অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবিতে রাজপথে নেমেছেন মার্কিন কংগ্রেসমানরাও। ২৪ মার্চ সারা আমেরিকার লক্ষাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছিল। গত ৭ এপ্রিলও নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করা হয়। সবাই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন তৈবিতে ট্রাম্প প্রশাসনের সীমাহীন উদাসীনতার প্রতিবাদ জানান।
শনিবার সকালে কুইন্সের ডিটমাস বুলেভার্ড এলাকায় আয়োজন করা হয় একটি সমাবেশের। যাতে বাংলাদেশি ডেমক্র্যাটরাও অংশ নেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে কংগ্রেসে ডেমক্র্যাট ককাসের চেয়ারম্যান যোসেফ ক্রাউলি বলেন, ২০১২ সালে কানেকটিকাটে স্যান্ডিহুক প্রাইমারি স্কুলে হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। তখন হাউজ স্পিকার অস্থির না হবার পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন, 'এখনো অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন করার সময় হয়নি।' এরপর ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, আরিজোনাসহ বিভিন্ন স্থানে গুলি বর্ষণে শতশত আমেরিকানের প্রাণ ঝরেছে। প্রতিবারই রিপাবলিকান স্পিকার পল রায়ান একই কথার পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, সময় হলেই সবকিছু করা হবে।আর কত রক্ত ঝরলে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের আইনের সময় হবে?
ডেমক্র্যাটিক পার্টির কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট লিডার বাংলাদেশি-আমেরিকান এটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, প্রচলিত আইনে যে কেউ অস্ত্র ক্রয় করতে পারেন। এ কারণে কখনো যদি কোন অভিবাসীর গুলিতে কেউ মারা যায়, তাহলে সকল মিডিয়া সরব হয়ে প্রচার করতে থাকে যে, অভিবাসীরা বেপরোয়া হয়েছে। সন্ত্রাস করছে। শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানের গুলিতে নিরীহ মানুষের প্রাণ গেলে বলা হয় না যে, তারা সন্ত্রাস করছে। প্রচারের চেষ্টা করা হয় যে, মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হওয়ায় এহেন হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এমন মনোভাব বন্ধে আইন দরকার। যারা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অসহায় মানুষ হত্যা করে, তারা সকলেই দুর্বৃত্ত-এটি স্মরণ রাখা দরকার।
কম্যুনিটি এ্যাক্টিভিস্ট ওসমান চৌধুরী বলেন, অস্ত্র ক্রয়ে আগ্রহী ব্যক্তির মানসিক পরিস্থিতি ঠিক আছে কিনা-তা যাচাই করার বিধি করতে হবে এবং অস্ত্র ক্রয়ের পর প্রতি বছরই লাইসেন্সধারীর মানসিক অবস্থা পর্যালোচনা করতে হবে।
প্রসঙ্গত গত ফেব্রুয়ারিতে ফ্লোরিডায় একটি হাই স্কুলে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন দাবিতে ২০ এপ্রিল সারা যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল বর্জন করবে। তারা বিক্ষোভ করবে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
বিডি প্রতিদিন/৮ এপ্রিল, ২০১৮/ফারজানা