উত্তরের বরেন্দ্র জেলা নওগাঁয় মালচিং পদ্ধতিতে ব্লাক বেবি ও ব্লাক কিং জাতের তরমুজ চাষে বেশ সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করা তরমুজের বাম্পার ফলনেও খুশি তারা। এসব তরমুজ অত্যন্ত সুস্বাদু ও মিষ্টি। বাজারে চাহিদা থাকায় লাভ বেশি। প্রতিটি তরমুজের ওজন আড়াই থেকে চার কেজি। গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে কৃষকরা বেশ লাভবান হওয়ায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তাই তাদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস কৃষি বিভাগের।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মাচার ওপরে সবুজ পাতা, নিচে ঝুলে আছে কালো ও সবুজ রঙের তরমুজ। গাছ থেকে যাতে ছিঁড়ে না পড়ে তার জন্য প্রতিটি তরমুজে দেওয়া হয়েছে জালি। এমন দৃশ্য নওগাঁর বদলগাছীর মাঠে মাঠে। যেসব জমিতে আগে পটোল ও করলা চাষ হতো। ওইসব জমিতে এবার কৃষক ফজলুর রহমান ও আবদুর রশিদ মৌসুমি সমন্বিত কৃষি ইউনিট প্রকল্পের অধীনে মৌসুমি ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে মালচিং পদ্ধতিতে দুজন মিলে ৪০ শতক জমিতে এসব তরমুজ চাষ করেছেন। কৃষক ফজলুর রহমান ও আবদুর রশিদ জানান, ৪০ শতক জমিতে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত বিক্রি ৬০ হাজার টাকা। আরও ১ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রির প্রত্যাশা। এদিকে তাদের দেখাদেখি এখন অনেকেই তরমুজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।