২০ অক্টোবর, ২০২১ ০১:০০

ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ রাসেল দিবস পালন

অনলাইন ডেস্ক

ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ রাসেল দিবস পালন

ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২১’ পালন করা হয়েছে। 

এ উপলক্ষ্যে দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে শিশু-কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। 

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। প্রথমেই দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। আলোচনাপর্বে বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহিদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। 

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং বলেন, শিশু বয়সেই শেখ রাসেলের অসাধারণ মানবিক ও নেতৃত্বের গুণাবলী ফুটে উঠেছিল। তিনি বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজকে আমরা বঙ্গবন্ধুর আরও একজন যোগ্য উত্তরসূরী পেতাম। 

রাষ্ট্রদূত বলেন, ঘাতকরা শহিদ শেখ রাসেলকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা সফল হয় নি। শেখ রাসেল মানবিক ও আদর্শিক সত্ত্বা হিসেবে বেঁচে আছেন সবার মাঝে। আজ সবার কাছে শহিদ শেখ রাসেল একটি ভালোবাসার নাম। 

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং উৎফুল্ল শিশু-কিশোরদের নিয়ে কেক কেটে শহিদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপন করেন। অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহিদ, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর