বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ মে নিউইয়র্কসহ আমেরিকার বিভিন্ন শহরে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
নিউইয়র্কের ডাইভার্সিটি প্লাজায় নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় সবচেয়ে বড় সমাবেশ, যেখানে হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি অংশ নেন। সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ বলেন, “জিয়াউর রহমান কেবল স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, তিনি যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন এবং বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আজ তার আদর্শই আমাদের পথের দিশারি।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লন্ডন থেকে টেলিফোনে যুক্ত হন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন। তিনি বলেন, “তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচির মধ্যেই রয়েছে আগামীর বাংলাদেশ গঠনের দিকনির্দেশনা। তরুণদের উচিত তা ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া।”
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান ৩০ মে-কে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবি জানান। দোয়া মাহফিল ও সভায় সভাপতিত্ব করেন মো. অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, কোষাধ্যক্ষ জসীম ভূঁইয়া, মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান, যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাঈদ আহমেদ, এম.এ. বাতিন, জাকির এইচ চৌধুরীসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এদিকে, ‘জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী’র উদ্যোগেও পৃথকভাবে দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ করা হয়। এতে অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জিল্লুর রহমান, ডেমোক্রেটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার এটর্নী মঈন চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
আয়োজক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে শহীদ জিয়ার আত্মার মাগফিরাত ও খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করা হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শহীদ জিয়ার আদর্শই হবে আগামী দিনের আন্দোলনের প্রেরণা, পথ-পরিক্রমার দিশারি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল