলে পরিষ্কার হয়ে যাবে, আমাদের দেশের মানুষ শত প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেই জয়ী হয়েছে।

কাজটা কঠিন। কিন্তু বিকল্প পথ কি খোলা আছে?

কঠিন নিশ্চয়, আর বিকল্প বলতে নিশ্চয়ই বুর্জোয়াদের থেকে কিছু আশা করা যাবে না। যারা সমাজ পরিবর্তনে অঙ্গীকারবদ্ধ তারাই বিকল্প পথের দিশা দিতে পারবে, অন্য কেউ নয়।
 

ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে আপনি কেমন দেখতে চান?

দেখতে চাই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ হিসেবে। বৈষম্যহীন এবং সব মানুষের অধিকার ও সুযোগের সাম্য নিশ্চিতকারী একটি সমাজ চাই, যে সমাজ প্রতিষ্ঠা ছিল মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত মুক্তির সংগ্রাম চলছে এবং চলবে।

এই বিভাগের আরও খবর
গণঅভ্যুত্থান : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
গণঅভ্যুত্থান : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা
মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা
'আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায়'
'আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায়'
দেশজুড়ে অশান্তি সান্ত্বনা শুধু ‘বিবৃতি’
দেশজুড়ে অশান্তি সান্ত্বনা শুধু ‘বিবৃতি’
তারেক রহমান এক অনন্য উচ্চতায়
তারেক রহমান এক অনন্য উচ্চতায়
বিনিয়োগ কমছে আর বাড়ছে বেকারত্ব
বিনিয়োগ কমছে আর বাড়ছে বেকারত্ব
ইরান আক্রমণ নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প
ইরান আক্রমণ নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প
ব্যবসায়ীরা বহুমুখী সংকটে, উৎকণ্ঠায় প্রবাসীরা
ব্যবসায়ীরা বহুমুখী সংকটে, উৎকণ্ঠায় প্রবাসীরা
সর্বশেষ খবর
নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাঙামাটিতে ফ্ল্যাট থেকে বিচারকের স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রাঙামাটিতে ফ্ল্যাট থেকে বিচারকের স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘পিআর ইস্যু নিয়ে রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবেন না’
‘পিআর ইস্যু নিয়ে রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবেন না’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফি দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীকে থাপ্পড় দিয়ে খাতা কেড়ে নিলো মাদরাসা সুপার
ফি দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীকে থাপ্পড় দিয়ে খাতা কেড়ে নিলো মাদরাসা সুপার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি ও জেলা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ
কক্সবাজারের সাবেক ডিসি ও জেলা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এনবিআরের আরো পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
এনবিআরের আরো পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে শ্রীলঙ্কা
মুস্তাফিজকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে শ্রীলঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অভিনয়ের শখ ছেলের, বাধা হয়ে দাঁড়ান উত্তম কুমার!
অভিনয়ের শখ ছেলের, বাধা হয়ে দাঁড়ান উত্তম কুমার!

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইনসাফভিত্তিক মানবিক দেশ প্রতিষ্ঠার এখনই সময়: তারেক রহমান
ইনসাফভিত্তিক মানবিক দেশ প্রতিষ্ঠার এখনই সময়: তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অপুষ্টিতে ভুগছে গাজার শিশুরা
অপুষ্টিতে ভুগছে গাজার শিশুরা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘাটাইলে গজারি বনে অবৈধ দুই সীসা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
ঘাটাইলে গজারি বনে অবৈধ দুই সীসা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালনে বাউবির কর্মসূচি
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালনে বাউবির কর্মসূচি

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লস অ্যাঞ্জেলেস মাতালেন জেমস
লস অ্যাঞ্জেলেস মাতালেন জেমস

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শাবিপ্রবিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৩টি দ্বিতল বাস
শাবিপ্রবিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৩টি দ্বিতল বাস

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে কাঁঠালের বাজার রমরমা, সপ্তাহে বিক্রি অর্ধ কোটি
টাঙ্গাইলে কাঁঠালের বাজার রমরমা, সপ্তাহে বিক্রি অর্ধ কোটি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি পরিবর্তন চায় : মির্জা ফখরুল
নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি পরিবর্তন চায় : মির্জা ফখরুল

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রেকর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহে রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৬৮ বিলিয়ন ডলার
রেকর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহে রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৬৮ বিলিয়ন ডলার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পেল পাকিস্তান
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পেল পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আশুগঞ্জে টিকিট কালোবাজারিতে ‘বলদা রমজান’ গ্রেফতার
আশুগঞ্জে টিকিট কালোবাজারিতে ‘বলদা রমজান’ গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
ইবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৪৮ বছরের রেকর্ড ভাঙল চট্টগ্রাম বন্দর
কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৪৮ বছরের রেকর্ড ভাঙল চট্টগ্রাম বন্দর

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাজীপুরে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও দুইজন গ্রেফতার
গাজীপুরে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও দুইজন গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে পাথর শ্রমিকদের বিক্ষোভে গাড়ি ভাঙচুর
সিলেটে পাথর শ্রমিকদের বিক্ষোভে গাড়ি ভাঙচুর

২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বাবাকে জড়িয়ে ধরতে সন্তানের আকুতি শুনে কাঁদলেন তারেক রহমান
বাবাকে জড়িয়ে ধরতে সন্তানের আকুতি শুনে কাঁদলেন তারেক রহমান

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

'সিটির বিপক্ষে জয় অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্টে ওঠার মতো'
'সিটির বিপক্ষে জয় অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্টে ওঠার মতো'

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টাইগারদের সামনে দশম থেকে নবম স্থানে ওঠার সুযোগ
টাইগারদের সামনে দশম থেকে নবম স্থানে ওঠার সুযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আবারও ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের দাবি খণ্ডন করলেন জয়শঙ্কর
আবারও ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের দাবি খণ্ডন করলেন জয়শঙ্কর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পর্তুগাল-স্পেনে ৪৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা, জনজীবনে অস্বস্তি
পর্তুগাল-স্পেনে ৪৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা, জনজীবনে অস্বস্তি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই শহীদের তালিকায় আরও ১০ শহীদের নাম
জুলাই শহীদের তালিকায় আরও ১০ শহীদের নাম

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
উড়িয়ে দেওয়া হলো খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাদের আশ্রয় নেওয়া বাড়ি
উড়িয়ে দেওয়া হলো খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাদের আশ্রয় নেওয়া বাড়ি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রায় ৫ লাখ নতুন ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করবে ইতালি
প্রায় ৫ লাখ নতুন ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করবে ইতালি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?
সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে শীর্ষে থাকা ভারত এখন ৬ষ্ঠ
বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে শীর্ষে থাকা ভারত এখন ৬ষ্ঠ

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সাবেক ৭ মন্ত্রীসহ ২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ তলব
সাবেক ৭ মন্ত্রীসহ ২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ তলব

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা
মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা

১২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া
জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা
স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ
ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত
ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার
আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার
কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার

১২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি
ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর
যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু
শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ‘নিস্তেজ’ পর্যটন
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ‘নিস্তেজ’ পর্যটন

১৫ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের
যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩
যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এখনই: ইলন মাস্ক
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এখনই: ইলন মাস্ক

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ জুলাই)

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির
আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের সম্ভাবনা নেই পাকিস্তানের
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের সম্ভাবনা নেই পাকিস্তানের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪ তম বিসিএস পুলিশে প্রথম শাবিপ্রবির শরিফ
৪৪ তম বিসিএস পুলিশে প্রথম শাবিপ্রবির শরিফ

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত ইউরোপ, জারি হলো রেড অ্যালার্ট
তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত ইউরোপ, জারি হলো রেড অ্যালার্ট

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
থমথমে নির্বাচন কমিশন
থমথমে নির্বাচন কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ

শিল্প বাণিজ্য

কেমন আছে সেন্ট মার্টিন
কেমন আছে সেন্ট মার্টিন

পেছনের পৃষ্ঠা

গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই জুলাই শুরু আজ
সেই জুলাই শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন
সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন

প্রথম পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা
শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে
ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন
ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা
বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ
রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ

নগর জীবন

ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে রেকর্ড ঋণ
ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে রেকর্ড ঋণ

শিল্প বাণিজ্য

এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ
এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ

মাঠে ময়দানে

তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি
বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি

নগর জীবন

পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়
পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকার সব ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপনের নির্দেশ
ঢাকার সব ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপনের নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পী ফরিদা পারভীন গুরুতর অসুস্থ, রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা কামনা
শিল্পী ফরিদা পারভীন গুরুতর অসুস্থ, রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা কামনা

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকট জুলাই সনদ নিয়ে
সংকট জুলাই সনদ নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

কনজুমার খাত ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে
কনজুমার খাত ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে

শিল্প বাণিজ্য

সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন নাহিদ
সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন নাহিদ

প্রথম পৃষ্ঠা

আগের গভর্নররা এজেন্টের কাজ করেছেন
আগের গভর্নররা এজেন্টের কাজ করেছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী
আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

ফুল চাষে ভাগ্য বদল
ফুল চাষে ভাগ্য বদল

পেছনের পৃষ্ঠা

মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই
মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই

নগর জীবন

আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা