আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন শ্রীলঙ্কায়। সফরে দুটি টেস্ট খেলবে টাইগাররা। করোনাকালে ক্রিকেট বন্ধ হওয়ার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার দেশের বাইরে সফর করছে টাইগাররা। ফেব্রুয়ারী-মার্চে নিউজিল্যান্ড সফর করেছিল। এবার ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ শ্রীলঙ্কায়। দুই টেস্ট খেলতে মুমিনুলরা দেশটিতে গেছেন ১২ এপ্রিল, সোমবার। তিন দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন শেষে দুই দিন অনুশীলন করেছে টাইগাররা। গতকাল ছিল দলগত অনুশীলনের শেষ দিন। আজ ও আগামীকাল দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। গতকাল অনুশীলন শেষে মিডিয়ার মুখোমুখিতে স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার চেয়ে টাইগাররা কোনোভাবেই পিছিয়ে নেই, ‘আমরা শ্রীলঙ্কার চেয়ে কোনোভাবেই পিছিয়ে নেই। গত ৩-৪ বছর ওদের মাটিতে যেভাবে ক্রিকেট খেলেছি, যদি আগের মতো সেই কমিটমেন্ট থাকে এবং লড়াই করতে পারি, তাহলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।’
শ্রীলঙ্কার মাটিতে এখন পর্যন্ত ১২টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। জয় একটি ও ড্র একটি। ২০১৩ সালে গল টেস্টে ড্র এবং ২০১৬ সালে কলম্বোতে জিতেছিল। জয়ের টেস্টটি আবার ছিল বাংলাদেশের ১০০তম টেস্ট। সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্স ভালো না হলেও এবার টাইগাররা স্বপ্ন দেখছেন সফরে ভালো কিছু করার। সে জন্যই মিরাজ আত্মবিশ্বাসী ভালো করার, ‘এর আগে আমরা যতবারই শ্রীলঙ্কায় খেলেছি ভালো ক্রিকেট খেলেছি। নিদাহাস ট্রফি অল্পের জন্য জিততে পারিনি। শ্রীলঙ্কায় ওয়ানডে সিরিজে ব্যবধান ছিল ১-১। টেস্টেও হারজিত ছিল একটি করে।’ এই পারফরম্যান্সই আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে মিরাজদের।
দুই টেস্টের ভেন্যু পাল্লেকেলে। প্রথম টেস্ট ২১-২৫ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় টেস্ট ২৮ এপ্রিল-২ মে। পাল্লেকেলেতে বাংলাদেশ এর আগেও খেলেছে। কিন্তু এবারই প্রথম টেস্ট খেলবে। পাল্লেকেলের উইকেট দেশটির অপরাপর উইকেটগুলো থেকে একটু হার্ড ও বাউন্সি। এখানে স্পিনারদের একটু বেশিই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে, ভালো করেই জানেন ২৪ টেস্টে ১০০ উইকেট নেওয়া মিরাজ, ‘চ্যালেঞ্জ তো প্রত্যেক ক্ষেত্রেই থাকবে। স্পিনারদের জন্য শ্রীলঙ্কায় লাইন ও লেন্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে উইকেট খুব ভালো থাকে। শুরুর এক-দুই দিন কাজ না-ও করতে পারে। কিন্তু ৩-৪ দিনে উইকেটে স্পিনারদের সহায়তা থাকে। ওই সুযোগ আমরা নিতে পারি।’