————সাকলাইন ম্স্তুাক
পাকিস্তানের কিংবদন্তি স্পিনার
বিশ্ব ক্রিকেটের অনেক বড় নাম সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের অনেক বড় খেলোয়াড়। ওয়ানডে, টি-২০ ও টেস্টে বাংলাদেশ যেখানেই জিতেছে সব কিছুতেই প্রধান কারিগর ছিলেন সাকিব। তিনি যেমন ব্যাটসম্যান তেমন বোলার। ব্যাটিং বা বোলিং যে কোনো কিছু দিয়েই তিনি ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। দুদিক দিয়েই ম্যাচ উইনার। ক্ষুরধার মস্তিষ্কের অধিকারী।সাকিবের নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে তিনটি প্রশ্ন সামনে এসেছে!
প্রথম প্রশ্ন : কিছু দিন আগে বিসিবির সঙ্গে একটা ঝামেলা চলছিল। সেখানে খেলোয়াড়রা ধর্মঘট করে, সেটা একটা পর্ব। যেখানে সাকিব ছিলেন এ আন্দোলনের সামনের দিকে। গণমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সেটাই জানতে পেরেছি আমরা। এটা অন্য এক ইস্যু।
আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো- ২০১৭ ও ২০১৮ সালের মধ্যে তিনবার জুয়াড়ি তাকে প্রস্তাব দিয়েছে। সেটা জানাতে দুই বছর লাগল! আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট এত বড় সংস্থা, তাদের এত দিন কোনো খবরই ছিল না? আইসিসি কী করেছে? আইসিসি তাদের নিজস্ব লোক দিয়ে সব কিছু নজরদারি করে, জরুরি প্রয়োজনে লোক পাঠায়। এতদিন কোথায় ছিল আইসিসি?
এবার আসি সাকিবের বিষয়ে! দেড় কিংবা পৌনে দুই বছর আগে বুকি তাকে প্রস্তাব দিয়েছিল। এটা সত্য, সাকিব কিন্তু ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েননি। তিনি হয়তো জানাননি। কিন্তু কাকে জানাননি? বিসিবি নাকি আইসিসিকে? যদি সাকিব বিসিবিকে জানিয়ে থাকেন, তবে বিসিবির কর্তাব্যক্তিরা কেন সেটা আইসিসিকে জানাননি? আর যদি তিনি না জানান, তবে সেটা তার ভুল।
তারপরও আমি আইসিসি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে বলতে চাই, তিনি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। এটা তো দেখতে হবে? যদি প্রস্তাববটা গ্রহণ করতেন, তবে আলাদা ব্যাপার ছিল।
কোন সে জুয়াড়ি? তারা একটা মাফিয়া চক্র, পুরো গ্যাং থাকে। আইসিসি বা বিসিবির এখানে কিছুই করার নেই। কেননা তাদের হাত এত বড়, সেখানে যাওয়ার মতো ক্ষমতা নেই তাদের।
সবকিছুর পর আমি এটাই বলতে চাই, যদি সাকিব বিসিবিকে জানিয়ে থাকেন। তবে দোষ বিসিবির, সাকিবের নয়।
তবে এমন ঘটনা যেহেতু এবারই প্রথম হয়েছে (সাকিবের বেলায়)। তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া উচিত। কেননা এতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় ক্ষতি হয়েছে, ক্ষতি হয়েছে সাকিবেরও।
আমি এতটুকুই বুঝি, ক্ষমার দরজা খোলা রাখা উচিত। কারণ ভুলটা বড় নয়, তিনি ফিক্সিং করেননি। আর বিসিবিকে জানিয়ে থাকলে শাস্তি বিসিবির হওয়া উচিত, সাকিবের নয়!
ধরলাম, সাকিব ভুল করেছেন। তারপরও যেহেতু কখনো তিনি এমন করেননি, এ জন্য ক্রিকেটের স্বার্থে ক্ষমার দরজা খোলা রাখা উচিত।