ময়মনসিংহের কবিতার নিকট ও দূর এক অতীত রয়েছে। সাহিত্যের প্রাচীন এ মাধ্যম কবিতার ইতিহাস জানিয়ে যায়, মধ্য ও আধুনিক যুগের সাহিত্য এবং লোকসাহিত্যের উর্বর পীঠস্থান ময়মনসিংহ। থানা থেকে মহকুমা, মহকুমা থেকে জেলা, সবশেষে অধুনা ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলা। এর বুক চিরে প্রবাহিত ছিল ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ধলেশ্বরী, মগড়া, কংস, সোমেশ্বরী, নরসুন্দা। এখন আছে শুধু ব্রহ্মপুত্র নদ।
মৈমনসিংহ-গীতিকা, আউল-বাউল, আধুনিক কবিতা, ঘাটুগান, হাওর-জঙ্গল-মোষের শিং আর শাল-গজারির মধুপুর বন, চমচম, টাঙ্গাইলের ধন তাঁত আর মুক্তাগাছা, ধনবাড়ি, আটিয়া নবাব-জমিদারদের উদার পৃষ্ঠপোষকতায় লঘু-উচ্চাঙ্গ সংগীতের বোল ও বিস্তারে একসময়ের ময়মনসিংহ তার সমৃদ্ধ প্রকৃতি, পণ্য ও সংস্কৃতির পরিচয় উপস্থাপন করেছিল বিশ্ব দরবারে।
সেতার, বীণাতানের সরোদ-সকাল খুলেছিল সমৃদ্ধ সংস্কৃতির হাজার দুয়ার।
অখণ্ড বাংলার সমৃদ্ধ জেলাগুলো অন্যতম ময়মনসিংহ।
সময়ের দাবিতে ময়মনসিংহ হারিয়েছে তার গর্বের টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা।
কাব্যঘোরের তারুণ্য একসময় তার আয়তনে পেয়েছিল আশরাফ সিদ্দিকী, রফিক আজাদ, সাইয়িদ আতীকুল্লাহ, আবু কায়সার, অরুণাভ সরকার, হেলাল হাফিজ, আশুতোষ পাল, আবিদ আজাদের সকাল-দুপুররাত-মধ্যরাত, প্রভাত বেলার অমর-অজর পদাবলি। কবি ছিলেন : রওশন ইজদানী, আব্দুল হাই মাশরেকী, বশির উদ্দীন, তাহেরুদ্দীন মল্লিক, আশুতোষ ভৌমিক, মীর মো. রেজাউল করিম।
মহাপ্রস্থানে তাঁরা নতুন নতুন কবিতার রৌদ্র-ছায়ায় আর বাঁশি বাজাবেন না। হায়, সময় এবং নিয়তি কী নিষ্ঠুর!
ময়মনসিংহের কবিতা, বর্তমান ময়মনসিংহের কবিতা- আলাদা করে কতটুকু পাবে, অর্জন কতটুকু সে হিসাবে যাচ্ছি না। কাদের ঘোরলাগা, চন্দ্রপাওয়া কবিতা, কবিতা আবৃত্তি ও চিৎকারে ব্রহ্মপুত্রের জল গড়াতো বর্ণিত অপরাপর নদনদীর তরঙ্গে। তার দ্রুতলেখ সালতামামি লিপিকরণ হতে পারে এ লেখাটির অবতারণা। বর্তমান ময়মনসিংহের কবি ও কবিতা লেখাটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
স্বাধীনতা-উত্তর স্পর্ধিত তারুণ্য নিয়ে কবিতার জ্বর ও উত্তাপ গায়ে মেখে বেশ কাঁপিয়েছিল আবহমান সংস্কৃতির সদর ও অন্দর।
মুক্তিযুদ্ধ এবং তৎপরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতায় জন্ম নিয়েছিল কবিতার ঘরগেরস্থালি অথবা বাউন্ডুলেপনা।
‘অমৃত পলির নোনা স্বাদ’ নামে এক ক্ষীণকলেবর কাব্যপুস্তিকা নিয়ে রাজনীতি কাঁপানো মোশাররফ হোসেন মঞ্জু কবিতার তাঁবু খাটান এবং শক্ত-পোক্ত করেন কাব্য বন্ধন। তাঁর নেতৃত্বে স্বসম্পাদিত কবিতার ছোটকাগজ ‘তিলোত্তমা’কেন্দ্রিক সাহিত্য আন্দোলনে জড়ো হতে থাকেন, এমন কজনের অন্যতম আতা সরকার, শামসুল ফয়েজ, নুরুল ইসলাম মানিক, মাহবুবুল ইসলাম বাদল, আমিনুল হাসান, নাজমুল করিম সিদ্দিকী, সমীর বিশ্বাস প্রমুখ কবি। এর পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে শফিকুল ইসলাম সেলিম ‘কবিতা ফুলের বাগান থেকে যুদ্ধ ক্ষেত্রের সৈনিক হতে পারে’ সেøাগান নিয়ে ‘ত্রৈমাসিক কবিতা’ প্রকাশ করেন। ‘কবিতা’ থেকে কবি হন তসলিমা নাসরিন, সিরিয়া বেগম মনি, শাহজাদী আঞ্জুমান আরা মুক্তি, মোসলেহ উদ্দিন হেলিম, শাহিদা সুলতানা বুলু এবং আরও অনেকে।
লক্ষণীয়, তখন কোনো সাহিত্য সংগঠন এমন গড়ে ওঠেনি, যাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে কবিতা শিকড় গজাবে।
এভাবে ব্যক্তিউদ্যোগে ছোট বড় কবিতা এবং সাহিত্যকাগজ প্রকাশিত হতে থাকে। স্মরণ করা যায়, তসলিমা নাসরিন সম্পাদিত ‘সেঁজুতি’, আজহারুল ইসলাম হিরু সম্পাদিত ‘কালানল’, মোয়াজ্জেম হোসেন আজাদ সম্পাদিত ‘শুভ্রশিখা’, রণেন সরকার ও নজরুল হায়াত সম্পাদিত ‘উত্তরীয়’, সালিম হাসান সম্পাদিত ‘সম্মোহনী’ এবং জেলার সবচেয়ে দীর্ঘজীবী সাহিত্যপত্র ‘দ্বিতীয় চিন্তা’। যার সম্পাদক ছিলেন ইফফাত আরা। ‘শ্যামলী’ নামক মহিলাদের একটি ম্যাগাজিন বেশ কবছর প্রকাশিত হয়। তোড়া আপা এর সম্পাদক। ‘শ্যামলী’তে পুরুষরাও গল্প-কবিতা-ফিচার লিখতেন। অন্যদিকে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের অর্থে ‘সৌরভ’ মাসিক হিসেবে নিয়মিত প্রকাশিত হতো। সৌরভ সম্পাদক ছিলেন শাকির উদ্দিন আহমদ এবং নির্বাহী সম্পাদক কবি মুশাররাফ করিম। ‘সৌরভ’ এবং ‘দ্বিতীয় চিন্তা’ কেন্দ্র করে একটি লেখক গোষ্ঠীর আত্মপ্রকাশ ঘটে। বিশেষ করে ‘দ্বিতীয় চিন্তা’ থেকে নারী লেখক গড়ে ওঠে। এদের অন্যতম গল্পকার শাহীদা হোসেন রীনা, কবি রীনা পণ্ডিত, পূরবী সম্মানিত, তন্দ্রা মজুমদার, ফাতেমা নার্গিস বীনা, রাজিয়া সুলতানা, কবি রোকসানা বিলকিস, গল্পকার মার্জিয়া সুলতানা নীলিমা।
‘দ্বিতীয় চিন্তা’ সাহিত্যপত্রে বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক অধ্যাপক যতীন সরকার ‘মনোময় ময়মনসিংহ’ শিরোনামে একটি সুখপাঠ্য, শেকড়সন্ধানী ধারাবাহিক লিখে অসংখ্য পাঠকের পাঠ তৃষ্ণা মেটাতেন।
সাহিত্য সংগঠন সেভাবে কবিতার উৎকর্ষ সাধন এবং পালা বদলে ভূমিকা রাখেনি। যা লিটল ম্যাগাজিন, আড্ডা, সাহিত্য কাগজ রেখে এসেছে।
আশির দশকে গড়া ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদ শুধু সাহিত্য সম্মেলন, পদক দেওয়া-নেওয়ায় তার মুখ্য কর্মসূচি বজায় রেখেছিল। কালের প্রবাহে আজ আর সেসব কর্মসূচি নেই।
রয়ে গেছে সংসদের ‘বীক্ষণ’ পাঠচক্র। পালাক্রমে দীর্ঘ পথচলা নিয়ে এখনো আছে। পঠন-পাঠন, কর্মী তৈরি নিয়ে সে নিয়ম রক্ষায় রত।
ষাট দশকের ঢাকাকেন্দ্রিক কবিতার ষাট দশকীয় উত্তাপ
নিস্তরঙ্গ মফস্বল শহর ময়মনসিংহের তাজমহল রেস্তোরাঁয় গড়ে ওঠা সফল ও স্মরণীয় সাহিত্য আড্ডায় তরঙ্গাভিঘাত গড়িয়ে দিয়েছিলেন আবদুল মান্নান সৈয়দ তাঁর পরাবাস্তব কবিতা, আবুল হাসান ‘রাজা যায় রাজা আসে’, নির্মলেন্দু গুণ ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’ দিয়ে। শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, শহীদ কাদরী, বেলাল চৌধুরী, হেলাল হাফিজ তো ছিলেনই।
‘অমৃত পলির নোনা স্বাদ’ গ্রন্থের মোশাররফ হোসেন মঞ্জু সত্তর দশকে ‘পাথরের সাথে কথা’, ‘অন্য এক আদিবাসে’ আত্মপ্রকাশে হলেন মুশাররাফ করিম। মুশাররাফ করিম শিশুসাহিত্য (কোকাকাকা, লেবেন্ডিস) উপন্যাস (পূর্ব পুরুষগণ) মিলিয়ে প্রায় পঁচিশটি গ্রন্থে সূচিবদ্ধ হয়েছেন।
ষাটের মুশাররাফ করিমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সত্তরের শামসুল ফয়েজ, আশরাফ মীর কবিতা লিখেছেন। এখনো লিখে চলেছেন। শামসুল ফয়েজের গ্রন্থাবলি : ‘শামসুল ফয়েজের কবিতা’ (১৯৯৭), ‘শোণিতে বিবিধ কোরাস’ (২০০৮), ‘সময়ের ধ্রুপদ’ (২০০৮), ‘মনে হয় শুক্কুর পাগল হয়ে যাই’ (২০০১)।
আশরাফ মীরের প্রথম গ্রন্থ : ‘যে দৃশ্য মনে আসে’।
গাউসুর রহমানের ‘ঝিনুকে নেই মুক্তো’ (১৯৮৬)। বই থেকে এক স্তবক দিচ্ছি- ‘তোমাতেও ভিজতে পারি আমি/একেবারে জবজবে হতেও নেই মানা,/তবে কি তুমি জল?/পৃথিবীর তিন ভাগ করেছ দখল!’
মুশাররাফ করিম পরলোকে বছর চার-পাঁচ হয়। শফিকুল ইসলাম সেলিম লেখালেখির জগতে আর নেই। মোয়াজ্জেম হোসেন আজাদ মধ্যযৌবনে প্রয়াত হন।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রজন্ম এবং জনআকাক্সক্ষার অভিপ্রায় আন্দোলিত ষাট এবং সত্তরের পর আশির দশক সামরিক শাসনের বাংলাদেশ ভার্সনের পরিচয় পেয়ে যায় আশির কবিকুল। ইতঃপূর্বে নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র এবং তৎপরবর্তীকালে সামরিক শাসন পৃষ্ঠ গণতন্ত্র মিলিয়ে এক অদ্ভুত অথচ লিবিডো শাসিত, নৈর্ব্যক্তিকতা প্রযত্নে লকলকিয়ে বেড়ে ওঠা, বিদ্যমানতাকে প্রশ্ন করার (প্রথা ভাঙার সাহসী চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটক উদ্ধৃত) এক আবেগী কবি-প্রজন্ম পেলাম।
আশির দশকের কবি এবং কবিযশ : প্রার্থী অনেক কবির মধ্যে আছেন- বর্তমান ময়মনসিংহের- তসলিমা নাসরিন, সিরিয়া বেগম মনি, মাহবুব দ্যুতি, নাজমুল করিম সিদ্দিকী, সাজাহান শিরাজী, সালিম হাসান, গাউসুর রহমান, মামুন মাহফুজ, মাহমুদ আল মামুন, মেহেদী ইকবাল, আলী আজগর, শাহজাহান সিদ্দিকী, অমিতাভ পাল, সরকার হাসান মাহবুব, যুগল দাস, মনোতোষ ঘোষ, লুৎফর রহমান শিকদার, কাজী ছোটন, বিন্না বায়দী, ফরিদ আহমদ দুলাল, মাসুদ বিবাগী, ম. আবুবকর সিদ্দিক, জেবুন নেছা রীনা, মোহাম্মদ আযাদ, রীনা পণ্ডিত, মরিয়ম বেগম বেবী, শফিক খান, সৌরভ জাহাঙ্গীর, ইয়াজদানী কোরায়শী, সেলিম আতাউর, সাদী রহমান, আমজাদ দোলন, আতাউর রহমান মানিক, খদ্যোত কুমার রায়, তপন বর্মণ, অনিন্দ্য জসীম, হামিদুল আলম সখা, কামরুজ্জামান উবাইদুল্লাহ, আবু সাঈদ কামাল, নাজনীন পাপ্পু, লতিফ আকন্দ, শফিক সিংহী, তাসলিমা রহমান, লুৎফুল লতিফ চৌধুরী প্রমুখ।
একই দশকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্র হয়ে যাঁরা আশির কবিতায় সরব থেকেছেন এবং আজতক কবিতার মূলধারায় আছেন- হোসেন দেলওয়ার, বই : হরিণনিন্দ্রার নাচ (২০১১) এবং কবি ও অসংখ্য গ্রন্থ প্রণেতা সজল আশফাক উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া দশকবিহীন উল্লেখ করা যায়- শেখ জলিল, রণজিত কুমার, মোস্তফা কামাল পাশা, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম খান, কাব্যগ্রন্থ : নীল নক্ষত্রের কাব্য, স্বপ্নিল ভালোবাসার নান্দনিক ব্যবচ্ছেদ।
কবিতার ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক গীতিকবিতাকে সমৃদ্ধ করেছেন, ময়মনসিংহে কোনো একসময় অবস্থানকারী, তাঁরা হলেন- আব্দুল হাই মাশরেকী, নজরুল ইসলাম বাবু, আবদুল হাই আল-হাদী, নুরুল ইসলাম মানিক, বায়েজিদ খুরশিদ রিয়াজ, শহীদুল্লাহ ফরায়জী, সালাহউদ্দিন পাঠান, শেখ জলিল, আওলাদ হোসেন।
গাঠনিক কাঠামো এবং জনপ্রিয়তার ভার্নিয়ার স্কেলে শিশুসাহিত্যের সর্বাগ্রতা যিনি বর্তমান রেখেছেন, একবাক্যে নাম তাঁর- আনজীর লিটন।
শুধু শিশুতোষ ছড়া রচনা করে খ্যাতি কুড়িয়েছিলেন, সরকার জসীম।
আশির পর নব্বই দশকে ময়মনসিংহের অনেক সরল কবি, নিরীক্ষাপ্রবণ কবি, স্বভাব কবির দেখা পাওয়া যায়।
কবিতার নব্বইয়ের দশক। অস্থির সময়ের মস্তিষ্কের সিটিস্ক্যানে পরিলক্ষিত হয় স্নায়বিক হাল অবস্থা। সেটি যেমন সুখকর আবার অস্বস্তিকরও বটে।
নব্বই পেয়েছিল স্বৈরশাসনের পতন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের মধুচন্দ্রিমা। কবিতায় তার দেখা-সাক্ষাৎ খুব একটা মেলেনি। নৈর্ব্যক্তিকতাই ছিল দশকের কবিতার মূলকথা। আর ছিল ব্যক্তির ক্ষরণ, আত্মপ্রেম এবং পূর্বসূরিদের সঙ্গে মানসিক দূরত্ব সৃষ্টির সমূহ আয়োজন।
নব্বইয়ের অভিষেকে আলোর বিকিরণের কণা হয়ে পরিস্ফুট হন- মুজিব মেহেদী, নাইমুল করিম, আশিক আকবর, আশরাফ রোকন, হাদিউল ইসলাম, শাবিহ্ মাহমুদ, রোকসানা আফরীন, আসাদ উল্লাহ প্রমুখ।
আরও যারা দেখা দেন- মশিউর রহমান খান, তোফায়েল তফাজ্জল, সরকার আজিজ, কামাল মুহম্মদ, মামুন মোয়াজ্জেম, স্বাধীন চৌধুরী, শরৎ সেলিম, তপন বর্মণ, নাজমা মমতাজ, শহীদ আমিনী রুমি, দরজী লুৎফুল ওয়াহিদ, দীলিপ সেন, হাসান মাসুম, রাজিয়া সুলতানা, কাঙাল শাহীন, জ্যোতি পোদ্দার, স্বপন পাল, শামীম পারভেজ, বিল্লাল মেহেদী, মোস্তাক বিবাগী, এম বাহাদুর, রাশেদ আহমেদ, অহনা নাসরিন, অনন্য রাজ্জাক, মুঈন হুদা, শাহাব উদ্দিন আহাম্মদ, শরীফুল ইসলাম, আহমদ জামাল জাফরী, ওয়ালীউল্লাহ আকন্দ, শেখ বুলবুল আহমদ, মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন, ফরিদা বেগম, সাঈদ ইসলাম, মাহমুদ বাবু, সালমা বেগ প্রমুখ।
শূন্য দশকের কবি- কাজী নাসির মামুন, মোস্তফা তারেক, এহসান হাবীব, অরূপ কিষান, অতনু তিয়াস, মানস সান্যাল, শাহিন লতিফ, দেবাশীষ তেওয়ারি, রাজীব আর্জুনি, পরাগ রিছিল, সফেদ ফরায়জী, সাহু হাসান, শরীফা সুলতানা, পুলক শেঠ, তারেক হাসান, মিজানুর রহমান পলাশ, সানোয়ার রাসেল, শুভ্র সরকার, জামিল হাসান, সাঈদ ইসলাম, শামীম আশরাফ, জামান আসাদ, আরাফাত রিলকে, এমএজি রাব্বি প্রমুখ।
কবিতা এক মীমাংসিত আবার অমীমাংসিত শিল্প। একে সংজ্ঞায়িত করা যায়। কিন্তু উপসংহার টানা যায় না। যাপিত জীবনের সংশয়, বিরাগ-অনুরাগ, সন্দেহ, প্রীতি, গোপন বাসনা, সন্ন্যাস-সংসার- কী না কবিতায় যায়।
প্রাচীন এ শিল্প মাধ্যমকে ভালোবেসে, প্রেমিক হয়ে কবি হতে চান অনেকেই। কিন্তু আধুনিক কবি-উত্তম জীবনানন্দ দাশ তো বলেই দিয়েছেন- ‘সকলেই কবি নয়; কেউ কেউ কবি’।
জয় হোক কবিতার। কবি ও কবিতার ময়মনসিংহ হোক সব মানুষের। শুদ্ধ নান্দনিকতার তো বটেই।