মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল

মামুনুল ইসলাম, ফুটবলার, ঢাকা আবাহনী

ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল

ক্যারিয়ারে ভালো পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে দর্শকদের বাহবা পেয়েছি। দলের বিপদের সময় গোল করে নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছি। তারপরও বড় একটা আক্ষেপ থেকেই গেছে। আর তা হলো সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন না হওয়া। আমার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মেগা এ টুর্নামেন্টে লড়েছে। আমি লজ্জিত যে দেশকে বড় কিছু উপহার দিতে পারিনি। টানা চার আসরে সেমিফাইনাল খেলেনি আমার প্রিয় মাতৃভূমি। অথচ দল হিসেবে আমরা এতটা দুর্বল নয় যে টপ ফোরেই খেলতে পারব না। টুর্নামেন্ট এলেই প্রতিপক্ষরা আমাদের সমীহ করে। এরপরও হতাশা ছাড়া কিছুই পায়নি দেশবাসী।

এবার সুযোগ আছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। জাতীয় দলে আমি নেই, এরপরও মনে-প্রাণে চাইব আমার দেশ চ্যাম্পিয়ন হোক। কিন্তু তার আগে যে জামালদের বড় বাঁধা টপকাতে হবে। আগামীকাল নেপালের বিপক্ষে জিততেই হবে। ডু আর ডাই ম্যাচ। বলতে পারেন ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল। ভারত যদি নেপালের বিপক্ষে ড্রও করত আমাদের শেষ সম্ভাবনা শেষ হয়ে যেত। সুনীল ছেত্রীর গোলেই আমাদের ফাইনালের পথটা খোলা আছে। এমন সুযোগ কমই আসে। এখন তা কাজে লাগাতে হবে। অনেকে বলছেন মালদ্বীপের বিপক্ষে যে পারফরম্যান্স দেখলাম তাতে নেপালকে হারাব তা কোনোভাবেই আশা করা যায় না। আমি কিন্তু এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই। কারণ আপনাকে বুঝতে হবে মালদ্বীপ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। তারা যদি বাংলাদেশের কাছে হেরে যেত সেদিন বিদায় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যেত। ওরা জান-প্রাণ দিয়ে লড়েছে। ভালোই খেলেছে। জামালদের কৌশলও ঠিক ছিল। প্রথম গোলটাই হার ডেকে এনেছে।

মালদ্বীপে সেদিন যে অবস্থা ছিল নেপালের বিপক্ষেও একই অবস্থা নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। জিততেই হবে, অস্বীকার করব না এটা বড় চাপ। দুটো লক্ষ্যে খেলতে হবে গোল করব ও গোল রুখব। কঠিন কাজ তারপরও অসম্ভব নয়। ইয়াসিনকে পাচ্ছি না তবে বিশ্বনাথ ও রাকিব খেলবে। রাকিব আমাদের আক্রমণ ভাগের চালিকা শক্তি। স্বীকার করব আমাদের ফরোয়ার্ড লাইন শক্তিশালী নয়। মতিন মিয়া ও সুমন রেজা খেললেও তারা বুঝে লড়তে পারছে না। দুর্ভাগ্য নাবীব নেওয়াজ ইনজুরিতে দলে নেই। আর এলিটা কিংসলে থাকলে আক্রমণ হতো ভয়ংকর। যাক যা নেই তা বলে লাভ নেই। মোট কথা নেপাল এমন কোনো ভয়ংকর দল নয় যে তাদের হারানো যাবে না। আমার বিশ্বাস মাঠে নতুন এক বাংলাদেশকে দেখব।

সর্বশেষ খবর