২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৩:১৬

কানাডায় জাতীয় পতাকা উড়িয়ে তিন বাংলাদেশির ম্যারাথন দৌড়

কানাডা প্রতিনিধি

কানাডায় জাতীয় পতাকা উড়িয়ে তিন বাংলাদেশির ম্যারাথন দৌড়

কানাডায় জাতীয় পতাকা উড়িয়ে তিন বাংলাদেশির ম্যারাথন দৌড় সম্পন্ন

কানাডায় ১৯৬৩ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে ক্যল্গেরি ম্যারাথন দৌড়, যা বর্তমানে কানাডার দীর্ঘতম এবং অন্যতম জনপ্রিয় ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতা সর্বশেষ ২০১৯ পর্যন্ত মোট আটবার আলবার্টা প্রদেশের 'শ্রেষ্ঠ রোড রেস' হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।

এই প্রতিযোগিতায় দুই বছরের শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ সবার বিভিন্ন দূরত্বের দৌড় কিংবা হাঁটায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে পুরো ক্যল্গেরি নগরী উৎসব মুখর হয়ে উঠে। এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন দূরত্বের মধ্যে আলট্রা (৫০ কিমি), ফুল ( ৪২.২ কিমি) আর হাফ (২১.১) ম্যারাথন দৌড় সর্বাধিক জনপ্রিয়।

সদ্য সমাপ্ত ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা ক্যল্গেরিতে বসবাসরত প্রবাসীদের জন্য একটু ভিন্ন অভিজ্ঞতা ছিল। এবারের ১৯ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় প্রায় ৭,৫০০ জন প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করেন। এবছরও ক্যল্গেরি ম্যারাথন দৌড় দু'টি পদ্ধতিতে হয়েছে ভার্চুয়ালি ও সরাসরি।

ফুল ম্যারাথন ক্যাটাগড়িতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি তিনজন অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ক্যল্গেরিতে বসবাসরত প্রবাসী প্রবাসী ড. খোকন সিকদার ও নবাংশু শেখর দাস এবং বাংলাদেশ থেকে আগত প্রশান্ত রায়। 

প্রভিন্সিয়াল গভমেন্টে এ কর্মরত স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী ড. খোকন চন্দ্র সিকদার বলেন, কানাডার মাটিতে আমরা তিন বন্ধু বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বিশ্বখ্যাত আন্তর্জাতিক ম্যারাথনে অংশ নিয়ে একদিকে যেমন প্রিয় মাতৃভূমির প্রতি সম্মান জানাচ্ছি, অপরদিকে দেশের মানুষদের একটিভ লিভিং এ অভ্যস্ত হতে প্রেরণা জাগাতে চাচ্ছি। বাংলাদেশের জেলায় জেলায় এমনকি উপজেলাশহরগুলোতে দৌড়, সাইক্লিংসহ বিভিন্ন একটিভ জীবনযাপনের ট্রেনিং ইন্সিটিউট এবং এর প্রতিযোগিতা হওয়া উচিত। 

৪২.২ কিলোমিটার শেষে ফিনিশ লাইনে এসে প্রশান্ত রায়ের অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি শুধু একটি কথাই বললেন, স্বপ্ন পূরণ এবং তা সম্ভব হয়েছে। মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার অন্যতম উপায় হাঁটা অথবা দৌড়। এর কোন বিকল্প নেই। এটা শুরু করলে যে ফিজিক্যাল ও মানসিক প্রশান্তি আসে, তা উপলব্ধি করার পর কেউ আর ছাড়তে পারবে না। 
 
উল্লেখ্য বিশ্বব্যপী ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা ক্রমেই জনপ্রিয় উঠছে। স্থিতি সরাসরি মৃত্যু না ঘটালেও যন্ত্র নির্ভর আমাদের দৈনন্দিন স্থবির জীবন চর্চা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রধান হুমকি। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে একটিভ লিভিং বা সচল জীবন যাত্রার বিকল্প নাই। আর তাই তো প্রবাদে আছে 'গতিই জীবন, স্থিতিই মরণ।'


বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর