এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভা বয়কটের ঘোষণা দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। কিছুদিন আগে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছিল, এসিসির সভায় অংশ নিতে বাংলাদেশে আসবে না। শুধু তাই নয়, দেশটির সঙ্গে ঢাকায় না আসার কথা জানিয়েছিল আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাও। তিন টেস্ট খেলুড়ে দেশের অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে এসিসির সভা প্রায় ভেস্তে যাওয়ার পথে হাঁটছিল। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি। গতকালের সভায় ২৫ দেশই অংশ নিয়েছে। ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপের সঙ্গে জাপানের প্রতিনিধিরা যোগ দেন অনলাইনে। বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়। তবে এশিয়া কাপের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়নি। এসিসির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি সভা শেষে এশিয়া কাপের বিষয়ে বলেন, ‘খুব সহসাই এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা বিসিসিআইয়ের সঙ্গে পরামর্শ করছি। আশা করি দ্রুতই সমাধান করতে পারব।’ এশিয়া কাপের পরের আসর সংযুক্ত আরব আমিরাতেই হবে।
এসিসির নতুন সদস্য মঙ্গোলিয়া, উজবেকিস্তান ও ফিলিপাইনকে। এ ছাড়া ২০২৬ সালে এশিয়ান গেমসে র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে ১০টি পুরুষ দল ও আটটি নারী দল অংশ নেবে। এই প্রথম বাংলাদেশের অনুষ্ঠিত হলো এসিসির সভা।
এশিয়া কাপের পরের আসরের স্বাগতিক দল ভারত। এসিসি অবশ্য অনেক দিন আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত ও পাকিস্তান যদি এশিয়া কাপের স্বাগতিক হয়, তখন আসরের খেলাগুলো হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। সে হিসাবে ভারত ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাত। ১০ দলের টুর্নামেন্টের সম্ভাব্য তারিখ ১০-২৮ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত হয়েছিল। গতকাল যেহেতু এশিয়া কাপের তারিখ চূড়ান্ত হয়নি, তাই পিছিয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে এসিসির চেয়ারম্যান জানান বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ভারতের অনীহায় এসিসির বার্ষিক সভা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের অক্লান্ত পরিশ্রমে শেষ পর্যন্ত সব দেশ অংশ নিয়েছে। ৬টি দেশ অংশ নিয়েছে অনলাইনে। সভা শেষে হোটেলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে সাফল্যের সঙ্গে সভা আয়োজনের সব কৃতিত্ব বিসিবি সভাপতি বুলবুলকে দিয়েছেন এসিসির চেয়ারম্যান ও পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি, ‘আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ, যারা এখানে এসেছেন এবং অনলাইনে যোগ দিয়েছেন। আমি আমিনুল ভাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই তার ও বিসিবির আতিথেয়তার জন্য। অসাধারণ দুটি দিন কেটেছে। আমি এসিসির তরফ থেকে তাদের জানাতে চাই তারা যেভাবে সবকিছু আয়োজন করেছে, অসাধারণ।’ বিসিবি সভাপতি অবশ্য এসিসির চেয়ারম্যানের কথার মাঝে বলেন, ‘অল এবাউট লিডারশিপ। সব সদস্য দেশই সহায়তা করেছে। আমরা ক্রিকেটের জন্য কাজ করছি।’