জার্মানীর বাণিজ্যিক রাজধানী ফ্রাংকফুর্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৮ম ইমিগ্রেশন বা অভিবাসী বইমেলা। শহরের ঐতিহাসিক যাদুঘরে শনিবার থেকে শুরু হওয়া ২ দিনব্যাপী এই অভিবাসী বইমেলার উদ্বোধন করেন হেসেন প্রদেশের বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আঙ্গেলা ডর্ন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্মানির ১৯৬৮ সালে গণঅভ্যুথানে অংশ নেয়া বিপ্লবী লেখিকা গ্রেটশেন ডুচকে। এছাড়া বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের কবি, লেখক, সাহিত্যিক ও সর্বস্তরের পাঠকসহ বিভিন্ন স্তরের দলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বইমেলায় সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভায় ড. আলেকজান্দ্রা মুইলার সঞ্চালনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আঙ্গেলা ডর্ন বলেন, অভিবাসী বইমেলার উদ্যোক্তা হামিদুল খানার এই উদ্যোগ অসাধারণ, তারই উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই বইমেলা প্রমাণ করে মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ নেই, আর উদার সংস্কৃতিই পারে কোটি প্রাণের সম্মিলন ঘটাতে। একজন জার্মান হিসেবে হামিদুল খান আমাদের জন্যে বিশেষ কিছু ও গৌরবের।
অন্যদিকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লেখিকা মিসেস ডুচকে বলেন, পৃথিবীতে আমরা সবাই কোন না কোনভাবে অভিবাসী। আর অভিবাসীরাই পারে যুগান্তরকারী বিপ্লব ঘটাতে। ঠিক যেমনটা হামিদুল খান ৮ বছর ধরে করে চলেছেন।
এসময় অভিবাসী বইমেলার উদ্যোক্তা, সংস্কৃতিক সংগঠক ও জার্মান বাংলা সোসাইটির সভাপতি হামিদুল খানের সাথে সিবিলে ফোগেল, ড. সুজানে কনরাড বলেন, এই অভিবাসী বইমেলার উদ্দেশ্য একটাই আর তা ভাল মানুষ সৃষ্টি করা। মানুষের সাথে মানুষের বন্ধন আরো সুদৃঢ় করে সবাইকে সাথে নিয়ে সুস্থ সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা।
মেলায় সমাজকর্মী কামাল ভূইঁয়াসহ প্রবাসী সর্বস্তরের বাংলাদেশিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। দুদিনব্যাপী এই মেলায় বিভিন্ন লেখকদের লেখা বইসহ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, সমকালীন সংস্কৃতি ও সাহিত্যের নানা বই স্থান পায়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন কবি ও সংস্কৃতিকর্মী রুখসানা দিল রিয়াজ, আমেনা হক সুইটি বাউল শিল্পী রঞ্জু সরকার ও ইয়ারিজ মাই, লাবণী ভূইঁয়াসহ আরো অনেকে। পরে সেরা লেখকদের দেওয়া হয় সম্মাননা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল