শেষ ১৩ বলে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ২৮ রান। উইকেটের একপ্রান্তে রবীন্দ্র জাদেজা, অপরপ্রান্তে বরুন অ্যারন। যেকোনো কেউ সাজঘরে ফিরেই ম্যাচ শেষ, সিরিজও হাতছাড়া। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা হলেও আপাত দৃষ্টিতে এটি অসম্ভবই ছিল। তাই তো কিউইরা সিরিজ জয় উদযাপনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। গ্যালারিতেও উল্লাস। কিন্তু স্বাগতিকদের সেই উল্লাস মাটি করে দিলেন জাদেজা। শেষ ওভারে ১৭ রান নিয়ে নিশ্চিত পরাজয় থেকে বাঁচিয়ে দিলেন ভারতকে। হারেনি নিউজিল্যান্ডও। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত টাই।
দারুণ নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে অকল্যান্ডের ম্যাচটি। ক্ষণে ক্ষণে বদলে গেছে ম্যাচের রঙ। কখনো ভাগ্য ভারতকে হাতছানি দিয়ে ডেকেছে, কখনোবা নিউজিল্যান্ডকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো দলই জয় পায়নি। তবে এই ম্যাচে জিততে না পারলেও এখনো সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে স্বাগতিকদের। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে তারা এগিয়ে রয়েছে ২-০ ব্যবধানে। আর সিরিজ বাঁচাতে শেষ দুই ম্যাচেই জয় ছাড়া উপায় নেই ধোনিদের।
অকল্যান্ডে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মার্টিন গাপটিলের সেঞ্চুরি ও কেন উইলিয়ামসনের হাফ সেঞ্চুরি ৩১৪ রান করে স্বাগতিকরা। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৩১৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৭৯ রানে টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে ভারত। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় শেষের দিকে বদলে যায় ম্যাচের ভাগ্য। ৬, ৭ ও ৮ নম্বরে নামা তিন ব্যাটসম্যান ধোনি, অশ্বিন ও জাদেজার হাফ সেঞ্চুরিতে পরাজয় এড়ায় ভারত। ধোনি ৬০ বলে ৫০, অশ্বিন ৪৬ বলে ৬৫ এবং ৪৫ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন জাদেজা। ব্যাটিং আগেও বোলিংয়েও দাপট দেখিয়েছেন ভারতের এই অলরাউন্ডার। জাদেজা ৪৭ রানে নিয়েছিলেন দুই উইকেট। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে জাদেজা বলেন, 'দলের জন্য কিছু করতে ভালোই লাগছে। আমি শুধু চেয়েছিলাম শেষ বল পর্যন্ত মোকাবেলা করতে। সেটা করতে পেরেছি।'
ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেন, 'শেষ দিকে আমরা লড়াই করেছি। এমন ম্যাচে আত্দবিশ্বাস বেড়ে যায়। তবে আরও আগে থেকে ভালো করতে পারলে এই ম্যাচে আমরা জয় পেতে পারতাম। তাছাড়া বোলাররা বেশ কিছু রান অতিরিক্ত দিয়েছে।' নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ব্রান্ডন ম্যাককালাম বলেছেন, 'এটি দুর্দান্ত একটি ম্যাচ। ভারত যে ক্রিকেটের 'পাওয়ার হাউস' তা এই ম্যাচে নতুন করে বুঝিয়ে দিয়েছে।'