সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী গতকাল বুধাবার (৫ আগস্ট) শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সাথে উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন ভিয়েনা।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার পেটার জরডানটাসে ৫০-এ অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের নিজস্ব ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। সঞ্চালন করেন প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো: তারাজুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অষ্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক ও সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, অষ্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি নাসরিন নাহিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন দূতাবাসের সহকারী কনস্যুলার অফিসার জুবায়দুল হক চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত তার বক্তব্যে শেখ কামালের কর্মময় জীবন সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, শেখ কামাল ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর এডিসি হিসাবেও দায়িত্ব পালণ করেন। তিনি ছিলেন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠক। ছায়ানটে সেঁতার বাজিয়েছেন, আবাহনী ক্রীড়া চক্র নামক ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছেন।
অনুষ্ঠানে এম. নজরুল ইসলাম বলেন, শেখ কামাল ছিলেন আমাদের কমান্ডার। এই নামে আমরা ডাকতাম তাকে। অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতার অধিকারী শেখ কামাল যেকোনো মানুষকে অনায়াসে কাছে টানার শক্তি রাখতেন। জানতেন কী করে সংগঠনকে প্রাণবন্ত রাখতে হয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যরকম একটা জোয়ার আনার চেষ্টা করেছিলেন শেখ কামাল। বিশেষ করে ছাত্র রাজনীতির গুণগত মানের পরিবর্তনের চেষ্টা ছিল তাঁর।
শেখ কামালের কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের উপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ