১ নভেম্বর, ২০১৯ ১৭:২২

আলোর দেশে ভূত উৎসব হ্যালুইন!

রীতা রায় মিঠু

আলোর দেশে ভূত উৎসব হ্যালুইন!

যুক্তরাষ্ট্রে হ্যালুইন উৎসবের একটি দৃশ্য (সংগৃহীত ছবি)

ছোটবেলায় আমেরিকাকে স্বপ্নের দেশ মনে হতো। আমেরিকা মানেই আলো ঝলমলে দেশ, দিবা-রাত্রি চারদিকে শুধুই আলোর ছড়াছড়ি, কোথাও এতটুকু অন্ধকার নেই। আমার ছিল ভূতের ভয়, ছোটবেলায় যখন তখন কারেন্ট চলে যেতো, অন্ধকার হলেই ভূতেরা আসতো। ভাবতাম আমেরিকায় অন্ধকার নেই, ভূতও নেই। 

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই কম-বেশী ভূতে বিশ্বাস করে। ভূত-প্রেত, জ্বীন-পরী নিয়েই আমাদের বসবাস। তবে ছোটবেলায় আমেরিকায় ভূত-টুত নেই বলে যেমন ভাবতাম, বড়বেলায়  আমেরিকা এসে জেনেছি,  সেটা ছিল ভুল ভাবনা। আমেরিকাতে ভূত-প্রেত দেও-দানোব সবই আছে। এবং ভূত শুধু অন্ধকারেই থাকে না, আমেরিকানদের অনেকের বাড়িতেই ভূত থাকে।

হ্যাঁ, ওরা ওরকমই বলে। আমেরিকার প্রত্যেক স্টেটে কম করে হলেও ছয়-সাতখানা ‘ভূতের বাড়ি’ আছে যা দর্শনার্থীদের জন্য বছরের বারো মাস খোলা থাকে। মানুষজন খুব উৎসাহ নিয়ে সেইসব বাড়িতে ভূত দেখতে যায় এবং ভূতের দেখা পায়। অনেকেই বলে, তাদের বাড়িতেই  ভূত বা অন্য কোন অশরীরি আত্মার উপস্থিতি আছে। তারা নাকি সেটা টের পায় প্রতি মুহূর্তে। 

আমেরিকার অধিকাংশ বাড়িতেই বেসমেন্ট থাকে। বেসমেন্ট হচ্ছে মাটির নীচে ঘর। ঘরের ভেতরে থেকে বুঝার উপায় নেই মাটির নীচে আছি নাকি মাটির উপরে আছি। কারণ সব রুমগুলোই একইভাবে সাজানো থাকে। 

ভূতেরা মনে হয় বুঝতে পারে মাটির নীচের ঘর আর মাটির উপরের ঘরের পার্থক্য। তাই বেশীর ভাগ সময় বেসমেন্টেই ভূতদেরকে পাওয়া যায়। মাটির নীচে নিরালায় নিভৃতে থাকতেই তাদের ভালো লাগে।

সিবিএস নিউজ থেকে কয়েক বছর আগে একটি জরিপ চালানো হয়েছিল, জরিপে ৮০৮ জন প্রাপ্ত বয়স্ককে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তাদের ভূতে’ বিশ্বাস আছে কিনা।

শতকরা ৪৮% আমেরিকান ‘ভূতে’ বিশ্বাস করে এবং ৪৫% মনে করে ভূত বলে কিছু নেই। ভূত বিশ্বাসীদের মধ্যে মহিলা সদস্যই বেশী। প্রতি পাঁচ জনে একজন জীবনে অনেকবার ভূত দেখেছে বলে দাবি করে।

আমেরিকায় বছরে একবার ভূতের উৎসবও পালিত হয়, যা ‘হ্যালুইন’ নামে পরিচিত। খুবই জনপ্রিয় উৎসব হ্যালুইন। হ্যালুইন উৎসবটা যদিও শিশুদের কাছেই বেশি আনন্দের, বড়রাও এই উৎসবে কম আনন্দ করে না! হ্যালুইন উৎসবে বাচ্চারা বিভিন্ন ধরণের কস্ট্যুম পড়ে ভূত-পেত্নী সেজে বাড়ি বাড়ি ঘুরে, সকলকে ভয় দেখায়, উপহার হিসেবে প্রতি বাড়ি থেকে চকোলেট পায়।

মজার ব্যাপার হলো, বড়দের অনেকেই বিশ্বাস করে, ভূতের কস্ট্যুম পরিহিতদের মধ্যেই সত্যিকারের ভূতও থাকে। 

আমেরিকানরা ভূতের অস্তিত্বে এতটাই বিশ্বাস করে যে, একটি টিভি চ্যানেলও আছে যেখানে শুধুই ভূত সম্পর্কিত অনুষ্ঠান দেখানো হয়। তবে ভূত যেমন আছে তেমনি ‘ভূত শিকারীও’ আছে। তাদেরকে ‘ঘোস্ট হান্টার’ বলা হয়। ঘোস্ট হান্টারদের ঘোস্ট হান্টিং এর সমস্ত অভিযান ভিডিও করে দেখানো হয় ঐ চ্যানেলটিতে। 

যারা দেখে, তাদের পক্ষে ভূতে বিশ্বাস না করে উপায়ও নেই। মাঝে মাঝে ঘোস্ট হান্টাররা নিজেরাই অনেক সময় বিভ্রান্ত হয়, তারাও বলতে বাধ্য হয়, ভূতই হোক বা অন্য কিছুই হোক, জীবনের বাইরেও অন্য কিছু একটা রহস্য থেকেই যায়। 

জরিপ চালিয়ে আরও জানা গেছে, ব্যক্তিগতভাবে ভূত দেখেছে এমন লোকের সংখ্যা ২২%। তবে ভূত দেখেনি কিন্তু মৃত্যুর পরেও অন্য ভুবন আছে, যেখানে মৃত আত্মারা ঘুরে বেড়ায়, এমনটা বিশ্বাস করে ৭৮% আমেরিকান। 

অনেকেই বিশ্বাস করে, তাদের পূর্ব পুরুষের মৃত আত্মারা প্রিয়জনকে ছেড়ে ওখানে থাকতে পারে না বলেই অন্যভাবে, অন্যরূপে পৃথিবীতে ঘুরে ঘুরে আসে। মৃত আত্মাদের চলার গতি আলোর গতির কাছাকাছি বলেই তারা যখন যেখানে খুশী চলে যেতে পারে। 

আমেরিকানদের মধ্যে অনেকের ধারণা, বেশীর ভাগ ভূতই নাকি ভালো। বেশীর ভাগ সময় তারা মানুষকে সাহায্য করতেই চায়। যারা ভূত ভয় পায়, ভূত তাদেরকে আরো বেশী করে ভয় দেখিয়ে মজা পায়।

আমেরিকাতে বেশীর ভাগ মানুষই ধর্মীয় বিশ্বাস থেকেই ভূতের অস্তিত্ব বিশ্বাস করে। তারা ভূতকে জীবনের একটি অংশ হিসেবেই দেখে থাকে। কারণ তাদের বিশ্বাস, মৃত্যুর পরে যে জগত আছে, সেই জগতের বাসিন্দাদেরকেই পৃথিবীর মানুষ ‘ভূত’ নামে অভিহিত করে থাকে।

সবই মানুষের আজন্ম সংস্কার, আজন্ম বিশ্বাস। বিশ্বাসকে বিশ্বাস দিয়েই মানতে হয়। বিজ্ঞানের ক্ষমতা নেই এই বিশ্বাসকে পুরোপুরি ভেঙ্গে দেয়া। বিজ্ঞান এখনও গবেষণা চালিয়েই যাচ্ছে ‘ভূত আছে কি নেই’ এর উপর। মানুষের কঠিন বিশ্বাসের কাছে বিজ্ঞানও মাঝে মাঝে নাস্তানাবুদ হয়।

এ বছর ৩১শে অক্টোবর খুব উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে পালিত হচ্ছে ‘ভূত উৎসব’ হ্যালুইন। 

হ্যালুইন উৎসবকে ‘কুমড়ো ভূত’এর উৎসব বললেও মন্দ হয় না। কারণ হ্যালুইন উপলক্ষে প্রায় প্রত্যেক বাড়ির আঙিনা হাসিমুখের কুমড়ো ভূত দিয়ে সাজানো থাকে। এই সীজনে আমেরিকায় বিশাল বড় বড় প্রচুর কুমড়ো পাওয়া যায় এবং ‘হ্যালুইন’ উৎসবে ভূত বানানোর কাজে এই কুমড়ো ব্যবহৃত হয়। মিষ্টি কুমড়োর সাইজ হয় আমাদের দেশে চাল রাখার মাটির জালার মত। 

এই মিষ্টি কুমড়োগুলোর ভেতর থেকে প্রথমে সমস্ত মাংস, বীচি বের করে ফেলা হয়, এরপর ছুরী দিয়ে কেটে কেটে বড় বড় গোল গোল ভূতুরে চোখ, নাক এবং আকর্ন বিস্তৃত হাসির অবয়ব দেয়া হয়, যা দেখে সত্যি সত্যি হাস্যময় অশরীরি মনে হয়।

হ্যালুইন সন্ধ্যায় সকলের বাড়ির মূল দরজার সামনে এই ‘ভুতুরে কুমড়োর’ ভেতরে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়। দূর থেকে দেখেই বোঝা যায়, ঐ বাড়ির আঙিণায় সুখী ভূত বসে আছে। ভালো করে সন্ধ্যা নেমে আসার আগেই ‘ভূতরূপী’ মানুষেরা যার যার ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। 

তাদের হাতে থাকে ঝোলা, পরনে থাকে সাদা অথবা কালো আলখাল্লা জাতীয় পোষাক, মুখ ঢাকা থাকে ‘ভৌতিক মুখোশ’ দিয়ে। এই উৎসবে নিয়ম হলো, ভূতরূপী মানুষগুলো দল বেঁধে সকলের বাড়ীর দরজায় গিয়ে হাজির হয়ে নাঁকি সুরে বলবে ‘ ট্রিঁক অঁর ট্রিঁট’!! গৃহস্বামী ঘরের দরজা খুলে বের হয়ে আগত অতিথিদের দেখে ভয় পেয়ে যাবে, অতিথিকে খুশী করার জন্য মুঠো মুঠো চকোলেট, নানা বর্ণের ক্যান্ডি দিয়ে ওদের ঝোলা ভর্তি করে দিবে। 

গৃহকর্তার উপর সন্তুষ্ট হয়ে ‘ভূত বাবাজীরা’ অত্যন্ত খুশী মনে ঐ বাড়ির সীমানা ত্যাগ করে বাইরে চলে আসেন।

হ্যালুইন উৎসব শুরু হয়েছিল আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ডে। আইরিশ ও স্কটিশ লোকসাহিত্যে হ্যালুইনকে বলা হয়েছে সুপারন্যাচারাল এনকাউন্টারস হিসেবে। ঐ সময়ের মানুষের বিশ্বাস ছিল যে সামারের শেষ, শীতের শুরুতে হ্যালুইন সন্ধ্যায় সমস্ত মৃত আত্মীয়-স্বজনের আত্মারা নেমে আসে এই পৃথিবীর বুকে। 

অষ্টম শতাব্দীতে পোপ গ্রেগরী ১লা নভেম্বারকে ‘অল সেইনটস ডে’ ঘোষণা করেন এবং আগের সন্ধ্যা মানে ৩১শে অক্টোবারকে ‘অল- হ্যালোস-ইভ’ বা হ্যালুইন নামে অভিহিত করেন। মানুষের অন্ধ বিশ্বাস ছিল অল-হ্যালোস-ইভ-এ প্রেতাত্মারা নেমে আসে, তারা মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে আসে,  আর তাই এই প্রেতাত্মাদেরকে প্রতিহত করার জন্য জীবিত স্বজনদের  সকলে একসাথে জড়ো হয়ে আগুন জ্বালিয়ে নানা ভঙ্গিতে নৃত্য করতো এবং মৃত স্বজনের রূপ ধরে আসা ভুতকে পালটা ভয় দেখাত।

 সেই বনফায়ার থেকেই ‘জ্যাক-ও-লণ্ঠন’ এর উৎপত্তি। আইরিশ ও স্কটিশরা  টারনিপ (শালগম) কে সুন্দর করে কেটে কেটে ভূতের মুখের অবয়ব (হাসি মুখ) দিয়ে লণ্ঠন বানিয়ে সকলের বাড়ীর সীমানাতে জ্বালিয়ে রাখত যাতে করে প্রেতাত্মারা আলো দেখেই ভয়ে পালিয়ে যায়। অনেকে খড়-বিচালী দিয়ে ‘কাক-তাড়ুয়া’ বানিয়ে সাজিয়ে রাখত একই ঊদ্দেশ্যে।

আইরিশ ইমিগ্র্যান্টরাই হ্যালুইনের প্রচলন করে উত্তর আমেরিকাতে। সময়ের স্রোতে হ্যালুইনের সূচনালগ্নের কুসংস্কার ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়ে পেয়েছে স্যেকুলার, শিশোতোষ আনন্দের নির্মল চেহারা। হ্যালুইনকে এখন শুধুই বাচ্চাদের আনন্দ উৎসব বলা হয়। সাথে যোগ হয়েছে আমেরিকান ব্যবসায়িক বুদ্ধি ও সাফল্য। 

যেহেতু ভূত উৎসব তাই বাচ্চারা ঐদিন যে কোন রকম অশরীরীর গেট-আপ নিয়ে সবাইকে ভয় দেখিয়ে আনন্দ পায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমেরিকাতে সারা বছরে বিক্রীত ক্যান্ডির এক চতুর্থাংশ বিক্রী হয় হ্যালুইনের সময়।

আমি হ্যালুইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা জানার জন্য অনেকের সাথে কথা বলেছি। তাদের প্রায় সকলেই বলেছে তারা এর পেছনের ইতিহাস জানেনা, শুধু জানে যে বাচ্চারা ঐদিন একটু মজা করে। 

ছেলেবেলাতে তারাও মজা করতো। আমার এক সহকর্মী বলেছে , একসময় যারা ধর্মে বিশ্বাস করতো না, তারা ঈশ্বরের উপাসনাকে চ্যালেঞ্জ করে ভূত প্রেত উপাসনার করবে বলেই হ্যালুইন উদযাপন করা শুরু করে। তারা বলতো, ঈশ্বর বলে কিছু নেই, মৃত্যুর পরে সবাই ভুত হয়ে যায়। হ্যালুইনের রাতে সকল ভূত-প্রেত পৃথিবীতে নেমে আসে তাদের প্রিয়জনদের দেখতে। 

এই ধরনের প্রচারণাতে সমাজের অনেকের বিশ্বাসে আঘাত লাগতে পারে, কিনতু যেহেতু আমেরিকায় কারো স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যায়না, তাই সমাজে কোন রকম অসন্তোষ সৃষ্টির আগেই বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এই ভূত ভাবনাকে বাণিজ্যিক ভাবনায় প্রতিষ্ঠিত করার অভিনব কায়দা বের করেন। তারাই ভূত প্রেতের বিভিন্ন কস্ট্যুম, লোভনীয় চকোলেট ক্যান্ডি, কুমড়ো ভূত, আলোর লন্ঠনসহ বিভিন্ন মনোগ্রাহী উপাদানের পসরা বাজারে ছেড়ে দেয়।

আরেকজনের মতে, এই সময়টা হচ্ছে ফসল কাটার মৌসুম, এর পরেই শীত চলে আসবে। শীতে সকলে ঘরে ঢুকে যাওয়ার আগে আরেকবার ফূর্তি করার উপলক্ষ হিসেবে হ্যালুইন উৎসব করে। এই উৎসবের পেছনেও একটা গল্প প্রচলিত আছে। 

গল্পটা এরকম, এক সৈনিককে যুদ্ধের মাঠে তার শত্রু তরবারীর আঘাতে ধড় থেকে মাথা কেটে ফেলে দেয়। এরপর থেকে ঐ মুন্ডুহীন সৈনিক ভূত হয়ে রাতের বেলা ঐ পথ দিয়ে কাউকে যেতে দেখলেই তাকে মেরে ফেলতো। ফলে এই মুন্ডুহীন ভূতের ভয়ে লোকজন ঘুরপথে যাতায়াত শুরু করে। 

তখন মুন্ডুহীন সৈনিক ভূত বুদ্ধি করে ফসলের মাঠ থেকে এই সময়ের ফসল ‘মিষ্টি কুমড়া দিয়ে মাথা বানিয়ে তার ঘাড়ে বসিয়ে দেয়। সকলে ভাবে, মুন্ডুহীন ভূত আর নেই। তারা আবার সোজা পথে যাতায়াত করে এবং সৈনিকটি এবার কুমড়ো ভূত হয়ে আবার হত্যাযজ্ঞ শুরু করে।
তখন গ্রামবাসী ঠিক করে ‘কুমড়োমাথা ভুতকে খুশী করার জন্য তার প্রিয় মিষ্টি খেতে দিলেই সে এই অত্যাচার বন্ধ করবে। 

আর সেই থেকেই তাকে মিষ্টি খেতে দেয়া হয় এবং সে খুব খুশী হয়ে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করে দেয়’। আর এভাবেই হ্যালুইনে কুমড়ো ভূত, মিষ্টি, চকোলেট, পামপকিন কেক, পামপকিন পাই এর বিজনেস রমরমা হয়ে উঠে। 

হ্যালুইনের সাথে আমাদের দেশের কিছু পর্বের মিল আছে। হেমন্তের শেষ ও শীতের শুরুতে ফসল কাটার উৎসব, গ্রামদেশে খড় দিয়ে তৈরী শীতের বুড়ো পোড়ানো উৎসবের সাথে। আমরা চকোলেট ক্যান্ডি দেইনা, ঘরে ঘরে পিঠা-পায়েস বানানো হয়, এভাবেই শীতকে বরণ করা হয় অথবা শীতের শুরুতে ঘরে ঢুকে যাওয়ার আগে একটু আনন্দ ফূর্তি করা্র উপলক্ষ তৈরী করা হয়। 

ভালো লাগে ভেবে যে পৃথিবীর দুই প্রান্তে থেকেও সংস্কৃতির কিছু কিছু জায়গাতে এখনও কত মিল যা মনে করিয়ে দেয়, মানব সভ্যতা বিকাশের ক্ষেত্রে মানুষের ভাবনাগুলো স্থান-কাল নির্বিশেষে একভাবে কাজ করেছে। 

আজ হ্যালুইন, ভূত উৎসব! আমাদের মিথীলা যখন ছোট ছিল, বিভিন্ন কস্ট্যুম পরে সেও বেরোতো ট্রিক অর ট্রিক করতে। ফিরে আসতো রাশি রাশি চকোলেট ক্যান্ডি নিয়ে। এখন মিথীলা বড় হয়ে গেছে, ইউনিভারসিটিতে পড়ে। আমাদের বাড়ি থেকে কেউ ট্রিক অর ট্রিট করতে বের হয় না ঠিকই, অন্য ভূতেরা আজও এসে আমাদের বাড়ির দরজায় টোকা দেয়, আমি এমনিতেই ভূত ভয় পাই। হ্যালুইন ভূতদের অখুশী করতে চাই না তাই ওদের হাত ভরে চকোলেট দেই, ভূতেরা খুশি হয়ে চলে যায়। 

 আলো ঝলমল আমেরিকায় হ্যাপী ভূত উৎসব হ্যালুইন!

লেখক: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

সর্বশেষ খবর