গাজীপুরের কৃষকরা বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এতে নিজেদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। লাভজনক এ প্রযুক্তিটি সম্প্রসারণে জেলার চাষিদের উদ্বুদ্ধ করার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে জেলা কৃষি বিভাগ। জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর গাজীপুর জেলায় ২৬ হাজার বস্তায় আদা চাষ হলেও চলতি বছর ৬০ হাজার বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫০ মেট্রিক টন আদা। কাপাসিয়া উপজেলার পাবুর গ্রামের কৃষক আসলাম মিয়া জানান, তিনি উপসহকারী কৃষি অফিসারের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এ বছর আমবাগানের মধ্যে ৫০০ বস্তায় আদার বীজ রোপণ করেছেন। আদা চাষে লাভবান হবেন বলে তিনি আশা করছেন। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, ‘অনেক কৃষকের বাড়িতেই এ বছর ১০টা, ২০টা বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। কৃষকরা খুবই আগ্রহী।’ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আবদুল মতিন বিশ্বাস বলেন, ‘আদিকাল থেকে মানুষ আদা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে আসছে। বস্তায় আদা চাষ যে কোনো পতিত জমি কিংবা বাগানের ছায়াযুক্ত স্থানে করা যায়। অল্প ব্যয়ে ও শ্রমে লাভ বেশি হয় আবার মাটিবাহিত রোগের সংক্রমণ কম হয়। অতিবৃষ্টি বা বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না।’ গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম খান বলেন, গাজীপুরে নানা কারণে কৃষিজমি দিনদিন কমছে বিধায়, বস্তায় আদা চাষ প্রযুক্তিটি খুবই উপযোগী। এ পদ্ধতিতে আদা চাষ করলে কন্দ পচা রোগ হয় না। যদি রোগ দেখা যায় তখন গাছসহ বস্তা সরিয়ে ফেলা হয়। ফলে কন্দ পচা রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে না। এ পদ্ধতিতে উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম। প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক প্রশিক্ষণ, বস্তা পদ্ধতিতে আমবাগান-লিচুবাগানসহ পতিত জমিতে প্রদর্শনী স্থাপন, লিফলেট বিতরণ, দলীয় আলোচনার মাধ্যমে প্রচারের ফলে বস্তায় আদা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।