আসন্ন বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২১ উপলক্ষে, গত ১ জুন দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে এবং ইউএনডিপি সিউল পলিসি সেন্টার ও কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায়, কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট হলে বাংলাদেশের স্বনামধন্য পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত পরিচালিত ও প্রযোজিত ‘নোনা জলের কাব্য’ চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ইউএনডিপি সিউল পলিসি সেন্টারের পরিচালক ড. স্টিফেন ক্লিঞ্জেবিল এবং কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিভিশন অব ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস’র অধ্যাপক ড. সু-ইয়ং চুং বক্তব্য দেন। তারা ‘নোনা জলের কাব্য’ চলচ্চিত্রটির পটভূমি পর্যালোচনাসহ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যা আলোচনা করেন এবং জলবায়ু সম্পর্কিত জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে সদ্য-সমাপ্ত ‘২০২১ পি৪জি সিউল সামিট’-এ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রস্তাবিত সামগ্রিক সামাজিক পন্থা ও সামগ্রিক বিশ্ব মনোভাব বিষয়টির অবতারণা করেন এবং জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন। সেইসঙ্গে, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের চেয়ারম্যান হিসেবে এবং গ্লোবাল সেন্টার অন এডাপটেশনের দক্ষিণ এশীয় কার্যালয়ের স্বাগতিক দেশ হিসেবে তিনি বাংলাদেশের কার্যক্রমের প্রতিও আলোকপাত করেন।
প্রদর্শনীর পরে চলচ্চিত্রের পরিচালক ও প্রযোজক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত এবং সহ-প্রযোজক মি. ইলান গিরার্ড ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সংযুক্ত হন এবং অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রটি দর্শকদের নিকট অত্যন্ত সমাদৃত হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ