৩১ মার্চ, ২০২০ ০২:৫০

করোনা নিয়ে ব্রিটেনে প্রতারক চক্র সক্রিয়

যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি :

করোনা নিয়ে ব্রিটেনে প্রতারক চক্র সক্রিয়

করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনে ব্যাপকভাবে প্রতারণা শুরু হয়েছে। ঘরে ঘরে নকল করোনাভাইরাস পরীক্ষার যন্ত্রপাতি এবং হাত ধোয়ার নকল পণ্য বিক্রি করে প্রতারকরা এরই মধ্যে অন্তত মিলিয়ন পাউন্ড হাতিয়ে নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও হলিডের অর্থ ফেরত, সরকারি অনুদান, মর্গেজের সমস্যাসহ নানান অজুহাতে টেলিফোন, মোবাইল টেক্সট এবং ই-মেইলে জরুরী ভিত্তিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্টসসহ বিস্তারিত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) সংক্রান্ত সরকারি নানান তথ্যের সাথে নিচে প্রতারকদের নিজস্ব ওয়েব সাইট লিঙ্ক দিয়ে টেক্সট মেসেজ এবং ই-মেইল করছে প্রতারকরা।

প্রতারণার ফাঁদ হিসেবে সম্প্রতি যোগ হয়েছে, পুলিশের জরিমানা আদায়ের বিষয়টি। সরকারি লকডাউন অমান্যকারীদের জরিমানা আদায়ের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। লকডাউন অমান্যকারীদের ৬০ পাউন্ড প্রাথমিক জরিমানা আরোপ এবং তা ১৪ দিনের ভেতরে পরিশোধ করলে ৩০ পাউন্ডে নেমে আসবে। প্রথমবার জরিমানা আরোপের পর কেউ ঘর থেকে বের হলে, যতবার ঘর থেকে বের ততবার দ্বিগুণ হারে জরিমানা আরোপ করবে পুলিশ। প্রয়োজনে লকডাউন নিয়ম অমান্যকারীকে গ্রেফতারও করতে পারবে পুলিশ। এছাড়া জরিমানা অর্থ পরিশোধ না করলে আদালতেও নিয়ে যাবে লকডাউন অমান্যকারী ব্যক্তিকে।

পুলিশের এই জরিমানা আরোপের বিষয়টি নিয়েও প্রতারণা চলছে। হয়তো কখনো কেউ ঘর থেকে বের হয়েছেন, যা পুলিশের চোখেও পড়েনি বা কখন বের হয়েছেন ভুলে গেছেন কিন্তু হঠাৎ দেখা যাবে পুলিশ বা হোম অফিসের পক্ষ থেকে মোবাইলে বা ইমেইলে মেসেজ এসেছে যে, আপনি লকডাউন অমান্য করেছেন বলে আপনাকে তাড়াতাড়ি জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।

প্রতারকরা টেক্সট মেসেজ বা ইমেইল পাঠিয়ে খুব দ্রুত জরিমানার অর্থ পরিশোধের জন্য তাগিদ দিয়ে থাকে। এক ধরনের প্যানিক তৈরি করে দ্রুত কাজ আদায় করে প্রতারকরা। পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, এ ধরনের টেক্সট মেসেজ বা ই-মেইল পাওয়ার সাথে সাথে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। সরকারি কোনো জরিমানা পরিশোধের জন্য সাধারণত এভাবে তাগিদ দেওয়া হয় না। তবে নির্ধারিত একটি তারিখ ধার্য করে দেওয়া হয়।

টেলিফোনে কোনো ধরনের তথ্য বিশেষ করে জন্ম তারিখ, ব্যাঙ্কের তথ্য না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মোবাইলে বা ই-মেইলে কোনো লিঙ্কে চাপ দেওয়ার আগে বা কোনো ধরনের অর্থ পরিশোধের আগে ভালোভাবে যাচাই করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। দরজায় এসে কেউ কড়া নাড়লে বা কেউ চ্যারিটির জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে বলে দরজায় কড়া নাড়লেও তাদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর