সপ্তাহে ৬০০ ডলারের বেকার ভাতা জুলাই থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধির বিলে সম্মতি দেবেন না প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউএস সিনেটে রিপাবলিকান সদস্যগণের সাথে ১৯ মে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ট্রাম্প জানিয়েছেন যে, করোনার কারণে ৩ কোটি ৬৫ লাখের অধিক আমেরিকান বেকার হয়ে পড়লেও তা সার্বিক অর্থনীতির ওপর কোন প্রভাব ফেলবে না।
উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালে মহামন্দার সময়ের চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি বিরাজ করছে আমেরিকায় এবং এমন অবস্থা কাটিয়ে উঠার অভিপ্রায়ে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ডেমক্র্যাটদের ভোটে গত শুক্রবার ‘হিরোজ এ্যাক্ট-২০২০’ নামে চতুর্থ করোনা স্টিমুলাস বিল পাশ হয়েছে। সেটি আইনে পরিণত হতে সিনেটের অনুমোদন লাগবে। সেই বিলে পুনরায় মাথাপিছু ১২০০ ডলার করে প্রদানের পাশাপাশি স্টেট ও সিটি প্রশাসনকে মোটা অর্থ অনুদানের প্রস্তাব রয়েছে। সে অর্থে নার্স, পুলিশ, দমকল বাহিনীর কর্মী, শিক্ষক, গণপরিবহন কর্মী, গ্রোসারি স্টোরের কর্মীসহ সম্মুখসারির লোকজনের বোনাসের ব্যবস্থার কথাও রয়েছে। হাসপাতাল ও নার্সিং হোমের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর যে সংকট রয়েছে তা পূরণের জন্যেও মোটা অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। করোনাকালিন সময়ে বাসা ভাড়া মওকুফের পাশাপাশি বাড়ির মালিকদের ব্যাংকের কিস্তি মওকুফের প্রস্তাব রয়েছে। করোনায় বেকার হয়ে পড়া লোকজনকে সপ্তাহে ফেডারেল থেকে ৬০০ ডলার এবং স্টেট থেকে হিস্যা অনুযায়ী অর্থ প্রদানের কথাও রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে করোনা রিলিফ বিল পাশ হয় মার্চের শেষ সপ্তাহে। সেটি ছিল প্রথম বিল ২ ট্রিলিয়ন ডলারের। সর্বশেষ নিম্নকক্ষে পাশ হওয়া চতুর্থ করোনা রিলিফ বিল-৩ ট্রিলিয়ন ডলার। এই বিলের পক্ষে অর্থনীতিবিদ, ব্যবসা-বাণিজ্য বিশ্লেষকসহ রাজনীতিকরাও অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একে ডেমক্র্যাটদের নির্বাচনী বৈতরণী পাড়ি দেয়ার বিল হিসেবে অভিহিত করছেন এবং তার সমর্থক রিপাবলিকানরাও একই ভাষায় এ বিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা