বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ৪৮তম বার্ষিকীর দিন তথা ২৬ মার্চ (মঙ্গলবার) নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেই ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ ডে’ বিল পাশ হয়েছে। ফলে এখন থেকে প্রতি বছরই স্বাধীনতা দিবসে অঙ্গরাজ্য পার্লামেন্ট ভবনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে লাল-সবুজের আমেজে দিবসটি উদযাপন করা হবে। এমন একটি রেজ্যুলেশন বিপুল ভোটে পাশের সময় পার্লামেন্ট ভবনে পতাকা হাতে ছিলেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি।
‘সাউথ এশিয়ান ফান্ড ফর এডুকেশন, স্কলারশিপ এ্যান্ড ট্রেনিং’ তথা ‘স্যাফেস্ট’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন যাবত এমন একটি রেজুলেশনের জন্যে মার্কিন রাজনীতিকদের সাথে দেন-দরবার চলছিল। রাজ্য সিনেট এবং রাজ্য অ্যাসেম্বলিতে রেজ্যুলেশনটি গৃহিত হবার পর রাতে নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে তিতাস পার্টি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাধীনতা দিবসে এ খুশীর সংবাদটি দেয়া হয়। কমিউনিটি লিডার ফাহাদ সোলায়মানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন স্যাফেস্ট’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মাজেদা এ উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, নিউইয়র্ক ইন্স্যুরেন্সের প্রেসিডেন্ট শাহনেওয়াজ, কমিউনিটি লিডার কাজী আজম, আল আমিন, স্যাফেস্ট’র পরিচালক আদন ইসলাম এবং শাহানা আলম।
এ সময় মাজেদা এ উদ্দিন উল্লেখ করেন, দীর্ঘ দেন-দরবারের মধ্য দিয়ে ইতিপূর্বে এই রাজ্যের নির্বাচনী ব্যালটে বাংলা ভাষার সংযোজন ঘটানো হয়েছে। নিউইয়র্ক সিটির হাসপাতালে বাংলা ভাষা চালু করা হয়েছে। পাবলিক স্কুলেও দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বাংলা স্থান করে নিয়েছে।
রাশেদ আহমেদ বলেন, আমরা যদি সংগঠিত থাকতে পারি তাহলে আরও অনেক অধিকারই আদায় করা সহজ হবে। বিশেষ করে রাজ্য প্রশাসন ও সিটি প্রশাসনে এখন অনেক বেশি গুরুত্ব পাবে প্রবাসীরা।
জানা গেছে, অ্যাসেম্বলিতে এই বিল উত্থাপন করেছিলেন ডেমক্র্যাটিক পার্টির স্টেট অ্যাসেম্বলিওম্যান ক্যাটালিনা ক্রুজ। অপরদিকে সিনেটে উঠিয়েছিলেন স্টেট সিনেটর (ডেমক্র্যাট) জন ল্যু। উভয়েই বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যামাইকা ও জ্যাকসন হাইটস এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এমন একটি রেজ্যুলেশনের জন্যে দেন-দরবারকারীদের মধ্যে আরও ছিলেন কাজী নয়ন, আবুল ফজল দিদার, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ হোসেন খান, নাজিদা সাঈদ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম