শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
বিশ্বকাপে ৩২ দল

বাছাই পর্বের লড়াই

রাশেদুর রহমান

বাছাই পর্বের লড়াই

দুই বছর ৮ মাস তিন দিন। ২০১৫ সালের ১২ মার্চ থেকে এ বছরের ১৫ নভেম্বর। দীর্ঘ এই সময় ধরে ফিফার ২১০টি সদস্য রাষ্ট্র বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে স্থান পাওয়ার জন্য লড়াই করেছে। ছয়টি অঞ্চলে (কম্বেল, উয়েফা, কনকাকাফ, এশিয়া, আফ্রিকা ও ওশেনিয়া) বিভক্ত হয়ে ২১০টি দল মোট ৮৭২টি ম্যাচ খেলেছে বাছাই পর্বে। সবাই মিলে গোল করেছেন ২ হাজার ৪৫৪টি (ম্যাচপ্রতি ২.৮১টি!)। প্রায় তিন বছর মেয়াদি এই বাছাই পর্বে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন তিনজন। উয়েফা অঞ্চল থেকে পোলিশ তারকা রবার্তো লিওয়ান্দোভস্কি এবং এশিয়া অঞ্চল থেকে সৌদি আরবের মোহাম্মদ আল সাহলাবি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আহমেদ খলিল। তিনজনই নিজেদের দলের জার্সিতে বাছাই পর্বে ১৬টি করে গোল করেছেন।

বিশ্বকাপ শুরুর আগেই এবার দারুণ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে যেমন ছিল আশার বাণী তেমনি হতাশারও। ইতালির মতো চ্যাম্পিয়ন দল দীর্ঘ ৬০ বছর পর বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব খেলতে পারছে না। এই দুঃখ ভক্তরা ভুলতে পারবেন না। বিশ্বকাপের প্রতিটা ম্যাচেই আজ্জুরিদের ফুটবল ঐতিহ্যের কথা মনে পড়বে। ৩২ দলের বিশ্বকাপ লড়াইয়ে কেবল ইতালিই নয়, অনুপস্থিত কনকাকাফ অঞ্চলের শক্তিশালী দল যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের নেদারল্যান্ডস আর আফ্রিকার ঘানাও। ইতালির অনুপস্থিতিতে যেমন দুঃখ পেয়েছেন ভক্তরা তেমনি আবেগাপ্লুত হয়েছেন আইসল্যান্ড আর পানামাকে পেয়ে। ইউরোপ অঞ্চলের বাছাই পর্বে কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আইসল্যান্ড এবং কনকাকাফ অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলকে বিদায় করে পানামা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার গৌরব অর্জন করেছে। এ ছাড়াও দীর্ঘদিন পর বিশ্বকাপে হাজির মিসর ও মরক্কো। মিসর সর্বশেষ বিশ্বকাপ খেলেছে ১৯৯০ সালে। মরক্কো খেলেছে ১৯৯৮ সালে। ২১তম বিশ্বকাপের আসর বসছে রাশিয়ায়। ১১টি শহরের মোট ১২টি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ৬৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ১৪ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর