একটি দশক কোন দিক দিয়ে চলে গেল! এই একটি দশকে কতোকিছুই না বদলে গেছে। ক্ষমতার পালা বদল হয়েছে কত খানে! পুরাতনকে ভুলে নতুনকে নিয়ে মেতে উঠেছে বিশ্ব। এর মধ্যেও কিছু মানুষের নাম দিনে দিনে ভক্তদের হৃদয়ে গভীরভাবে গেঁথে গেছে। এদেরই একজন লিওনেল মেসি। গত এক দশকে তিনি ফুটবলে অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন। নিজেকে নিয়ে গেছেন সর্বকালের সেরাদের সারিতে। বুধবার লিওনেল মেসি আরও একটি মাইলফলক স্পর্শ করলেন। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই বার্সেলোনার জার্সিতে খেললেন ৪০০তম ম্যাচ। ২০০৪ সালের অক্টোবরে ১৭ বছরের অপরিণত যে তরুণ যাত্রা করেছিল, তিনি এখন বিশ্ব ফুটবলে সর্বকালের সেরাদের সঙ্গে টক্কর দিতে শুরু করেছেন। লিওনেল মেসির ৪০০তম ম্যাচটা মনে রাখার মতোই হলো। কোপা দেল রে কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে লেভেন্তের বিপক্ষে তিনি কোনো গোল করেননি বটে, তবে গোল করিয়ে বার্সেলোনাকে এনে দিলেন ৪-১ ব্যবধানের জয়। মেসির এই ম্যাচটাতে হ্যাটট্রিক করলেন টেলো। দুর্দান্ত এ জয় বার্সা ভক্তদের সামনে এনে দিল উদযাপনের দারুণ এক উপলক্ষ। দিন কয়েক আগে লা লিগার ম্যাচ খেলতে বার্সেলোনা গিয়েছিল লেভেন্তের মাঠ সিউদাদ দি ভ্যালেন্সিয়া স্টেডিয়ামে। সে ম্যাচে বার্সেলোনাকে রুখে দিয়েছিল লেভেন্তে। তবে বুধবার রাতে একই মাঠে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। মেজিক্যাল মেসি এবং দুর্দান্ত টেলো চমৎকার এক জয় উপহার দিলেন বার্সেলোনার ভক্তদের। টেলোর হ্যাটট্রিকে লেভেন্তেকে ৪-১ গোলে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছে বার্সেলোনা। চারটি গোলই করিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি!
বুধবারের ম্যাচেও আগেরবারের মতোই এগিয়ে গিয়েছিল লেভেন্তে। ফরাসি বংশোদ্ভূত মরক্কোর স্ট্রাইকার নাবিল আল আজহার এগিয়ে দিয়েছিলেন লেভেন্তেকে ম্যাচের ৩১তম মিনিটে। প্রথমার্ধে পিছিয়েই ছিল বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩তম মিনিটে লেভেন্তের গার্সিয়া আত্দঘাতী গোল করে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান। এই গোলটা মেসির নামের পাশেও লেখা হতে পারত! এরপরই শুরু হয় মেসি-টেলো ম্যাজিক! ৬০, ৮১ ও ৮৬ মিনিটে টেলো হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। তিনটি গোলেই ছিল লিওনেল মেসির প্রত্যক্ষ মদদ। এ জয়ে বার্সেলোনা সেমিফাইনালে এক পা দিয়েই রাখল। হোম ম্যাচে এর চেয়ে বড় জয় পেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।