গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ। গবাদি পশুর বিকল্প খাবার হিসেবে এখানে খাওয়ানো হচ্ছে কলার ঘাউর বা মোচা। দানাদার খাদ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া এবং বোরো মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে খামারিরা পর্যাপ্ত খড় শুকাতে পারেননি। এ কারণে খড়ের দাম স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় মধ্যম ও স্বল্প আয়ের খামারিরা বাধ্য হয়ে গবাদিপশুকে আঁশ জাতীয় খাদ্য হিসেবে কলার ঘাউর খাওয়াচ্ছেন। জানা গেছে, গরু-মহিষের খাদ্য চাহিদা মেটাতে বিকল্প হিসেবে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার থেকে সংগ্রহ করা কলার ঘাউরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন খামারিরা। অর্থ সাশ্রয়ের জন্যও অনেকেই অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি এখন গবাদি পশুকে খাওয়াচ্ছেন এই কলার ঘাউর। যা গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত সহায়ক। এতে করে পশুর পুষ্টি চাহিদা মেটার পাশাপাশি সাশ্রয় হচ্ছে অর্থ। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি প্রাকৃতিক খাদ্য হওয়ায় গবাদিপশুর জন্য কৃত্রিম খাদ্যের মতো কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। পশু খামারিরা এই নতুন খাদ্যের মাধ্যমে খরচ কমিয়ে গবাদি পশু পালনের কার্যক্রমকে আরও লাভজনক করতে সক্ষম হচ্ছেন। বিশেষ করে শীতকালে, যখন প্রাকৃতিক খাবারের সংকট দেখা দেয়, তখন এই পুষ্টিকর গোখাদ্য একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠেছে। এতে গবাদিপশু পালনকারীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এবং দেশের নিরাপদ মাংস ও দুগ্ধ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের পূর্ব মাস্তা (নয়াপাড়া) গ্রামের খামারি আবদুল বারী বলেন, ‘ভোরে ফজরের নামাজের পর ফাঁসিতলা গিয়ে অন্য খামারিদের সঙ্গে কলার ঘাউর সংগ্রহ করি। চারদিকে ঘাস সংকট, মাঠে ঘাস নেই। বাড়িতে খড় নেই, বৃষ্টিতে সব খড় পচে গেছে। এ কারণে হাট থেকে কলার ঘাউর বা মোচা সংগ্রহ করে ভ্যানে করে বাড়িতে এনে কেটে গরুকে খাওয়াতে হচ্ছে।’ একই এলাকার খামারি হাফিজুল হক বলেন, ‘অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি কলার ঘাউর খাওয়াচ্ছি। গরুগুলো সুস্থ ও তরতাজা আছে। এতে বাড়তি খাদ্য ও অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি লাভবান হয়েছি।’ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুস সামাদ বলেন, ‘গো-খাদ্যের জন্য দুই ধরনের খাবার প্রয়োজন। একটি হচ্ছে আঁশযুক্ত খাবার এবং অন্যটি দানাদার খাবার। আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে ঘাস ও খড় রয়েছে। এই অংশে কলার ঘাউর অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এই কলার ঘাউরের মধ্যে সাধারণত কার্বোহাইড্রেট থাকে। প্রোটিন খুব কম পরিমাণে থাকে। কলার ঘাউরে কিছু ভিটামিন ও খনিজ লবণ থাকে। গরু খাওয়ার সময় কলার ঘাউর ছোট ছোট করে কেটে সঠিকভাবে পরিবেশন করা না হলে গলায় আটকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বড় সাইজের কলার ঘাউর খেলে হজম প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এটি অধিক পরিমাণে খাওয়ালে কার্বোহাইড্রেট এনগর্জমেন্ট বা কার্বোহাইড্রেট ডিজিস হতে পারে। আপৎকালীন সময়ে আমরা আঁশ জাতীয় খাবার হিসেবে কলার ঘাউর ব্যবহার করতে পারি। তবে অত্যন্ত সতর্কতা ও সাবধানতার সঙ্গে পরিমাণমতো এটি গরুকে খাওয়ানো যাবে।
শিরোনাম
- নীলফামারীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
- জামিন পেলেন হিরো আলম
- শাহরুখের নামে দুবাইয়ে পাঁচতারা হোটেল
- ইবিতে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শিক্ষার্থী আটক, থানায় সোপর্দ
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৯২
- বিদেশি অপরাধী ঠেকাতে থাইল্যান্ডে ভিসা যাচাইয়ে নতুন কড়াকড়ি
- জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বলেশ্বর নদীতে নৌ-র্যালি
- আওয়ামী লীগের যেকোনো কর্মকাণ্ড অপরাধ বলে গণ্য হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল
- একাত্তরের মতো জুলাইকে নিয়ে একটা শ্রেণি ব্যবসা শুরু করেছে : শিবির সভাপতি
- আশুগঞ্জে ১২০ কেজি গাঁজাসহ পাচারকারী গ্রেফতার, পিকআপ জব্দ
- সাংবাদিকদের সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: মুন্সীগঞ্জে ফারুক ওয়াসিফ
- কোনো অপশক্তিই নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না : আইজিপি
- পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬ কর্মকর্তাকে রদবদল
- জনগণকে যারা বাদ দিয়েছে, তারাই আজ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন : খোকন
- রূপগঞ্জে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
- ৫০০ মিটার সেতুর অভাবে তিন জেলার মানুষের ভোগান্তি
- নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’ চালু
- নোয়াখালীতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা-র্যালি
প্রকাশ:
০০:০০, শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫
আপডেট:
০২:২৪, শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫
গবাদি পশুর খাদ্য চাহিদা মেটাচ্ছে কলার ঘাউর
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা
প্রিন্ট ভার্সন
গরু-মহিষের খাদ্য চাহিদা মেটাতে বিকল্প হিসেবে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার থেকে সংগ্রহ করা কলার ঘাউরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন খামারিরা। অর্থ সাশ্রয়ের জন্যও অনেকে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি এখন গবাদিপশুকে খাওয়াচ্ছেন এই কলার ঘাউর
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর