সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
নারী এশিয়া কাপ

স্পিনেই আস্থা নিগারদের

বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ : সকাল ৯টা, স্টার স্পোর্টস ২

ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্পিনেই আস্থা নিগারদের

নারী ক্রিকেটে পাকিস্তান প্রবল প্রতিপক্ষ নিগার সুলতানা, সালমা খাতুন, শামীমা ইসলামদের। ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই দল সমানে সমান। অথচ টি-২০ ক্রিকেটের লড়াইয়ের পাল্লাটা একতরফা হেলে আছে পাকিস্তানের দিকে। পরিসংখ্যানের বিচারে যতই এগিয়ে থাকুক পাকিস্তান, ঘরের মাঠ, পরিচিত উইকেট, ঘরোয়া পরিবেশ- বলে নিগার সুলতানারা স্বপ্ন দেখছেন, সিলেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে জয়োৎসবে মেতে উঠতে। সিলেট একাডেমি মাঠের উইকেটে স্পিনের ঘূর্ণি দিয়ে প্রতিপক্ষ দলকে বেঁধে ফেলতে চান নারী দলের সাবেক অধিনায়ক ও লেগ স্পিনার অলরাউন্ডার রুমানা আহমেদ, ‘আমরা জানি, পাকিস্তান স্পিনে ভালো খেলে। তারপরও স্পিন দিয়েই তো ওদের বরাবর অ্যাটাক করেছি। আমাদের স্পিনাররা আগের চেয়ে বেশি ভালো করছে। আমরা দেখেছি আমাদের খেলা ম্যাচগুলোতে স্পিনাররা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে আসছে। পাকিস্তানকে হারাতে আমাদের স্পিন যথেষ্ট।’ থাইল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারানোর ম্যাচে ১৭.৪ ওভার বোলিং করেন নিগার বাহিনীর ৫ স্পিনার। ৬৭ রানের খরচে নেন ১০ উইকেট। এই পারফরম্যান্সই রুমানা, নিগারদের আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে আজকের ম্যাচে। মালয়েশিয়াকে ৯ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানও আস্থাশীল। পাকিস্তানের জয়ের নায়ক লেগ স্পিনার তুবা হাসানও স্পিনকে প্রাধান্য দিলেন, ‘পিচ স্পিনারদের জন্য খুব সহায়ক। যদি বোলাররা ভালো করে, তাহলে পাকিস্তান সেরাটা দিতে পারবে। আমরা বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছি। ওরা খুব ভালো দল। আশা করি, দুই দলের ম্যাচটিতে দারুণ লড়াই হবে।’

ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই দল পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে ১২ বার। ৬ বার করে জিতেছে দুই দল। টি-২০ ক্রিকেটে পরিসংখ্যানে বিচারে পাকিস্তান পরাশক্তি। ১৫ মুখোমুখির ১৪টিই জিতেছে পাকিস্তান। দুই দল সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৯ সালের অক্টোবরে। লাহোরে ৩ ম্যাচের সিরিজ সহজেই জিতেছিল পাকিস্তান। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ওই আসরের গ্রুপ পর্বে নিগাররা জিতেছিলেন ৭ উইকেটে। ওই ম্যাচটিই আত্মবিশ্বাসী করেছে নারী দলকে। কুয়ালালামপুরের কিনরারা একাডেমি মাঠে সালমা, নাহিদা, ফাহিমা ও রুমানাদের সাঁড়াশি আক্রমণে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৫ রান করেছিল পাকিস্তান। ওই ম্যাচেও নারী দলের পাঁচ স্পিনার ১৮ ওভার বোলিং করেছিলেন। ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ৭ উইকেটে। ওপেনার শামীমা সুলতানার ৩১, নিগারের অপরাজিত ৩১ ও ফাহিমার অপরাজিত ২৩ রানে ভর করে সালমা বাহিনী ম্যাচ জিতেছিল ১৩ বল হাতে রেখে। আজকের ম্যাচ স্পিনারদের পাশাপাশি শামীমা, নিগার, ফারজানা হক পিংকি, রুমানা, রিতু মনিরাই ভরসা। তবে নিগার বাহিনীর মূল ভরসা স্পিন বিভাগ। একাদশে একমাত্র পেসার হিসেবে খেলছেন জাহানারা আলম। স্পিন বিভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অভিজ্ঞ রুমানা। থাই নারী দলের বিপক্ষে ৩ ওভারের স্পেলে ৯ রানের খরচে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া সাবেক অধিনায়ক সালমাও দারুণ বল ঘোরাচ্ছেন। ৪ ওভারে ১৮ রানের খরচে নেন ১ উইকেট, বাঁ হাতি স্পিনার সানজিদা আক্তার মেঘলা ৪ ওভারে ১১ রানের খরচে ২টি, আরেক বাঁ হাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার ৩.৪ ওভারে ১১ রানে ২টি এবং অফ স্পিনার সোহেলী আক্তার ৩ ওভারে ১৮ রানের খরচে নেন ২ উইকেট। এই ৫ স্পিনারই এখন নিগার বাহিনীর তুরুপের তাস।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে। থাইল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে নিগার বাহিনী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর