বিশ্বের অন্যান দেশের মত জার্মানিতেও উদযাপিত হলো বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা। বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণের মত তিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা একই দিনে হওয়ায় দিনটি সারা বিশ্বের পবিত্র দিন হিসেবে বিবেচিত।
মৈত্রী, করুণা আর প্রজ্ঞায় অশান্ত জগৎকে শান্ত এবং সকল প্রকার দুঃখ থেকে মানবের মুক্তির পথপ্রদর্শক হিসেবে অহিংসা বাণী নিয়ে পরম করুণাময় তথাগত সম্যক সম্বুদ্ধ ২৫৬৫ বছর আগে এই দিনটিতেই নেপালের লুম্বিনী কাননে আবির্ভূত হোন। ২৯ বছর বয়সে গৃহত্যাগের পর দুঃখ থেকে মুক্তির পথ অন্বেষণে ৬ বছর কঠোর সাধনা শেষে ৩৫ বছর বয়সে গয়ার বোধিবৃক্ষ মূলে লাভ করেন। বিশেষ বোধিজ্ঞান বা বুদ্ধত্ব, তারপর থেকেই দীর্ঘ ৪৫ বছর ধর্ম প্রচার শেষে ৮০ বৎসর বয়সে ভারতের উত্তর প্রদেশের কুশিনারায় মহাপরিনির্বাণ প্রাপ্ত হন।
তিনটি বিশেষ ঘটনা একই দিনে হওয়ায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে এটি সবচেয়ে পবিত্র দিন। দিনটি উদযাপন উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকেই রাজধানী বার্লিনের অতি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারে ছিল বুদ্ধপূজা, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, শীলগ্রহণ, করোনাসহ নানা দুর্যোগ থেকে মুক্তির জন্য ভিক্ষুসংঘের সুত্তপাঠ, বিদর্শন ভাবনা অনুশীলন ও ধর্মদেশনা।
দেশটির বিভিন্ন বিহারে আসা প্রবাসী বাংলাদেশি বৌদ্ধ উপাসক উপাসিকাদের সাথে পূণ্যকর্মে ও সমবেত প্রার্থনায় যোগ দেন স্থানীয় জার্মানরাও। শুভেচ্ছা জানান পবিত্র দিনের।
তথাগত বুদ্ধের প্রচারিত ধর্ম ত্রিপিটক তিনভাগে বিভক্ত যথা বিনয়, সুত্ত ও অভিধম্ম। বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে মানব জীবন দুঃখময়। তাই চারি আর্য সত্য ও আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের মাধ্যমেই চরম লক্ষ্য নির্বাণের পথেই পুনর্জন্ম রোধ ও দুঃখ থেকে মুক্তি সম্ভব। তাই এ দিনটিতেও সবার কণ্ঠে ছিল, সব্বে সত্তা সুখীতা ভবন্তু, জগতের সকল প্রাণি সুখী হোক।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত