রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

তামিমের ডাবল সেঞ্চুরি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

তামিমের ডাবল সেঞ্চুরি

সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন গত বছরের মার্চে। নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে টেস্ট খেলার পর জিম্বাবুয়ে ও ভারতের বিপক্ষে খেলেননি। সাদা পোশাকে সর্বশেষ চারদিনের ম্যাচ খেলেন গত অক্টোবরে, জাতীয় ক্রিকেটে। লম্বা বিরতিতে থাকলেও খেলেছেন বঙ্গবন্ধু বিপিএল। টি-২০ টুর্নামেন্টটিতে দারুণ খেলেছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। ঘরোয়া ক্রিকেটের পাশাপাশি তামিম ফিরেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও। খেলেছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে। রানও করেছেন। ফর্মের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন বিসিএলে। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে গতকাল ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে ছন্দোময় ব্যাটিং করে তুলে নিয়েছেন ৯০ প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় দিন শেষে অপরাজিত রয়েছেন ২২২ রানে। তার ও টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে ২ উইকেটে ৩৯৫ রান তুলে এগিয়ে রয়েছে ১৮২ রানে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামার আগে দারুণ ছন্দে রয়েছেন তামিম ও মুমিনুল। রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্ট শুরু হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। টেস্ট খেলতে টাইগাররা ঢাকা ছাড়বে ৪ ফেব্রুয়ারি। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নর্থ জোনকে ২০৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯৫ রানে এগিয়ে রয়েছে সাউথ জোন। প্রথম ইনিংসে সাউথ জোনের সংগ্রহ ছিল ২৬২। দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ৪০ রান সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিন পার করেছে সাউথ জোন। এর আগে তামিমের ডাবল সেঞ্চুরি ছিল একটি। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০৬ রান করেছিলেন বাঁ হাতি ওপেনার। তবে ক্যারিয়ারে আরও কয়েকবার ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে তুলেছিলেন তিনি। ২০১২ সালে জাতীয় লিগে টানা দুই ম্যাচে ১৯২ ও ১৮৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম।

গতকাল শূন্য থেকে শুরু করেন। যদিও প্রথম দিন সেন্ট্রাল জোনকে ২১৩ রানে গুটিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল তামিম, মুমিনুলের ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন। কিন্তু ২ বল খেললেও স্কোর বোর্ডে জমা হয়নি এক রানও। দ্বিতীয় দিন শূন্য থেকে শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ও পিনাক ঘোষ। ৬২ রানের ভিত দেওয়ার পর বিচ্ছিন্ন হন দুজনে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিম-মুমিনুল যোগ করেন ২৯৬ রান। এই জুটির ওপর ভর করেই ইস্ট জোনের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৯৫। দলীয় ৩৫৮ রানে সাজঘরে ফিরেন মুমিুনুল। তার নামের পাশে তখন লেখা ১১১ রান। ইনিংসটি খেলেন ১৯৪ বলে ১২ চার ও এক ছক্কায়। মুমিনুলের বিদায়ের পর তামিম দলকে টেনে নিয়ে যান ইয়াসির আলিকে নিয়ে। শেষ পর্যন্ত তামিম অপরাজিত থাকেন ২২২ রানে। ২৮১ বলের ওয়ানডে স্টাইলের ইনিংসটিতে ছিল ৩০টি চার। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের তামিমের এটা ১৬ নম্বর সেঞ্চুরি এবং মুমিনুলের সেঞ্চুরি সংখ্যা ২১। পাকিস্তানে যাওয়ার আগে দুজনেই রান করে ফিরেছেন ছন্দে এবং আশ্বস্থ করেছেন টিম ম্যানেজমেন্টকে।

প্রথম দিন ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা নর্থ জোনকে গতকাল টেনে নিয়ে যান রনি তালুকদার ও আরিফুল হক। রনি খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস এবং আরিফুল অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। আগের দিন ৫ উইকেট নেওয়া শফিউল গতকাল আরও এক উইকেট নেন। দিন শেষে তার বোলিং ফিগার ৪০ রানে ৬ উইকেট। বাকি ৪ উইকেট নেন বাঁ হাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক রাজ।       

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর