বিতর্কিত নির্বাচিত কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর ক্রীড়ামোদীদের প্রত্যাশা ছিল ক্রীড়াঙ্গনে প্রাণ ফিরে আসবে। বাস্তবে তার প্রতিফলন ঘটেনি। অধিকাংশ ফেডারেশনের কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সুবিধাবাদী বা অযোগ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে গড়া নির্বাচিত কমিটি বিলুপ্ত করে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এজন্য সার্চ কমিটিও গঠন করেন। তবে আশার চেয়ে হতাশায় নিমজ্জিত ক্রীড়াঙ্গন। অবশ্য এ ক্ষেত্রে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে। চলতি বছরের মে’র একেবারে শেষের দিকে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। দায়িত্ব পেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো গোছাতে থাকেন কর্মকর্তারা।
দীর্ঘদিনের অনিয়মে বন্দি ফেডারেশনকে মূল রাস্তায় ফেরানোটা সত্যিই কঠিন। কিন্তু সব অসম্ভব সম্ভবে রূপান্তরিত করতে চলেছে ব্যাডমিন্টনের অ্যাডহক কমিটি। দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র দুই মাসের মধ্যে তারা যা করবে তা দেশের ব্যাডমিন্টনে ইতিহাসই বলা যায়। ১৪ জুলাই শহীদ তাজউদ্দীন ইনডোর স্টেডিয়ামে জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের পর্দা উঠছে। পর্দা নামবে ১৯ জুলাই। এটি হবে ৩৯তম আসর। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে এবারই রেকর্ড ৯২টি দল অংশ নেবে। যেখানে পুরুষ প্রতিযোগীর সংখ্যা ৩৭৭ ও মহিলা ৮০। চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ লাখ টাকার প্রাইজমানি থাকছে। দায়িত্ব নেওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে এত বড় পরিসরে আয়োজন সম্ভব হচ্ছে কীভাবে? এখানে নাকি বড় ভূমিকা রাখছেন ফেডারেশনের নতুন সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির সুমন ও সহসভাপতি তারিকুল চৌধুরী। সুমন ব্যাডমিন্টনের ঘরের ছেলে বলেই পরিচিত। ১৯৯৬ ও ১৯৯৯ সালে তিনি ব্যাডমিন্টনে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। সুমন অবশ্য এমন আয়োজন করার পেছনে পুরো কমিটির পরিশ্রমের কথা বলেছেন, ‘ফেডারেশনের সভাপতি, সহসভাপতি ও অন্যরা উপলব্ধি করেছেন ব্যাডমিন্টন জাগিয়ে তোলার বিষয়ে। দিনের পর দিন আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। অথচ ১৯৭০, ’৮০ ও ’৯০-এর দশকে ব্যাডমিন্টনে কি রমরমা অবস্থায়ই না ছিল। আশা করি এবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের মাধ্যমে ব্যাডমিন্টন তার পথ খুঁজে পাবে। ২০১৪ সালের পর লিগের দেখা নেই। আমাদের টার্গেট সেপ্টেম্বরেই লিগ আয়োজন।’