স্পেনের মাদ্রিদে বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযােদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী যথাযােগ্য মর্যাদায় উদযাপন করেছে।
জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রধান কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম ছিল পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ আলােচনা সভা ও মােনাজাত।
শুক্রবার বেলা ১১টায় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে জন্মদিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। আলােচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর আলােচনা করেন রাষ্ট্রদূত মােহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ। শেখ কামালের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তার সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন তারুণ্যের প্রতীক। তিনি স্বাধীনতাত্তাের বাংলাদেশের যুব সমাজকে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধকরণে দুরদর্শী অবদান রেখে গেছেন। তিনি ছিলেন অন্যতম ক্রীড়া সংগঠক। প্রথমে তিনি আবাহনী সমাজকল্যাণ সংস্থা গড়ে তােলেন, পরে মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ১৯৭২ সালে ‘আবাহনী ক্রীড়াচক্র’ প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতাত্তাের পরিস্থিতিতে তরুণ সমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরিয়ে আনতেই তিনি এই মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেন।’
তিনি বলেন, ‘শেখ কামাল ছিলেন সংস্কৃতি জগতে এক উজ্বল নক্ষত্র। এ ক্ষেত্রে তার ছিল ত্রিমুখী প্রতিভা। তিনি একাধারে অভিনয় করতেন, গান গাইতেন এবং সেতার বাজাতেন। আন্তঃকলেজ সেতার প্রতিযােগিতায় পুরাে পাকিস্তানে তিনি রানার্স-আপ এবং আন্তঃকলেজ সংগীত প্রতিযােগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ কামাল ছায়ানট এর সদস্য ছিলেন এবং ঢাকা থিয়েটার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার আরেকটি অবদান-স্পন্দন শিল্পগােষ্ঠী প্রতিষ্ঠা।’
আলােচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে শাহাদাৎ বরণকারী ব্যক্তিবর্গ, জাতীয় চার নেতা, শেখ কামালের রুহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উন্নতি- সমৃদ্ধি কামনায় মােনাজাত করা হয়। সভা শেষে শেখ কামালের জন্মদিনের কেক কাটা হয় এবং উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে আপ্যায়ন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
