ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো, রোনালদিনহোরা এসেছেন। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আনন্দ করছেন ফুটবল সমর্থকরা। তাদের পাশাপাশি সাবেক অনেক তারকা ফুটবলারই ছিলেন ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। এত এত তারকার সামনেই রিয়াল মাদ্রিদকে পরাজয়ের লজ্জা উপহার দিল পিএসজি। ফরাসি ক্লাবটির কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
বার্সেলোনার কোচ হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদকে বেশ কয়েকবার পরাজিত করেছেন লুইস এনরিকে। প্রতিপক্ষ চেনাই ছিল। কৌশলও তাই সহজেই সাজিয়ে নেন এনরিকে। কিলিয়ান এমবাপ্পের জন্য ছিল বিশেষ পরিকল্পনা। তাকে ঘিরে জোনাল মার্কিংয়ের ব্যবস্থা ছিল। জ্যামিতির নিয়মে এমবাপ্পে আটকা পড়েছেন পিএসজির ডিফেন্সে। কেবল এমবাপ্পেই নন, রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড লাইনই ব্যর্থ হয়ে যায় আশরাফ হাকিমিদের সামনে। ম্যাচজুড়ে রিয়াল মাদ্রিদের মতো দল অন টার্গেটে শট নিয়েছে কেবল দুটি! বিপরীতে ৭টি অন টার্গেট শট থেকে ৪টি গোল করেছে পিএসজি। ওসমান ডেম্বলের পায়ের কারুকাজে মুগ্ধ হয়েছে ইস্ট রাদারফোর্ডের প্রায় ৭৮ হাজার দর্শক। ফ্যাবিয়ান রুইজকে দিয়ে ম্যাচের ৬ মিনিটে একটি গোল করিয়েছেন ডেম্বলে। এরপর ৯ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে নিজেই করেছেন একটি গোল। ফ্যাবিয়ান ২৪ মিনিটে আরও একটি গোল করেন। গনসালো রামোস ৮৭ মিনিটে গোল করলে রিয়াল মাদ্রিদের ৪-০ ব্যবধানের পরাজয় নিশ্চিত হয়। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শেষের দিকে এসে একের পর এক চমকই উপহার দিয়ে চলেছে। ফাইনালে পিএসজি মুখোমুখি হবে চেলসির। সেখানেও কি কোনো চমক অপেক্ষা করছে! যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের পাশাপাশি চলছে মেজর লিগ সকার। লিওনেল মেসি ক্লাব বিশ্বকাপে ইন্টার মায়ামিকে শেষ ষোলোতে তুলে এনেছিলেন। তবে এখান থেকে বিদায় নিয়েছে তার দল।
মেজর লিগ সকারে ফিরে পুরোনো রূপ দেখাচ্ছেন আর্জেন্টাইন তারকা। একের পর এক ম্যাচে গোল করেই চলেছেন। টানা চার ম্যাচে ডাবল গোল করে মেজর লিগ সকারে ইতিহাসই গড়লেন মেসি। এমনটা এই লিগে কেউ কখনো করেনি। ৩৮ বছরের মেসির মধ্যেও আছে আঠারোর আগুন! ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলপ্রেমীরা আনন্দ নিচ্ছেন মেজর লিগ সকার থেকেও।