জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে যে ভাষণ দিয়েছিলেন তাতে তিনি জাতিসংঘকে মানুষের ভবিষ্যত আশা আকাঙ্খার কেন্দ্রস্থল হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। এবারের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনের মূল প্রাতিপাদ্য জাতিরপিতা প্রদত্ত ভাষণের সেই অভিষ্ট লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ’-এ অভিমত পোষণ করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
উল্লেখ্য, এবারের সাধারণ অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘জাতিসংঘকে সকল মানুষের আশা-আকাঙ্খার সামঞ্জস্যপূর্ণ করুন : শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই সমাজ গঠনে দায়িত্বশীল নেতৃত্ব দরকার’ (Making the United Nations relevant to all people: global leadership and shared responsibilities for peaceful, equitable and sustainable societies)
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসূচির আলোকে ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আহূত এক সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয় যে, রোহিঙ্গা বিষয়ক, উন্নয়ন বিষয়ক, বিশেষত: শিক্ষা ও নারী অধিকার, আন্তর্জাতিক শান্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা বিষয়কে প্রাধান্য দেবেন শেখ হাসিনা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে বিশ্ব মাদক সমস্যা বিষয়ে বৈশ্বিক আহ্বান সংক্রান্ত একটি উচ্চ পর্যায়ের অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। এ সময় ট্রাম্পের সাথেও একান্তে কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি হবে শেখ হাসিনার। কারণ, এ অনুষ্ঠানের কো-হোস্ট হিসেবে আরো কয়েকটি দেশের সাথে বাংলাদেশও রয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিবও বক্তব্য রাখবেন এ সময়।
ইউএস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত একটি গোল টেবিল বৈঠকেও অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, বঙ্গবন্ধুর অপর কন্যা শেখ রেহানাও আসবেন সফরসঙ্গি হিসেবে। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল জাতিসংঘের আমন্ত্রণে অটিজম সম্পর্কিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কথা।
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, ৯০ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন এর মধ্যে। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়কারি আবুল কালাম আজাদসহ পদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা আসছেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন