খেলাধুলা বন্ধ বলে ক্রিকেটাররা সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে। ফাঁকা পড়ে রয়েছে মিরপুর স্টেডিয়াম ও একাডেমি ভবন। বিসিবি চাইছে প্র্রয়োজনে সরকার যেন মিরপুর স্টেডিয়াম ও একাডেমি ভবন ব্যবহার করে। সেখানে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র তৈরি করে
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী প্রস্তাব দিয়েছেন, কোয়ারেন্টাইনের জন্য বিশ্ববিখ্যাত ইডেন গার্ডেনসহ দেশের চারটি স্টেডিয়াম ব্যবহারের। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) প্রস্তুত সরকারকে আর্থিক সহায়তাসহ সব ধরনের সাহায্য করতে। বিসিবির সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার চাইলেই মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং একাডেমি ভবনকে কোয়ারেন্টাইনের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। রাজশাহীর তিনটি স্টেডিয়ামকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র হিসেবে।
ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিসিবি ইতিমধ্যেই স্থগিত করেছে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটসহ সব ধরনের ক্রিকেট। জুন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ করেছে আইসিসি। শুধু প্রিমিয়ার ক্রিকেট নয়, মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২১ ও ২২ মার্চ দুটি টি-২০ ম্যাচ, বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরও স্থগিত করেছে। খেলাধুলা বন্ধ বলে ক্রিকেটাররা সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে। ফাঁকা পড়ে রয়েছে মিরপুর স্টেডিয়াম ও একাডেমি ভবন। বিসিবি চাইছে প্র্রয়োজনে সরকার যেন মিরপুর স্টেডিয়াম ও একাডেমি ভবন ব্যবহার করে। সেখানে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র তৈরি করে। বিসিবি সিইও এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সরকারকে এ বিষয়ে আমাদের প্রস্তাব দেওয়ার কিছু নেই। কারণ, স্টেডিয়াম ও একাডেমি ভবন সরকারের নিজস্ব। তারা চাইলে স্টেডিয়ামের পুরোটাই ব্যবহার করতে পারে। আমরা প্রস্তুত সরকারকে সব ধরনের সহায়তা করতে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী ইডেন গার্ডেন ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়ার কারণ, এটা সরকারি সম্পত্তি নয়।’ বিসিবি শুধু মিরপুর স্টেডিয়াম দিতেই প্রস্তুত নয়। আর্থিক সহায়তা করতেও প্রস্তুত। যদিও বিসিবি সিইও অর্থের পরিমাণ জানাননি। তবে অর্থেও পরিমাণ কম হবে না বলেন, ‘এর আগেও দেশের নানা দুর্যোগে বিসিবি আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সরকারকে। এবারও দিতে প্রস্তুত। মনে রাখতে হবে খেলা নয়, সবার আগে জীবন। বেঁচে থাকলেই খেলাধুলা করা সম্ভব।’ বিসিবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক জানিয়েছেন, কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেবে। বিসিবি এর আগে সিডর আক্রান্তদের জন্য সরকারকে ৪ কোটি টাকা টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল। মাঠের খেলা নেই। হোম কোয়ারেন্টাইনে সব ক্রিকেটার। ঘরে বসেই নিজেদের ফিটনেস ঠিক রাখছেন ক্রিকেটাররা। এর মাঝেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাশরাফি বিন মর্তুজাসহ ২৭ ক্রিকেটার। জাতীয় দলের চুক্তিভুক্ত ১৭ ক্রিকেটারসহ গত তিন মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাসহ ১০ ক্রিকেটার নিজেদের বেতনের ৫০ শতাংশ ৩০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন।