১৫ আগস্ট, ২০২২ ১৪:১১

জাপানে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন

অনলাইন ডেস্ক

জাপানে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন

জাপানে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন

জাপানের টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

সোমবার সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।

এসময় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। 

দোয়ায় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। পরে আগত অতিথি, জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি এবং জাপান আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। 

এছাড়া অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।

রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তার বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে বলেন, তিনি ছিলেন বাঙালী জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্বাধীনতার রুপকার। এ অবিসংবাদিত মহাপুরুষের দূরদর্শী, অকুতোভয় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সমগ্র বাঙ্গালী জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ও মুক্তিযুদ্ধে। তার নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ এবং স্বাধীন জাতির মর্যাদা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশি হিসেবে আমাদের গর্বিত অস্তিত্ব ও বিশ্ব পরিমন্ডলে আমাদের গৌরবজনক পরিচিতি- এ মহান নেতার অবদান।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দূরদর্শী পররাষ্ট্র নীতির মাধ্যমে জাপানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। 

এছাড়া তিনি টোকিও দূতাবাস প্রতিষ্ঠা এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাপান সফর সম্পন্ন করেছিলেন ১৯৭৩ সালে, যার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের সূচনা হয়েছিলো।

তিনি বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার স্বপ্ন, আদর্শ ও নির্দেশনা আজও  আমাদের সঠিক পথ দেখায়। আর তার দেখানো পথ ধরেই তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ‘‘রুপকল্প-২০৪১” বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি দারিদ্র- ক্ষুধামুক্ত, আধুনিক ও উন্নত দেশ তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

আলোচনা পর্বে প্রবাসী নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন পেশাজীবীরা জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন এবং এই শোককে শক্তিতে রুপান্তর করে আরও উদ্যম ও দেশপ্রেম নিয়ে দেশের উন্নয়নে অধিকতর অবদান রাখার অঙ্গীকার করেন।

এছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির পিতার সংগ্রাম আর জীবন-কর্ম নিয়ে ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর