বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

উইকেট নিয়ে সাকিব মাশরাফির সন্তুষ্টি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি দেখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। উপভোগ করেছেন তৌহিদ হৃদয়ের টানা তিনটি হাফসেঞ্চুরি। দেখেছেন রনি তালুকদারের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির ইনিংস। সাকিব আল হাসানের বিধ্বংসী মেজাজের ব্যাটিং। সব মিলিয়ে রান বন্যায় না ভাসলেও রানোৎসব হয়েছে মিরপুরের উইকেটে। যদিও টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল শয়ের নিচে স্কোর দিয়ে। ঢাকা পর্বের শেষ ম্যাচ হয়েছে দুইশ’র উপর স্কোর দিয়ে। সব মিলিয়ে বিপিএলের সবচেয়ে বড় দুই তারকা মাশরাফি ও সাকিব মিরপুরের উইকেটের আচরণ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব উইকেটের প্রশংসা করেছেন, ‘অনেক কৃতিত্ব দিতে হয় পিচকে (উইকেট)। কারণ পিচগুলো ভালো পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে আমার মনে হয় দেশীয় ব্যাটারদের রান করার সুযোগটা বাড়ছে এবং তারা সেটাকে কাজে লাগাচ্ছে।’ আসরের একমাত্র অপরাজিত দল সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফিও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, ‘উইকেট ভালো হলে খেলা সহজ হয়। এমনিতে চট্টগ্রামে গেলে শুধু ভালো উইকেট পাওয়া যায়। এ রকম উইকেট পাওয়া যায় না মিরপুরে। গত তিনদিন উইকেটের দারুণ আচরণ আমরা দেখলাম। এ রকম উইকেট হলে কিছু ক্রিকেটার আমরা তৈরি করতে পারব।’

ঢাকার মিরপুর পর্ব শেষ। অপেক্ষায় চট্টগ্রাম পর্ব শুরুর। ৬ জানুয়ারি শুরু বিপিএলের প্রথম পর্বের ৮ ম্যাচ হয়েছে ঢাকায়। একমাত্র অপরাজিত দল মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। টানা দুটি ম্যাচ হেরেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস এবং চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। একটি করে জয় ও হার পেয়েছে নুরুল হাসান সোহানের রংপুর রাইডার্স, সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল, নাসির হোসেনের ঢাকা ডমিনেটর্স এবং শুভাগত হোমের চট্টগ্রাম। আগামীকাল শুরু হচ্ছে চট্টগ্রাম পর্ব। চট্টগ্রাম পর্বের ম্যাচগুলোতে অংশ নিতে দলগুলো এখন চট্টগ্রামে। বিপিএলের গত কয়েক আসরের মধ্যে এবারই প্রথম মিরপুরের উইকেটে সাবলীল ব্যাটিং করেছেন ব্যাটাররা। যদিও টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৮৯ রান করেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এরপর প্রতিটি ম্যাচেই শয়ের উপর স্কোর হয়েছে। মিরপুর পর্বের শেষ ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০১ রান করে সিলেট। চলতি আসরে যা সর্বোচ্চ স্কোর। বরিশালের ১৯৪ রান তাড়া করে দারুণ এক জয় তুলে নেয় সিলেট। ওই ম্যাচে সাকিব ৩২ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন। চট্টগ্রামের বিপক্ষে রনি তালুকদার ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন। যা বিপিএলের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি।

মিরপুরের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে হাফসেঞ্চুরি হয়েছে ১০টি। একই ম্যাচে সেঞ্চুরি হয়েছে ২টি। খুলনার পাকিস্তানি ক্রিকেটার আজম খান ৫৮ বলে খেলেন ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। আসরের প্রথম সেঞ্চুরি। সেটাকে পেছনে ফেলে চট্টগ্রামকে জয় উপহার দেন আরেক পাকিস্তানি ব্যাটার উসমান খান ৫৮ বলে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে। তৌহিদ হৃদয় টানা তিন ম্যাচে খেলেছেন হাফসেঞ্চুরির ইনিংস। ৮৪, ৫৬ ও ৫৫ রানের ইনিংস তিনটি খেলে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। তবে আঙ্গুলে ব্যথা পেয়ে চট্টগ্রাম পর্ব মিস করবেন তৌহিদ। ৪ ম্যাচে ৩ ইনিংসে রান করেছেন ১৯৫। নাজমুল শান্ত ৪ ম্যাচে ৩ ইনিংসে ১৬৭ রান, রনি ২ ম্যাচে ১০৭, জাকির হাসান ৪ ম্যাচে ১০০ রান করেছেন।

সর্বশেষ খবর