নতুন আঙ্গিক, রূপ, বর্ণ ও বৈচিত্র্য নিয়ে বাঙালির জীবনে বারবার ঘুরে আসে বৈশাখ। এ দিন আমাদের ঐতিহ্যকে স্মরণ করিয়ে দেয়। জেগে ওঠে বাঙালির আত্মপরিচয়। সৌদি আরবেও বৈশাখের এ রূপ বৈচিত্র্য ধরা পড়েছে অনন্য ব্যঞ্জনায়।
মরুভূমির বুকে থেমে থেমে বৃষ্টি, পানি থেকে নিজেকে বাঁচাতে এদিক সেদিক ছুটোছুটি। কাঁচা আমের ভর্তা সাথে বাহারি পিঠা-পুলির আয়োজন। এমনই এক আবহে সৌদি প্রবাসীরা বরণ করে নিলো বাংলা নতুন বছর ১৪২৬ সালকে। অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান ড. নজরুল ইসলাম সাথে কার্যালয় প্রধান ড. ফরিদ উদ্দিন।
চটপটি-ফুসকা, মেডিকেল সেন্টার, কনজ্যুমার প্রডাক্ট, মোবাইল অপারেটর, ব্যাংক, রিয়েল এস্টেট আর দেশীয় খাবারের স্টল ছিলো মেলা প্রাঙ্গণে।
শুক্রবার বিকাল থেকেই বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজক প্রতিষ্ঠান শ্যাডোর বৈশাখী উৎসবে জমায়েত হতে থাকেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সময় বাড়ার সাথে সাথে উৎসবে আসতে থাকেন বাংলাদেশিরা। সন্ধ্যার পর কানায় কানায় পূর্ণ হয় অনুষ্ঠানস্থল।
মেলার গোল্ডেন স্পন্সর ছিলো মুনা ফুডস. প্রিমিয়াম সুইটস, ফ্রেন্ডী মোবাইল এবং এসটিসি পে। সিলভার স্পন্সর ছিলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বদর আসসামা মেডিকেল সেন্টার, ঢাকা মেডিকেল সেন্টার, আমানী গ্লোবাল, টোকিওসেট এবং আসফার ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিজম।
আরিফুর রহমান টিটুর সঞ্চালনায় জাতীয় সংগীত ও বৈশাখের গান দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। নাচ, গান, আবৃতি আর অভিনয়ে শেষ রাত পর্যন্ত দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন স্থানীয় প্রবাসী সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান শ্যাডো'র সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আরাফাত হাশেম দেওয়ান, আবিদ রহমান, আরিফুর রহমান টিটু, নাজিম উদ্দিন, সালাউদ্দিন, কিরন আব্দুস সালাম, মির্জা কামাল, মোমতাজ উল আলম তাজ, জামান, আরিফুর রহমান কুদ্দুস, দুলাল আহমেদ, বিপ্লব দেওয়ান, শাহীনুর, ইয়াকুব আলম, আপন খান, মোসতাক আহমেদ মন্ডল, মোজাম্মেল হক, হাফিজুল ইসলাম পলাশ, আলম মন্ডল, রফিক মন্ডল, যুবায়ের ফয়েজ, মিঠু মজুমদার এবং জাভেদ খান।
শুধু রিয়াদ নয় সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলাদেশি যোগ দেন এই উৎসবে। নানা ধর্ম-বর্ণ আর ভিবিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় অনুষ্ঠানস্থল। আর সুন্দর আয়োজনের জন্য শ্যাডোকে ধন্যবাদ জানান দর্শণার্থীরা।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা