জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেছেন, 'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা বাঙালির জন্য সমৃদ্ধশালী একটি ভূখন্ড রচনার জন্যেই শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির জন্য আশীর্বাদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন ১৯৮১ সালের ১৭ মে।'
‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে ১৭ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নেতৃত্বে দূরদর্শিতার ফলে বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০২১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পরিগণিত হতে চলেছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার এই নেতৃত্ব অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত হবে। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জাগ্রত রাখতে হবে। প্রবাসীদেরও অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে এ উন্নয়নের ধারাক্রমে।নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে তিতাস পার্টি সেন্টারের এই আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, ‘এখন সময় হচ্ছে ভেদাভেদ ভুলে সকলকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র সম্পর্কে প্রতিটি প্রবাসীকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবার।’
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূরল আমিন বাবুর পরিচালনায় এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ এবং সেক্রেটারি মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি ও মহানগর আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খুরশেদ আনোয়ার বাবলু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বেশ ক’জন মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ফরিদ আলম, সদস্যা অধ্যাপক হুসনে আরা, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জামাল হোসেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সৃব্রত চৌধুরী, সুমন, পারভেজ আহমেদসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। ইফতারের প্রাক্কালে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় জাকারিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার