পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার ট্রফি নিয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তসহ ক্রিকেটাররা দেখা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে। পাকিস্তানকে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ করায় প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কার্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা দেন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর চুক্তি অনুযায়ী ক্রিকেটারদের বোনাস দেবে বিসিবি। আজ বিকাল ৪টায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের চুক্তির বোনাসের অর্থ দেবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। বোনাসের অর্থের পরিমাণ একেবারে কম নয়, প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী ক্রিকেটাররা পাবে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। কোচিং স্টাফরা পাবেন আরও অতিরিক্ত ৩০ লাখ টাকা। স্কোয়াডের ১৬ ক্রিকেটার বোনাসের টাকা পাবেন সমানহারে। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান আজ (শুক্রবার) ক্রিকেটারদের বোনাস দেওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী বিসিবি কোনো সিরিজ জিতলে ক্রিকেটারদের সব সময় বোনাস দিয়ে থাকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর চুক্তি অনুযায়ী বোনাস দেওয়া হবে আগামীকাল (আজ) একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।’ পাকিস্তানের বিপক্ষে এই প্রথম সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। টেস্ট দুটি অনুষ্ঠিত হয় রাওয়ালপিন্ডিতে। প্রথম টেস্টে নাজমুল বাহিনী সবাইকে অবাক করে জিতে নেয় ১০ উইকেটে। যা নিজেদের ২৪ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়। টেস্টটিতে অসাধারণ ব্যাটিং করেন মুশফিকুর রহিম। সাবেক অধিনায়ক মুশফিক খেলেন ১৯১ রানের ইনিংস। এ ছাড়া সাদমান ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ, লিটন দাস ও মুমিনুল হক হাফ সেঞ্চুরি করেন। পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে বিধ্বস্ত করতে দারুণ বোলিং করেন অফ স্পিনার মেহেদি মিরাজ। দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তান মড়িয়া হয়ে ওঠে সিরিজে ফিরতে। কিন্তু দলের বিপর্যয়কর মুহূর্তে দারুণ ব্যাটিং করেন লিটন। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দল যখন ধুঁকছিল, তখন ১৩৮ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। এরপর ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতে ৬ উইকেটে। প্রথম টেস্টে সেরা ক্রিকেটার হন মুশফিক। দ্বিতীয় টেস্টে সেরা হন লিটন। সিরিজসেরা হন মেহেদি মিরাজ।