বাংলাদেশ টেবিল টেনিস দল টোকিওতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে গেছে। লক্ষ্যটা কি দলের! বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো কিছু করার কথা কল্পনা করাও দুষ্কর। হবে কি করে! দেশে নিয়মিত টুর্নামেন্ট হতে পারছে না। অর্থের অভাবে পেশাদার খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে না। নতুন খেলোয়াড়রা টেবিল টেনিস থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এর কারণ কি!
গত নভেম্বরে টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশের টেবিল টেনিস কিংবদন্তি জোবেরা রহমান লিনু। তার মতে, অর্থের অভাবে অনেক কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, 'সরকারের কাছ থেকে যে অনুদান পাওয়া যায় তাতে ফেডারেশনের খরচ চালিয়ে বড়জোর একটা টুর্নামেন্টের আয়োজন করা সম্ভব হয়। টেবিল টেনিসে অগ্রগতির জন্য স্পন্সর প্রয়োজন।' স্পন্সররা কেন টেবিল টেনিস নিয়ে আগ্রহী হয় না? লিনুর মতে, কেবল ক্রিকেট কিংবা ফুটবলে স্পন্সর করলে তো হবে না। টেবিল টেনিসে এগিয়ে আসতে হবে তাদেরকে। বর্তমানে টেবিল টেনিস লিনুর নেতৃত্বে বেশ ভালোই এগিয়ে যাচ্ছে। গত পাঁচ মাসে লিনু চারটা টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছেন। চলতি বছর আরও চারটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করার ইচ্ছে রয়েছে তার।
কিছুদিন আগে স্কুল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ১৯২ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিল। এরমধ্যে মেয়ে ছিল ৩৭ জন। এছাড়া ট্যালেন্ট হান্টও শুরু করেছে টেবিল টেনিস ফেডারেশন। বগুড়ায় এরই মধ্যে ৫০ জনকে নিয়ে শুরু হয়েছে প্রতিভা অন্বেষণ ক্যাম্প। কিন্তু সবকিছুর জন্যই প্রয়োজন অর্থ। সেই অর্থই নেই টেবিল টেনিস ফেডারেশনের। লিনু বলেন, 'আমাদের প্রধান সমস্যা অর্থ। ক্রিকেটে যেমন স্পন্সর পাওয়া যায় সহজে এখানে তা সম্ভব হয় না। এখানে স্পন্সর পাওয়া গেলে ভালো করা সম্ভব। যেমন এবারের ন্যাশনালে ১৫ বছরের একটা বালক (হৃদয়) সিনিয়রদের সঙ্গে ফাইট করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এমন তরুণ তারকা উঠে আসবে নিয়মিত টুর্নামেন্ট আয়োজন হলেই। আমাদের প্রথম প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতা।' টেবিল টেনিসে পৃষ্ঠপোষকতা বাড়লে কে জানে, ভবিষ্যতে হয়ত জোবেরা রহমান লিনুর মতো তারকা তৈরি হবে আবারও।