ঘুমানোর সময় ব্যতিক্রম কিছু ঘটলেই কাঁধে ব্যথা শুরু হয়। একইভাবে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকলেও কাঁধের ব্যথা হয়। এ ছাড়া পড়ে গেলে বা কোনো রকম আঘাত পেলে তো কথাই নেই। অধিকাংশ মানুষই কাঁধের ব্যথায় ভোগে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁধের ব্যথাও বাড়তে থাকে। বিশেষ করে বক্সিং তারকাদের জন্য কাঁধের ব্যথা একটি নৈমিত্তিক ব্যাপার। কাঁধের ব্যথা আরও অনেক কারণেই হতে পারে। এই অসহনীয় ব্যথা থেকে মুক্ত থাকার জন্য একটি কার্যকরী ব্যায়াম হলো 'সোয়ান লাঙ'। এই ব্যায়াম কেবল কাঁধের ব্যথা থেকেই মুক্ত রাখে না, সেই সঙ্গে হাত-পা এবং উরুও সুস্থ রাখে। সোয়ান লাঙ খুবই সহজ একটি ব্যায়াম। খুব অল্প সময়ে এ ব্যায়াম নিজের বেড রুমেই সেরে নেওয়া সম্ভব।
সোয়ান লাঙের জন্য খুব বড় স্থানের প্রয়োজন নেই। ড্রয়িং রুমেও এই ব্যায়াম করা সম্ভব। সোয়ান লাঙের জন্য প্রথমেই দুই পায়ের উপর সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। এবার দুই হাত উপরের দিকে তুলে দিতে হবে। এবার ইংরেজি ভি অক্ষরের মতো করে দুই হাতকে দুই দিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। এভাবে অন্তত এক মিনিট থাকার পর বাম পা স্থির রেখে ডান পা সামনের দিকে বাড়িয়ে দিতে হবে এমনভাবে যেন বাম পা কোমর বরাবর যতটা সম্ভব সোজা থাকে এবং ডান পায়ের হাঁটু থেকে কোমর নিতম্ব পর্যন্ত ভূমির সমান্তরাল থাকে। এই অবস্থায়ও অন্তত এক মিনিট বা যতক্ষণ সম্ভব থাকতে হবে। এবার আগের পজিশনে ফিরে যেতে হবে। এবার আবার শুরু করে ডান পা স্থির রেখে বাম পা সামনে বাড়িয়ে দিতে হবে আগের মতোই। এভাবেও অন্তত এক মিনিট বা যতক্ষণ সম্ভব কাটাতে হবে। সোয়ান লাঙের কয়েকটি সেট একসঙ্গে করতে হবে। ১০টি সেট করতে পারলে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া সম্ভব। এই ব্যায়ামের জন্য সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় হয়তো ব্যয় হবে। নিজের ঘরেই এই সুন্দর ও সহজ ব্যায়ামটি খুব অল্প সময়ে করা সম্ভব।
সোয়ান লাঙ ব্যায়াম নিয়মিত করতে পারলে কাঁধের যে কোনো রকমের ব্যথা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হবে। কাঁধের ইনজুরির ভয়ও তেমন একটা থাকবে না। তবে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। কয়েক দিন ব্যায়ামটি করে পরে ছেড়ে দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সোয়ান লাঙ করার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে পা পিছলে যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ ছাড়া শরীরের ভারসাম্যের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। দৃষ্টি সব সময়ই সামনের দিকে সোজা রাখতে হবে। এতে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে সুবিধা হবে। খুব অল্প সময়ে অধিক উপকার পাওয়ার জন্য সোয়ান লাঙ নিয়মিত করার মতোই একটি ব্যায়াম। একটু সতর্ক থেকে এই ব্যায়াম নিয়মিত করতে পারলে কাঁধ, হাত এবং পায়ের মাংসপেশি নিরাপদ থাকবে।