৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
রবিবার পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৭তম বিসিএস এর প্রিলিমিনারি টেস্ট (এমসিকিউ) আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা নিম্নরূপ-
পরীক্ষা হলে বই-পুস্তক, সকল প্রকার ঘড়ি, মোবাইল ফোন, সায়েন্টিফিক/প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর, সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোন ডিভাইস, গহনা, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো প্রার্থী পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
পরীক্ষা হলের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে।
পরীক্ষার দিন উল্লিখিত নিষিদ্ধ সামগ্রী সাথে না আনার জন্য সকল প্রার্থীর মোবাইল ফোনে এস.এম.এস. প্রেরণ করা হবে। এসএমএসবার্তার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
পরীক্ষার সময় প্রার্থীগণ কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ পত্রসহ পূর্বাহ্ণে কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
পরীক্ষার হলে কোন প্রার্থীর নিকট বর্ণিত নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪-এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক গৃহীতব্য সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য উক্ত প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।
এছাড়া, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ এর ধারা-১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ অনুযায়ী কোন অপরাধ সংঘটন করলে বা সংঘটনে সহায়তা করলে, তিনি যে ধারার অধীন অপরাধ সংঘটন করবেন বা সংঘটনে সহায়তা করবেন, সে ধারায় বর্ণিত দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে প্রার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। সকাল সাড়ে ৯টার পর পরীক্ষার হলে প্রবেশের সকল গেট/ফটক বন্ধ হয়ে যাবে।
অন্য এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের পরীক্ষার হলে উপস্থিতির বিষয়ে বলা হয়েছে, পরীক্ষা হলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার লক্ষ্যে হাজিরা তালিকায় প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর জোড় ও বিজোড়ে বিন্যস্ত করে এবং প্রতিটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর কক্ষওয়ারি দৈবচয়ন ভিত্তিতে সাজিয়ে হাজিরা তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। দৈবচয়ন প্রক্রিয়ায় নিজ আসন এবং কক্ষ চিহ্নিত করা কিছুটা সময়সাপেক্ষ।
এ পরিপ্রেক্ষিতে নিজ আসন এবং কক্ষ চিহ্নিত করার জন্য প্রার্থীদেরকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে নিজ নিজ পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে কিজ্ঞপ্তিতে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত