বছরব্যাপী চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্ব নিস্তব্ধ। ফলে একদিকে যেমন কর্মহীন হচ্ছে প্রবাসী শ্রমিকরা। অন্যদিকে, অর্থনীতি সংকটে দিন পার করছেন অনেক প্রবাসী। যার ফলে দীর্ঘদিনের কর্মস্থল থেকে একেবারে দেশে চলে যাচ্ছে এমন প্রবাসীর সংখ্যাও কম নয়!
তাছাড়া দেশে করোনা সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক হোটেল কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়। তবে প্রবাসীদের দাবির মুখে এবার বিদেশ থেকে বাংলাদেশে যাওয়া প্রবাসীদের ১৪ দিন থেকে কমিয়ে ৩ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই করোনা ভ্যাকসিন দুই ডোজ নিতে হবে এবং করোনা নেগেটিভ সনদ থাকলে কেবল ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) শুক্রবার সন্ধ্যায় নতুন এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। যা আজ শনিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কাতার প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নাছের। তার প্রতিষ্ঠানের কিছু সংখ্যক কর্মী দেশের যাওয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিল কিন্তু হঠাৎ ১৪ দিনের হোটেলে কোয়ারেন্টিনের খবর শুনে কিছুটা হতাশ হলেও নতুন খবরে কিছুটা স্বস্তি তিনি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশিদের ধারা পরিচালিত ট্র্যাভেল এজেন্সি গুলোতে টিকেট ক্রয় করতে লক্ষ্য করা গেছে প্রবাসীদের। জিজিসি হলিডেস ট্র্যাভেল ব্যবসায়ী কাজী শামিম জানান, আসলেই পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে অনেক প্রবাসী দেশে যেতে ইচ্ছুক। বাংলাদেশে হোটেল কোয়ারেন্টিনের সময়সীমা কমানোর ফলে এখন অনেকেই আসছে টিকেট কিনতে আমরাও বেশ সাড়া পাচ্ছি।
তাছাড়া বেবিচক জানিয়েছে, বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসাদের মধ্যে যাদের করোনার একটি ডোজের টিকা নেওয়া আছে বা একটিও নেই এবং করোনার পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ আছে, তাদের তিন দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তিন দিন পর করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ এলে তারা বাড়িতে ফিরতে পারবেন। তবে বাড়িতে গিয়েও তাদের ১১ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। যাদের করোনার দুটি টিকা দেওয়া আছে এবং করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ সনদ থাকবে, তাদের কেবল ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন তাদের জন্য নয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন