দেশের সকল অনাচার ও অবিচার সম্মিলিতভাবে রুখে দেওয়ার প্রত্যয়ে ব্যাপক আনন্দ, উৎসব, লোকজ ঐতিহ্য ও নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে জার্মানির প্রবাসী বাঙালিরাও বরণ করে নিল বাংলা নতুন বর্ষকে।
রবিবার রাজধানী বার্লিনের একটি মিলনায়তনে বেঙ্গালিশে কুলটুওর ফোরামের বর্ষবরণের জমকালো আয়োজন ছিল অন্যান্য বারের মতই বৈচিত্রময়। চৈত্র সংক্রান্তি শেষে বাঙালির সবচেয়ে আনন্দমুখর উৎসব পহেলা বৈশাখ।
শিল্পীদের সম্মিলিত কন্ঠে এসো হে বৈশাখ এসো এসো গান দিয়ে শুরু হওয়া বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে আগত সকলেই ধর্ম ও বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে পুরনোকে বিদায় জানিয়ে মেতে ওঠে অনন্য উৎসবে। তারপর একে একে মঞ্চে আসে শিশু শিল্পীরা, তাদের অংশগ্রহণে ফুটে ওঠে গ্রাম বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি।
তারপর নৃত্য নিয়ে আসেন জার্মানিতে জন্ম নেয়া ও বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম। তাদের পরিবেশনাও মুগ্ধ করে সকলকে। পরে একে একে গান পরিবেশন করেন স্বনামধন্য শিল্পীরা।
নূরজাহান খান নুরী ও পৃথবী এর উপস্থাপনায় প্রবাসীদের সংগঠন বেঙ্গালিশে কুলটুওর ফোরাম আয়োজিত বর্ষবরণের অনুষ্ঠানেও আগত সর্বস্তরের প্রবাসীরা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন অতীত বছরের যত দুঃখ-গ্লানি, গেয়েছেন নবজাগরণের গান ।
এবারের বৈশাখকে বরণ করতে বরাবরের মতই উৎসবে যোগ দিয়েছেন জার্মানির নানা প্রান্তে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিসহ স্থানীয়রাও। হল হয়ে ওঠে কানায় কানায় পূর্ণ।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে সংগঠকদের মধ্যে মাসুদ চৌধুরী পিটু ও মামুন আহসান খানসহ অন্যরা আক্ষেপের সুরে বলেন, আমাদের এই সার্বজনীন প্রাণের উৎসবের আনন্দে বিবর্ণ রঙ ঢেলে দিয়েছে আলোচিত ধর্ষক মাওলানা সিরাজ উদ দৌলা কর্তৃক ফেনীর সোনাগাজীর প্রতিবাদী শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাসহ দেশব্যাপী নারী ও শিশুদের প্রতি নির্মমতা, সহিংসতা ও নৈতিক অবক্ষয়ের বিষয়গুলো।
তবে সাম্প্রদায়িকতার উর্ধ্বে উঠে সাম্য, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদায় এই নতুন বছরে দেশ এগিয়ে যাবে সকল বাঁধা বিপত্তিকে পেছনে ফেলে, এই কামনা ছিল সকল সাধারণ প্রবাসীর। শুভ হোক ১৪২৬।
বিডি প্রতিদিন/কালাম