নাসা ইন্টারস্টেলার ম্যাপিং অ্যান্ড অ্যাকসেলারেশন প্রোব (IMAP-আইম্যাপ) নামে নতুন মহাকাশযান উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর এটি মহাকাশে পাঠানো হবে।
আইম্যাপ সৌরজগতের প্রান্তে অবস্থিত হেলিওস্ফিয়ার (সূর্যের চারপাশে গঠিত প্রতিরক্ষামূলক বুদ্বুদ, যা মহাজাগতিক বিকিরণ থেকে সৌরজগতকে আংশিক সুরক্ষা দেয়) নিয়ে গবেষণা করবে।
সূর্যের কার্যকলাপ কীভাবে হেলিওস্ফিয়ারকে প্রভাবিত করে এবং মহাশূন্যের বাইরের পরিবেশের সঙ্গে এর মিথস্ক্রিয়া কেমন- এর মাধ্যমে সেটা বোঝা যাবে ।
এই মহাকাশযান সূর্যের কণাগুলো কীভাবে শক্তি অর্জন করে এবং সৌর বাতাস কীভাবে আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে তা বিশ্লেষণ করবে। একই সঙ্গে এটি সৌর বাতাস ও উচ্চ-শক্তির কণার তাৎক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করবে।
আইম্যাপ সূর্যের উচ্চ-শক্তির কণা, আন্তঃগ্রহীয় চৌম্বক ক্ষেত্র এবং এমনকি নক্ষত্র বিস্ফোরণ থেকে আসা মহাজাগতিক কণাও শনাক্ত করবে। এসব তথ্য ব্যবহার করে তৈরি হবে আই-অ্যালার্ট (I-ALiRT) সিস্টেম, যা মহাকাশ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সাহায্য করবে। এতে চাঁদ ও মঙ্গল অভিযানে থাকা নভোচারীরা ক্ষতিকর বিকিরণ থেকে সতর্ক হতে পারবেন।
মহাকাশযানটিতে ১০টি বিশেষায়িত যন্ত্র রয়েছে, যা কণা শনাক্তকরণ, চৌম্বক ক্ষেত্র পরিমাপ ও বিকিরণ পর্যবেক্ষণ করবে।
আইম্যাপকে পৃথিবী-সূর্য ব্যবস্থার প্রথম লাগ্রাঞ্জ পয়েন্টে (L1) স্থাপন করা হবে। পৃথিবী থেকে প্রায় ১০ লাখ মাইল দূরে এই অবস্থান থেকে এটি সূর্যের কার্যকলাপ ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। ফলে পৃথিবী ও উপগ্রহে ক্ষতিকর বিকিরণ পৌঁছানোর আগে প্রায় আধা ঘণ্টার সতর্কতা পাওয়া সম্ভব হবে।
নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উৎক্ষেপণের সরাসরি সম্প্রচার ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৪টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) শুরু হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল