গত তিন বছরে তিন জন কোচ মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই চলে গেছেন...
তালহা জুবায়ের : কোনো একটা সমস্যাতো রয়েছেই। হয়তো তারা নিজেদের পরিকল্পনা মতো কাজ করতে পারছিলেন না। কাজে কোথাও কোনো বাধা পেয়েছেন। কোচদের কাজে-কর্মে স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। অবশ্য কোচদের জবাবদিহিতাও থাকা উচিত।
বাংলাদেশের কেমন কোচ দরকার?
তালহা জুবায়ের : হাই কিংবা লো প্রোফাইল ট্যাগ সম্বলিত যিনি কোচ হউন না কেন, তাকে অবশ্যই মোটিভেটেড হতে হবে। আমাদের দরকার একজন বন্ধুবৎসল কোচ। যিনি ক্রিকেটারদের আপন করে নিবেন। যার একচোখা নীতি থাকবে না। দলের সব ক্রিকেটারকে সমান চোখে দেখবেন। আমি ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলাপ করে দেখেছি, শেন জার্গেনসেন সব ক্রিকেটারের সঙ্গে ভালোভাবে মিশতেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি হেড কোচ কিংবা তার সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ দলে আমিনুল ইসলাম বুলবুল ভাইকে রাখা উচিত। তিনি অসাধারণ কোচ। তার কোচিংয়ে তিন বছর খেলেছি। দেখেছি কিভাবে ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত করেন। তাকে রাখলে ক্রিকেটাররা মানসিকভাবে উপকৃত হবেন।
বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের সমস্যা কোথায়?
তালহা জুবায়ের : পেস বোলিংয়ের সমস্যা আমাদের দীর্ঘদিনের। একটাই কারণ, উইকেট। আমরা যে ধরনের ফ্লাট উইকেটে বোলিং করি, তাতে পেস বোলার উঠে আসার কোনো কারণ নেই। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, ভারত ও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড এখন চাইছে তাদের উইকেটগুলোকে স্পোর্টিং বানাতে। ভালো পেসার পেতে চাইলে স্পোর্টিং উইকেট বানাতে হবে। যে উইকেটে বাউন্স থাকবে, গতি থাকবে।
এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বাজে পারফরম্যান্সের কারণ কি?
তালহা জুবায়ের : দল ব্যর্থ হয়েছে। প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। খেলা দেখে আমার মনে হয়েছে দলে সমন্বয়ের অভাব ছিল। ২০১২ সালের এশিয়া কাপে দলকে যে রকম উজ্জীবিত দেখেছিলাম, এবার সে রকম মনে হয়নি। আত্দবিশ্বাসের অভাব ছিল। টি-২০ বিশ্বকাপেও আমার একই রকম মনে হয়েছে দলকে।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। সেখানে দলের সাফল্য কেমন দেখছেন?
তালহা জুবায়ের : ভালো করতে হলে এখন থেকেই পরিকল্পনা করতে হবে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের উইকেট হার্ড ও বাউন্সি। এমন উইকেটে সফল হতে হলে সেখানে দুই সপ্তাহ অনুশীলন করে কোনো লাভ হবে বলে মনে করি না। এরচেয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট লিগের উইকেটগুলোকে ঘাসের বানাতে হবে। যে উইকেটে বাউন্স থাকবে, উইকেটে গতি থাকবে। এমন উইকেটে খেললে ব্যাটসম্যান ও বোলাররা উভয়েই উপকৃত হবেন। তাদের আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।