বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দেশের বাইরে। তারপরও বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভায় যোগ দিতে একে একে মিরপুর স্টেডিয়ামে পা রাখেন আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি, জালাল ইউনুস, আফজালুর রহমান সিনহা, খালেদ মাহমুদ সুজন, আকরাম খান, ডা. ইসমাইল হায়দার মলি্লকরা। বিসিবি সভাপতির অনুপস্থিতিতে সিনিয়র সদস্য হিসেবে সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিচালক আফজালুর রহমান সিনহা। সবাই যখন প্রস্তুত, তখনই পরিচালক আকরাম খান উপস্থিত জনদের জানান, জাতীয় দলের হেড কোচ থেকে পদত্যাগ করে চিঠি দিয়েছেন শেন জার্গেনসন। স্তম্ভিত হয়ে পড়েন সবাই। জরুরি সভার মূল এজেন্ডা ছিল টিভি রাইটস বিক্রয়। সভায় বিষয়টি আলোচিতও হয়েছে। সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে সভার মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছিল জার্গেনসনের বিষয়টি। তারা কারণ খুঁজে বের করতে চেষ্টা করেন। কিন্তু পেরে উঠেননি। কোচের পদ ছেড়ে দিবেন জার্গেনসন, বিসিবি জানতো না বলেন আকরাম।
এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপে চরমভাবে ব্যর্থ হয় জাতীয় দল। এরপর থেকেই ক্রিকেটাঙ্গনে গুঞ্জন, কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে জার্গেনসনকে। মুশফিকুর রহিমদের বাজে পারফরম্যান্সের জন্য সমালোচনার তীর্যকবাণে বিদ্ধ হয়েছেন কোচও। সমালোচনা নিয়েই ছুটিতে অস্ট্রেলিয়া যান কোচ। সেখান থেকেই কাল ই-মেইলে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি জানান বিসিবিকে। তার মেইলের আগে বিষয়টি বোর্ড জানতো না বলেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম, 'সভার শুরুর ৫ মিনিট আগে তার পদত্যাগ পত্রের চিঠি পেয়েছি। আমরা বিষয়টি আগে জানতাম না। বোর্ড সভাপতি না থাকায় এ বিষয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।' দিন কয় আগে জাতীয় দলের ট্রেনারের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ডেবিড ডয়ার। এর আগে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বিসিবি-সাহারা একাডেমির কোচ রিচার্ড ম্যাকিন্স। কাল হঠাৎ করেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন জার্গেনসন। কেন এই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত? এ প্রসঙ্গে ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান বলেন, 'সে মিডিয়াতে দেখেছে কিছু কিছু পরিচালক তাকে কোচ হিসেবে চাচ্ছেন না। কিন্তু অফিসিয়ালি এ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি তার সঙ্গে। দলের বাজে পারফরম্যান্সের সময় অনেক কথাই আলোচনা হয়। আমরা যখন খেলেছি, তখনও হয়েছে। সত্যি বলতে কী তার পদত্যাগের চিঠি আসবে আমরা জানতাম না।'